যদিও বর্তমান সভ্যতা বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের সাধনা ও কঠিন শ্রমের ফসল, তবুও আমাদের সমাজ বিজ্ঞান সাধনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে, বিজ্ঞান কর্মীদের নির্ঘুম রাত ও কঠোর সাধনায় উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে তরুণ সমাজ কিংবা গোটা সমাজের কাছে গণমাধ্যমের সাহায্যে জনপ্রিয় করার প্রয়োজনীয়তার উপর আমি এই প্রবন্ধে গুরুত্ব আরোপ করেছি। এর ফলে বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ডে দক্ষ তরুণ সম্প্রদায় বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত হবে; এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের সভ্যতার বিকাশের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পরিবেশ তৈরি হবে। প্রাগৈতিহাসিক আমলে মানুষ যখন অন্যান্য পশুর উপর আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয় নি তখন থেকে বর্তমান সভ্যতায় সমাজের যে রূপান্তর হয়েছে তাতে বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদেরা একটি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সামাজিক কর্মকাণ্ড কিংবা তৎপরতায় কখনো মনে হয় না, যে জ্ঞান তাপসেরা সকলের জন্য একটি শ্রেয়তর সমাজ সভ্যতা তৈরি করছে তাদেরকে আমরা যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিচ্ছি। যারা প্রকৃতির সত্য অনুসন্ধানে নির্ঘুম রাত কাটায় এবং মানব সভ্যতার বিকাশে, উন্নয়নে তার যথাযথ প্রয়োগ ঘটাচ্ছে – তাদের জীবন আরামদায়ক করার জন্য কিংবা তাদের অবদানের স্বীকৃতি দানের জন্য আমাদের সমাজে তেমন উৎসাহ নেই। যারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রত্যেকটি ক্ষেত্র স্বীয় সাধনার বলে সমৃদ্ধ করেছে, জ্ঞান-বিজ্ঞানের নতুন নতুন দরজা খুলে দিয়েছে তারা অন্যান্য ক্ষেত্রের সফল মানুষের মত এতটা স্বীকৃত নয়। যে কোন একজন নবাগত বিজ্ঞানকর্মীর জন্য যে কোন ক্ষেত্রের জ্ঞানের দিগন্তকে সম্প্রসারিত করা আজ আর সহজ নয়। আমাদের এখন অনেক বেশি নিবেদিত প্রাণ মেধাবী কর্মীর প্রয়োজন। পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো এত বেশি বিজ্ঞান সাধকের প্রয়োজন হয় নি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সমাজের নেতৃত্ব সভ্যতার বিকাশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এখন যুগ হয়েছে বিপণন কেন্দ্রিক অঙ্গীকার ও সাধনা বাজার অর্থনীতি দ্বারা দারুণভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত এবং বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় নৈপুণ্য থাকা সত্যেও তারা এমন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে আগ্রহী হচ্ছে যে বিষয়টি তারা কখনো অধ্যয়ন করেনি কেবলমাত্র পাশের পর একটি নিশ্চিত আরামদায়ক জীবনের নিশ্চয়তায়। এর ফলে সমাজ সম্ভবত নিজের বিকাশ ও অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যথাযথ বিকাশের অভাবে সমাজের সম্ভাব্য ধ্বংসের জন্য শুধু সমাজপতিরাই দায়ী থাকবে না, বিজ্ঞান কর্মীদেরও এর দায় দায়িত্ব নিতে হবে কারণ সভ্যতার অগ্রগতিতে তাদের প্রয়োজনীয়তা তারা সমাজপতিদের অনুধাবন করাতে ব্যর্থ হচ্ছে। মানুষের কর্মকাণ্ডের কোন ক্ষেত্রকেই উপেক্ষা করার সুযোগ নেই এমনকি সবচেয়ে কম স্বীকৃত, কম প্রশংসিত, সর্বাধিক উপেক্ষিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এই কারণে যে, এর সরব উপস্থিতি ব্যতিরেকে অন্য কোন ক্ষেত্রের কর্মকাণ্ডই চালানো যাবে না উৎকর্ষ অর্জন তো দূরের কথা। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানব সমাজে ক্রীড়া ও বিনোদন অত্যন্ত জনপ্রিয়। এমনকি পাশবিক শক্তির মল্লযুদ্ধ, মুষ্টিযুদ্ধ এমনকি স্পেনের ষাঁড়ের খেলা দেখতে এবং উপভোগ করতে আমাদের আগ্রহের কমতি নেই। যদিও আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব আমাদের মেধায়, মস্তিষ্কে, পাশবিক শক্তিতে নয়। একজন সুপারস্টার ক্রীড়াবিদ, যেমন একজন ফুটবলার ফিগোকে আমাদের সমাজ প্রশংসায়, স্তুতিতে ভাসিয়ে দেয়, ত্রিশ বছর বয়সে তার সম্পদের পরিমাণ হয়তো ২০০ মিলিয়ন ডলার। পক্ষান্তরে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত পাকা চুলওয়ালা জ্ঞানতাপস একজন আইনস্টাইনের সম্পদ হলো দুই মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ত্রিশ বছর বয়সী একজন ফিগো শ-খানেক আইনস্টাইনকে কিনতে পারবে, স্বীকৃতির এই আকাশসম পার্থক্য কি যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে? এমন শত শত জ্ঞান তাপস রয়েছেন যাদের সাফল্য ও অবদান এমন সময়ে নোবেল পুরস্কার সহ অন্যান্য দামি পুরস্কার দিয়ে স্বীকৃত হয়েছে যখন সেই পুরস্কারের অর্থ উপভোগ করার বয়সটিও তাদের নেই। কোন মনীষী বলেছিলেন, “আমেরিকা শিক্ষায় বিশ্বাস করে: একজন পেশাজীবী ক্রীড়াবিদ সপ্তাহে যা উপার্জন করে একজন অধ্যাপক বছরে তার থেকে বেশি উপার্জন করে”। সাধারণ জনগণের পক্ষে বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের অবদান অনুধাবন করা কষ্টকর হতে পারে তাই বলে সমাজের নেতারাও যদি অনুধাবন করতে না পারে তা হলে চলবে কী ভাবে! কোন অবস্থাতেই জনপ্রিয়তা স্বীকৃতির একমাত্র মাপকাঠি হিসাবে বিবেচিত হতে পারে না। মুষ্টিযুদ্ধ, ষাঁড়ের খেলা কিংবা ফুটবল আপামর আমজনতা বুঝতে পারলেও একটি দাবার চাল কিংবা বৈজ্ঞানিক অর্জন বোঝার জন্য যে মেধার প্রয়োজন তা খুব বেশি, মানুষের মধ্যে নাও থাকতে পারে যদিও জ্ঞাতসারে কিংবা অজ্ঞাত অবস্থায় সমাজের সকলে আমরা বিজ্ঞানী কিংবা প্রযুক্তিবিদদের আবিষ্কারে সুফল ভোগ করছি। সমাজ ও সভ্যতার অগ্রগতিতে যে সকল নিবেদিত প্রাণ মানুষের নির্ঘুম রাত্রি ও কঠোর পরিশ্রম রয়েছে, যাদের আন্তরিক চেষ্টা ও সাধনা ব্যতীত বর্তমান সভ্যতার শুধু সমৃদ্ধ নয় অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। সত্যিকার অর্থে আমরা শিক্ষাবিদেরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে শুধু সাধারণ মানুষের কাছে নয় এমনকি বিজ্ঞানের ছাত্রের কাছে জনপ্রিয় করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা কি নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারবো পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে ভাল ছাত্রটি শাহরুখ খানের সঙ্গ বেশি পছন্দ করবে, না কি এবারের পদার্থ বিজ্ঞানের নোবেল বিজয়ীর? তবে ক্রীড়া কিংবা বিনোদনের যে কোন বিষয়েই অন্য সকল স্তরের মানুষের যারপরনাই উৎসাহ। সুতরাং বিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের ছাত্রদের কাছে ক্রীড়া কিংবা বিনোদনের ঘটনার মত জনপ্রিয় করার দায়িত্ব আমাদের যা আমরা এখনো করতে পারি নি। এর ফলে বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকাণ্ড করলে তার পৃষ্ঠপোষকতার এমনকি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প কোম্পানিও এগিয়ে আসে না, যদিও ক্রীড়া সাহিত্য ও বিনোদনের যেকোনো প্রোগ্রামে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি রয়েছে। এমনকি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রদর্শনী বিনোদনধর্মী কিংবা ক্রীড়াবিদদের উপস্থিতিতে ছাত্র ও বিজ্ঞানকর্মীদের কাছে যতটা উপভোগ্য বিজ্ঞানীদের উপস্থিতিতে কিন্তু ততটা নয়। বিজ্ঞানের ছাত্ররা, যারা বিজ্ঞান করে তাদের জীবিকা উপার্জন করবে তারাও ক্রীড়াবিদ এবং বিনোদন কর্মীদের উ���স্থিতিকে বিজ্ঞানীদের উপস্থিতির তুলনায় অধিকতর আকর্ষণীয় মনে করে। সমগ্র সমাজ যেখানে বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের অবহেলা করে চলেছে সেখানে এই বিমাতৃসুলভ আচরণ অসম্ভব নয়। নিবেদিত প্রাণ বিজ্ঞানীরা এখন আর সমাজে রোল মডেল হতে পারছে না, জ্ঞান সৃষ্টি আর আবিষ্কারে তারা যতই নিবেদিত প্রাণ হোক না কেন এবং একটি দেশ ক্রীড়া কিংবা বিনোদনে যতই সাধারণ হোক না কেন। অনেক সময়ই একাডেমিক অনুশীলনের অংশ হিসাবে জাতীয় পর্যায়ে প্রবীণ বিজ্ঞানীদের মেডাল দিয়ে থাকে যার মূল্যমান না বললেই চলে যদিও রান্না, আচার বানানো কিংবা সঙ্গীতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করার জন্য ছোট ছোট ছেলেমেয়েকেও লক্ষ লক্ষ টাকা পুরস্কারসহ বিদেশভ্রমণ এবং নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। জ্ঞান তাপসদের সমাজ গন্ধহীন ফুল দিয়ে পূজা করতে পছন্দ করে আর অন্য সবার জন্য সুগন্ধি ফুল এবং নানা বিত্তবৈভব। বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের যেন বৃদ্ধকালেও অর্থকরীর কোন প্রয়োজন নেই। ক্রীড়ার জনপ্রিয়তা আসে ভাল পারফরম্যান্সের জন্য লোভনীয় পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে। শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদকে যদি শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীর সমান পুরস্কৃত করা হতো! ক্রীড়া ও সংস্কৃতির নানা পরিসংখ্যান দিয়ে বই এবং ইন্টারনেটও সমৃদ্ধ হয় যার ফলে ঐ পরিসংখ্যানগুলো নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম গোল, উইকেট এবং রান নিয়ে যতধরণের পরিসংখ্যান সম্ভব তা সবই ইন্টারনেটে পাওয়া যাবে; কিন্তু আমাদের মেধা তালিকা ভিত্তিক নম্বর পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থায় পদার্থবিজ্ঞান কিংবা রসায়ন সর্বোচ্চ নম্বর, কত এবং কে পেল তার খবর রাখে কে? এমনকি যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে তাকেও বোর্ড কর্তৃপক্ষ এই খবরটি জানানোর প্রয়োজন অনুভব করে নি। ক্রীড়াবিদদের রেকর্ড শুধু ক্রীড়াবিদরাই নয় সাধারণ মানুষ এবং ভাল ছাত্রদের মুখস্থ থাকলেও ভাল ছাত্রদের অর্জনের পরিসংখ্যান জানার কোন লোক নেই এমনকি ভাল ছাত্ররাও তা জানে না। সমাজের দৃষ্টিতে ভাল ছাত্রদের, বিজ্ঞানীদের, প্রকৌশলীদের অর্জন এমনই উপেক্ষার বস্তু। দুই লক্ষ ছাত্রের মধ্যে যে শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হয়েছে তাকে কি আমরা শ্রেষ্ঠ ফুটবলার কিংবা ক্রিকেটারের সমকক্ষ হিসাবে বিবেচনা করতে পারি? আমরা জানি ক্রীড়ার ফলাফল অনিশ্চয়তার করা যে ডাবল সেঞ্চুরি করে পরের ইনিংসেই সে শূন্য রানে আউট হতে পারে – যদিও শিক্ষার কিংবা জ্ঞানভিত্তিক প্রতিযোগিতায় তা সম্ভব নয়, ফলাফলে এই পরিমাণ অনিশ্চয়তায় নেই, বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেশি। অথচ শিক্ষায় উৎকর্ষ অর্জনের বিষয়টিকে গণমাধ্যমের সাহায্যে ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকদের জন্য উৎসাহের উৎস করা যেত। জ্ঞান বিজ্ঞানের নানা ধারায় অর্জনের বিভিন্ন পরিসংখ্যান সাধারণ মানুষের কাছে উপভোগ্য আগ্রহের বিষয়বস্তু হিসাবে উপস্থাপন করার ব্যর্থতা আমাদের শিক্ষাবিদদের। এক সময় ধারণা করা হতো দাবার মত খেলা সাধারণ মানুষ উপভোগ করতে পারবে না। কিন্তু গতিশূন্য সেই খেলাও টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখানোর ফলে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, গণিত অলিম্পিয়াডসহ নানা অলিম্পিয়াডের ঘটনাগুলো যদি টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে প্রচার করা যায়, ক্রীড়ার মত পুরস্কার করা যায় পারফরম্যান্স তা হলেও নিশ্চয়ই শিক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রতিযোগিতাগুলোও জনপ্রিয় হবে। পৃথিবীর এক সহস্রাংশ ভূ-খণ্ডে চব্বিশ সহস্রাংশ মানুষের বসত, মাটির নিচে উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদও নেই। একবিংশ শতাব্দীর জ্ঞানভিত্তিক সমাজের বিশ্বের বিশ্বায়নের পৃথিবীতে আমাদের দেশকে টিকে থাকতে ও সমৃদ্ধ হতে হলে একমাত্র উদ্বৃত্ত, দেশের উন্নয়নের বুকে জগদ্দল পাথরের মত বসে থাকা জনসমষ্টিকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দক্ষতায় বলীয়ান হওয়ার বিকল্প নেই। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিক শিক্ষায় মাথাপিছু বরাদ্দ পাঁচ হাজার ডলারের বেশি, ভারত এবং নেপালে যেখানে তা মাত্র তের ডলার, আমদের সম্ভবত আরো কম। তাদের ভৌত অবকাঠামো, দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের তুলনা চলে না। কেবল মাত্র যা তুলনীয় তাহলে আমাদের তরুণদের প্রাণশক্তি। এই প্রাণশক্তিকে শিক্ষা ও দক্ষতা দানের জন্য শিক্ষায় উৎসাহিত করার জন্য নানা রকম শিক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রতিযোগিতা চালু করা উচিত, গণমাধ্যমের কল্যাণে সাধারণ জনসাধারণের আগ্রহ বৃদ্ধি করা উচিত এবং শিক্ষায় উৎকর্ষ অর্জনকে যথাযথভাবে পুরস্কৃত করা উচিত। একবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশের ভাগ্য তৈরিতে বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের ভূমিকা অন্য কণ পেশার মানুষের থেকে কম নয়। শিক্ষা ও বিজ্ঞানে যে বিনিয়োগ করা উচিত তা হয়তো আমরা এ মুহূর্তে পারবো না। মালয়েশিয়া, কোরিয়া সেই বিনিয়োগ ঘটিয়ে আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। তবে বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট নানা প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের সীমিত সম্পদের দেশেও আমরা অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুস্থ প্রতিযোগিতার সূচনা করে, তার প্রচার করে এবং পারফরম্যান্সকে যথাযথভাবে পুরস্কৃত করে। আশা করি একদিন আমাদের সমাজের এই উপলব্ধি ঘটবে অচিরেই।
NEC Corporation: A Pioneer in Japan’s Tech Landscape
NEC Corporation, formally known as Nippon Denki Kabushiki Gaisha, has been an integral part of Japan’s technological evolution for decades....