আসসালামুআলাইকুম, বন্ধুরা ! চলে আসলাম বরাবরের মত আপনাদের মাঝে নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে। আজকে আমরা মধু কালোজিরা ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সহ জানবো। তো চলুন শুরু করা যায় আজকের এই আর্টিকেলটা।
মধু কালোজিরা ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা
মধু খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
১. গরম দুধ অথবা গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়ার সাস্থ্য সম্মত নয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই এটিকে এড়িয়ে চলতে হবে।
২. যদি আপনি চাইছেন দুধের সাথে মিশিয়ে মধু খেতে সেক্ষেত্রে পূর্বে দুধ ঠান্ডা করে নিন।
৩. লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারলেই জ্বর কিংবা ঠান্ডা জনিত সমস্যা হয়ে যাবে দূর।
৪. তরকারিতে দারচিনি প্রচুর ব্যবহার্য উপাদান। এক্ষেত্রে মধু এর সাথে দারচিনি মিশিয়ে খাওয়া গেলে উচ্চ রক্ত চাপ এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
৫. বিশেষজ্ঞদের মতে যদি আদা এবং মধু মিশিয়ে একত্রে খাওয়া হয় তবে দে ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন প্রকার সাস্থ্য উপকারিতা হয়ে থাকে। বিশেষ করে পেটের নানাবিধ সমস্যা দূর হয়ে থাকে।
এছাড়াও মধু আমাদের ত্বক এবং চুলের যত্নে প্রচুর সাহায্য করে। যাদের মুখে কালো দাগ, ব্রণ ইত্যাদি সমস্যা আছে কিংবা যাদের চুলের সমস্যা আছে তারা মধু ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আশা করছি উপকারিতা পাবেন।
রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়মাবলী
তরকারিতে বেশি ব্যবহার করা আরো একটি রান্নার উপাদান হচ্ছে রসুন। রসুন আমরা প্রত্যেকে তরকারিতে খেয়ে থাকি। কিন্তু রসুন নিয়ম করে খেলে মিলবে নানান উপকারিতা। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ
১. প্রতিদিন কিছুটা করে কাচা রসুন খেতে পারলে শরীরের বেশ উপকার হয় , যদি কাচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস না থাকে তবে রান্নায় খেতে পারেন।
২. প্রতিদিন নিয়ম করে কিছুটা কাচা রসুন এর কোষ গরম জলে বিয়ে রসুনসহ উক্ত জল পান করলে রক্ত পরিষ্কার হওয়ার উপকারিতা পাওয়া যায়।
৩. দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে যদি প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পরিমাণে পানিতে রসুন ভিজিয়ে জল পান করা হয় তবে ওজন কমানো সম্ভব হয়।
৪. যদি আপনি দীর্ঘদিন জ্বর বা ঠান্ডায় ভুগছেন তবে নিয়মিত কিছুটা কাচা রসুন খাওয়ার চেষ্টা করুন, সমাধান নিজেই লক্ষ করতে পারবেন।
৫. নিয়ম করে প্রতিদিন কিছুটা রসুন রান্না বা কাচা খেতে পারলে ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি কমে।
কালোজিরা কিভাবে খাবেন, উপকারিতাসহ
মধু, রসুন এর মতই কালোজিরার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা। চলুন নিচে এই বিষয়ে জানা যাক।
১. কালোজিরার তেল গরম জলে মিশিয়ে সেবন করতে পারলে মুক্তি মিলবে বাতের ব্যথা এর মত সমস্যার।
২. মাথাব্যথা আমাদের অনেকের কমন একটি সমস্যা। এক্ষেত্রে কালোজিরার তেল মাথায় দুই পাশে মালিশ করে মাথা ব্যাথা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
৩. নিয়ম করে প্রতিদিন কিছুটা কালোজিরা খেতে পারলে এটি আমাদের মস্তিকের স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ সাহায্য করে থাকে।
৪. যাদের চুল পড়া সমস্যা রয়েছে তারা কালোজিরার তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আশা করছি ভালো ফল পাবেন।
৫. ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ এর মত সমস্যা গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়ম করে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়া শুরু করতে পারেন।
বন্ধুরা আজকে আপনাদের মধু কালোজিরা ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বললাম। আর্টিকেলটা কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন, আল্লাহ হাফেজ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর Facebook Group এর সাথেই থাকুন। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।