এই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আমরা সবাই আসলে একটামৃত্যু যন্ত্রনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা,, ট্রেনে বসে থাকা যাত্রীর মতো।একটা ষ্টেশন থেকে উঠেছি আর একটা ষ্টেশনে গিয়ে নামব।মাঝখানে কিছুটা সময়।
***হাদিসে আসছে,,একটা হাত যদি সমুদ্রে ডুবানো হয়,,তারপর উঠিয়ে ফেললে,,সেই হাতের প্রতিটা আঙুলে একফোটা করে পানি দেখা যাবে,,সেই পানিটুকু হলো দুনিয়ায় জীবন,,আর এই যে বিশাল সমুদ্র এটা হচ্ছে আখেরাতের জীবন।
***হাদিসে আরো আসছে,, আসমান থেকে জমিন পর্যন্ত যদি সরিষা দানা দিয়ে ভরে ফেলা হয়,,আর একটা পাখি যদি একবছর পর পর এসে একটা করে সরিষা দানা নিয়ে যায়,, তবু্ও একদিন সরিষা দানাগুলো শেষ হয়ে যাবে,,কিন্তু আখেরাতের জীবনের কোন শেষ নেই।
আর ঐ জীবনটা শুরু হবে আমাদের মৃত্যুর মাধ্যমে। মৃত্যুটা হচ্ছে দুনিয়া থেকে আখেরাতে যাওয়ার একটা মাধ্যম। যেমন এ ঘরের দরওয়াজা দিয়ে প্রবেশ করে ঐ ঘরে চলে যাওয়া। এই দরওয়াজা টাই মৃত্যু। এই মৃত্যু টা সবার একরকম হয় না।মৃত্যুটা হচ্ছে ২ প্রকার :
১/ ভালো মৃত্যু,
২/ খারাপ বা কষ্টদায়ক মৃত্যু
****ভালো মৃত্যুটা কেমন.?
কোন কোন বর্ননায় আসছে,মায়ের কোলে শিশু যেমন দুধ খেতে খেতে ঘুমিয়ে যায়,একজন নেক্কার,পরহেজগার,মোমিন বান্দা ও ঠিক তেমনি ঘুমিয়ে যায়।
আরেক বর্ণনায় আসছে,একটা আটার বস্তুা থেকে একটা চুল বের করে নিয়ে আসলে যেমন কোন কিছু বুঝা যায় না,ঠিক একটা মোমিন ব্যক্তিও কিছু বুঝতে পারবেনা।
অন্য এক বর্ণনায় আসছে,, একটা পিপড়ে কামড় দিলে যতটুকু আঘাত,, ঠিক ততটুকু আঘাত। এর বেশি কিছু না।
******************************************
****এখন জানি খারাপ বা কষ্টদায়ক মৃত্যু টা কেমন ..?
একজন খারাপ পাপিষ্ঠ ব্যক্তির মৃত্যু টা এমন হবে যে,,একটা জীবিত বকরিকে জবাই না করে, তার চামড়াটা যদি উলটা ছিলে ফেলা হয়,,যেমন কষ্ট,, তার চাইতে ও ৭০ গুণ বেশি কষ্ট। পায়ের নখের চামড়া থেকে মাথার চুলের গোড়ালি পর্যন্ত চামড়াগুলো উল্টো করে ছিল্লে,,এবং চির চির করে শব্দ হলে,রক্তগুলো ছিটকে যেয়ে পরলে যেমন কষ্ট,,
তারচেয়েও বেশি কষ্ট।
বলা হয়ে থাকে,,মৃত ব্যক্তিকে আস্তে আস্তে গোসল করাও,,কেননা সে ব্যথা পায়।একে তো আপনজন সব হারাবার কষ্ট,, ধনসম্পত্তি রেখে যাওয়ার কষ্ট,, আরেক কষ্ট হচ্ছে আজরাইলের কালো ভয়ানক বিদঘুটে চেহারা দেখার কষ্ট,,আরও অনেক ধরনের কষ্ট সে মৃত্যুর সময় পেয়ে থাকে।
রুহটা যেন সহজে বের হতে চায় না। ডানে বামে সামনে পেছনে ছুটোছুটি করতে থাকে।আজরাইল টেনে হিঁচড়ে তার রুহটাকে বের করে নিয়ে আসে। এই কঠিন মৃত্যু যন্ত্রনা থেকে বাচার আমল ও নবিজী শিখিয়ে দিয়ে গেছেন।
আমলটা বলার আগে বলি আমলটা কিভাবে আসছে। নবী করিম (সঃ) এর মৃত্যুর সময় আজরাইল আঃ নবিজীর বুকের উপর শুধু একটা হাত রেখেছিলেন।
এতেই নবীজি অনুভব করেছিলেন পুরো উহুদ পাহাড়টা যেন নবীজির বুকে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।তিনি বল্লেন,, আজরাইল, তোমার যা কষ্ট দেয়ার আমাকে দাও।আমার দুর্বল উম্মত দের তুমি এতো কষ্ট দিওনা।
নবীজির এ কথা শুনে আজরাইল আঃ বল্লেন,, আমি আপনার কথা রাখলাম।আপনি আপনার উম্মতদের কে বলে দিবেন,,যারা পত্যেক ওয়াক্ত নামাজের ফরয নামাজের পর আয়তুল কুরছি পাঠ করবে,,আমি তাদের কোন কষ্ট দিবনা।
মায়ের কোলে শিশু যেমন দুধ খেতে খেতে ঘুমিয়ে যায়, তারাও তেমনি ঘুমিয়ে যাবে। মৃত্যু যন্ত্রনা বুঝতে পারবেনা। এই আমলটা যদি সারাজীবন করে যাওয়া যায়,, এর উছিলায় আমরা মৃত্যু যন্ত্রনা থেকে বাঁচতে পারব ইনশাআল্লাহ।
কাজেই আমরা সবাই এই আমলটা করার চেষ্টা করি।এবং অন্যের নিকট পৌঁছে দেই।আপনার একটা শেয়ারের মাধ্যমে বা আপনার কাছ থেকে শুনে যদি কেউ একটা আমল করে,, তাঁর আমলটা আল্লাহ কবুল করতেও পারেন আবার নাও করতে পারেন।
কিন্তু আপনার শেয়ারের মাধ্যমে জেনে যে সে আমলটা করেছে এ জন্য তার কবুলিয়াত আমলের সওয়াব আপনি পাবেন।এটা হচ্ছে দাওয়াতের একটা লাভ।
এ জন্য আমরা বেশি থেকে বেশি দ্বীনি প্রচার করবো। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন।
আমিন