বন্ধুরা তোমরা কেমন আছো? আশা করি সবাই ভাল আছো। আমি আজকে তোমাদের কাছে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তোমরা হয়তো জানো আমাদের দেশের লোকশিল্পের কথা। এই লোকশিল্প কে আমরা অনেকে অবহেলা করি। আসলে এটি আমাদের দেশের ঐতিহ্য। তাই এই ঐতিহ্যকে আমাদের ধরে রাখা দরকার।
এটি আমাদের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয় এর উপাদান। লোকশিল্প বলতে আমরা বুঝি কুটির শিল্প সামগ্রী কে। বহুদিন যাবৎ বাংলার মানুষ নিজেদের কুটির বা ঘরে বসে প্রচলিত উপকরণ নিয়ে প্রয়োজনীয় গৃহস্থালির জিনিসপত্র তৈরি করেও আসছে।প্রয়োজনীয় উপকরণ ছাড়াও তারা বিভিন্ন শখের জিনিস তৈরি করে থাকে। এগুলোর মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের রুচি, সৌন্দর্যবোধ ও শিল্পচেতনা প্রকাশিত হয়। তাই কুটির শিল্পকে লোকশিল্প বলা হয়।
এসময় এদেশের লোকশিল্পের সামগ্রী দেশে-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছিল। বিশেষ করে মসলিন নামক অতি সূক্ষ্ম কাপড়ের কদর ছিল মোগল সম্রাটের আমলে। নানা কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন লোকশিল্প এর শিল্পের বিকাশ ঘটে।
ঢাকার জামদানি ,টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের তাঁত শাড়ি খুবই বিখ্যাত। কুমিল্লার খাদি ছাড়া ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের উপজাতীয়দের হাতে বোনা কাপড় অন্যতম আকর্ষণ। উত্তরবঙ্গের মেয়েদের তৈরি নকশিখাতা, সিলেটের শীতলপাটির ও খুলনার মাদুর এখনও সবার পছন্দ। বাঁশ ও বেতের নানা সামগ্রী দেশের প্রতিটি ঘরে প্রয়োজন। কাঁসা ও মৃৎশিল্পের প্রচলন বহুকাল আগে থেকে।
আজকাল নাগরিক মানুষেরাও লোকশিল্পের বিভিন্ন উপকরণের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। লোকশিল্প যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য সবার আন্তরিক প্রয়াস একান্তভাবে কাম্য।
সবাই কে অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি আমার আজকের আলোচনা। আশা করি তোমাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লাগে থাকে তাহলে আমাকে অবশ্যই সাপোর্ট করবে। অবশ্যই লাইক কমেন্ট দিবে সবাই।
ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই মাক্স পড়ে যাবেন।