আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সবাই যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সবাই যে যার অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই করি।
ভাই পৃথিবীর একটি শ্রেষ্ঠ ছায়াগুলোর মধ্যে একটি।বাবার পর যে মানুষটি ছায়া আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ তিনি হলেন ভাই।ভাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ একটি নেয়ামত। যার ভাই নাই সেই ব্যক্তিই একমাত্র ভাইয়ের গুরুত্ব বুঝতে পারবে।বাবার পর মানুষ ভাইয়ের আস্ত্রয়স্থল এ থাকে। আমিও খুব ভাগ্যবতী এমন একজন ভাই পেয়ে।
সেই ছোটবেলা থেকে যে মানুষটা সবসময় আমার সাথে আমার পাশে আছে তিনি হলেন আমার বড় ভাই। জীবনে কিছু পাই আর নাই মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট হাজারো শুকরিয়া যে এমন একজন ভাইয়ের বোন হতে পেরেছি।খুব ছোটবেলায় বাবা মারা যায়।তাই সংসারের হাল ধরতে হয় ভাইয়াকে। ভাইয়া এমন একজন মানুষ যিনি আমাদের কখনো বুঝতে দেয় নি যে বাবা আমাদের মাঝে নেই।
তাই একজন মানুষের কাছে বাবা যেমন আমাদের কাছে ঠিক ভাইয়া তেমনি।তাই ভাইয়া ছাড়া আমাদের পুরো পৃথিবী অচল।সেই ছোট বেলা থেকে আমাদের সকল বলা না বলা চাহিদা তিনি পূরণ করেছেন। কখনো আমাদেরকে কোন জিনিস চাইতেই হউনি। তিনি নিজেই আমাদের সকল জিনিস আমাদের সামনে হাজির করতেন। তার কাছে টাকা থাকুক কিংবা না থাকুক আমাদের কোন চাহিদা তিনি অপূর্ণ রাখেনি।
তিনি তাই সবসময় আমাদের সকলের চোখের মণি। আমাদের খুব প্রিয় একজন ব্যক্তি।তিনি কখনো নিজের জন্য কিছুই করেনি। নিজের সুখের কথা চিন্তা করেননি।তাই তার বিয়েটাও করা হয় নি। সবসময় আমাদের কথা চিন্তা, আমাদের সকল ইচ্চা পূরণ করতে করতে তিনি নিজের জীবনের সমস্ত সুখ বিসর্জন দিয়েছেন। তাই আমরাই তার সুখের দায়িত্ব কাধে নিয়ে নিলাম।তার বিয়ের ব্যবস্তা করলাম।
মেয়ে আমাদের সকলের পছন্দের একজন ব্যক্তি তাই আমরা তার সাথে আমাদের ভাইয়ার বিয়ে ঠিক করলাম।দিনটি ছিলো বৃহস্পতিবার।আমরা তার হলুদের আয়োজন করলাম।চারদিকে হইহই রব পড়ে গেলো। কারণ ভাইয়ার এলকায় এতো সুনাম রয়েছে যে ভাইয়াকে আশিরবাদ দেওয়ার জন্য সবাই চলে আসলো।ভাইয়া পড়েছিলো হলুদ একটি পাঞ্জাবি। ভাইয়াকে খুব চিন্তিত মনে হলেও অনুষ্ঠান চলার সাথে সাথে ভাইয়ার চেয়ারায় আনন্দ ফিরে এলো। চারদিকে গান কলোরবে উৎসব এর আবহ তৈরি হলো। খুব সুন্দরমতো হলুদের অনুষ্ঠান শেষ করে আমরা সবাই রাতে ঘুমিয়ে পড়লাম।
পড়দিন শুক্রবার আমাদের সবার প্রিয় ব্যক্তি আমার বড় ভাইয়ের বিয়ে। দিনটি আমাদের কাছে এতটাই খুশির ছিলো যে মনে হলো চারদিকে ঈদের আনন্দ আমাদের বাড়িতে ছেয়ে গেছে।আমরা তাই জুম’আর নামাজ পড়ে বরযাত্রী নিয়ে বের হয়ে গেলাম।প্রায় ১ ঘন্টা পর আমরা পৌছায়।লাল পাঞ্জাবিতে ভাইয়া এবং গোলাপি শাড়িতে ভাবিকে অনেক সুন্দর লাগছিলো। গেইটের কাজ শেষ করে আমরা কাজী সাহেবের সম্মুতিক্রমে বিয়ের বিধি সম্পন্ন করি। শেষমেষ আমাদের প্রিয়ব্যক্তির জীবনে শুখের দিন চলে আসলো।
আজ তাহলে এইটুকুই। ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন