আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে বলতে যাচ্ছি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করা কি জায়েজ । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করা কি জায়েজ
ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করা জায়েয নয়। ইসলামে ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। লোন নিলে লোন এর বিপরীতে ইন্টারেস্ট বা সুদ প্রদান করতে হয়। ইসলাম সুদ-ঘুষ এগুলো সমর্থন করেনা। ইসলামে বলা হয়েছে “তোমরা সুদ খেয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় করো”।
বর্তমান সময়ে আমরা লোন নিয়ে ব্যবসা করতে দেখে থাকি। বর্তমানে ব্যাংক থেকে লোন তোলা আমাদের সমাজে ঘাতকব্যাধি হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে।
সুদ খাওয়া কে ইসলামে ব্যাভিচারের চেয়েও অধিক গোনাহের কাজ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। সুদদাতা, সুদগ্রহীতা এবং সুদেস্বাক্ষর গ্রহণকারী উভয়ের উপর আল্লাহ তায়ালা অভিসম্পাত দিয়েছেন। সুদ খাওয়াকে শুকুরের মাংস খাওয়ার চেয়েও জঘন্য কাজ বলে ধরা হয়েছে।
ইসলামে সুদ ভিত্তিক লোন নিয়ে ব্যবসা করাকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ব্যাংক থেকে লোন তুলে ব্যবসা করলে ব্যবসায় বরকত থাকেনা। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে হালাল এবং হারাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের হারামকে বর্জন করা উচিত এবং হালালকে গ্রহণ করা উচিত।
ইসলাম সুদমুক্ত ব্যবসা করার কথা বলেছেন।
ব্যাংক থেকে লোন তুলে যদি হালাল উপায়েও ব্যবসা করা হয় তবুও তা হালাল হবে না। লোন তুলে ব্যবসা করে তা দিয়ে সাদকাহ করলে সেটাও হালাল হবে না।
যদি ব্যবসার পুরো টাকাই লোন তুলে করা হয়, তাহলে সম্পূর্ণ ব্যবসাই হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। যদি ব্যবসা থেকে সুদের টাকা আলাদা করে ফেলা হয়, তাহলে বাকি অংশ হালাল বলে পরিগণিত হবে তবে তার মধ্যে মূলধন অবশ্যই থাকতে হবে।
যেহেতু ব্যবসা করা হালাল তাই হালাল থেকে হারাম অংশ বের করলে বাকি অংশ হালাল হবে।
ইসলামে যেহেতু লোন বা সুদকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে তাই আমাদের এসব থেকে বিরত থাকা উচিত। ব্যবসার মাধ্যমে মানুষের ধন সম্পদ বৃদ্ধি পায়, জীবনব্যবস্থার উন্নতি ঘটে। আল্লাহতায়ালা ব্যবসাতে যে পরিমাণ রহমত বরকত দিয়েছেন অন্য কোন পেশাতে সেটা দেন নি। আল্লাহতালা মুসলমানদের বলেছেন-“তোমরা অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভক্ষণ করো না, পারস্পরিক সম্মতিক্রমে ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ আদান–প্রদান করো”।
শুধুমাত্র ব্যাংক থেকে লোন তুলে তা দিয়ে ব্যবসা করাই নয়, আল্লাহ তায়ালা অসদুপায় অবলম্বন করে সকল ধরনের ব্যবসাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।লোন তুলে ব্যবসা করলে সম্পদ শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর হাতে পুঞ্জীভুত থাকে কিন্তু ইসলামে সম্পদ ধনী-গরিব সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক রয়েছে তারমধ্যে অনেক ব্যাংক দাবী করে তাদের ব্যাংক থেকে টাকা নিলে তা সুদ হবে না। যেমন – ইসলামী ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক শরীয়তভিত্তিক ভিন্ন পদ্ধতিতে লোন দিয়ে থাকে এবং তাদের দাবি তাদের দেওয়া পদ্ধতিতে লোন নিলে তা হারাম হবে না। আমাদের সবসময় লোনমুক্ত ব্যবসায়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত যেহেতু ইসলামে ব্যাংক থেকে লোন তুলে ব্যবসা করা জায়েজ নয়।
তো আজকের জন্য এতটুকুই (ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করা কি জায়েজ)। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।