মেকানিক্যাল, অটোমােবাইল, পাওয়ার, মেরিন, শিপ বিল্ডিং, মেকাট্রনিকস্ ও অন্যান্য সাদৃশ্য টেকনােলজির প্রকৌশল সামগ্র
যেমন
[ i] সিম
(ii) চুল
(iii) ইনসুলেটিং ম্যাটিরিয়ালস্, যেমন- পর্সিলিন, মাইকা, অ্যাসবেসটস, বেকেলাইট, মাই কানাইট, কাগজ, রবার, গীটাপ’ৰ্চা,
পলিভিনাইল ক্লোরাইড, কাচ, ফাইবার গ্রাস, রেয়ল, ট্রান্সফরমার ভেল, পাইরাল, তরল বিটুমিন, ফ্রেয়ন জাতীয় কৃত্রিম প্যাস।
[iiii] পাথর
(iiiii) ধাতু ও এদের সংকর, যেমন- লোহা, তামা, অ্যালুমিনিয়াম, সীসা, সস্তা, টিন, নিকেল, ক্রোমিয়াম, এন্টিমনি, ম্যাঙ্গানিজ,
টাংস্টেন ইত্যাদি ।
(ix) শব্দ শােষক সামী, যেমন- উত বাের্ড (বিভিন্ন ধরনের), চুন-সুরকি, বালি মিশ্রিত মাটি, কাঠের গুঁড়া ইত্যাদি ।
(vii) টিম্বার
[X] জ্বালানি সামগ্রী, যেমন- কাঠ, কয়লা, পেট্রোল, ডিজেল, জ্বালানি গ্যাস, পারমাণবিক জ্বালানি ইত্যাদি।
(xii) শব্দ অন্তরক সামগ্রী, যেমন- ছিদ্রহীন দৃঢ় সামগ্রী, নমনীয় স্ত্রিযুক্ত সামগ্রী, ছিদ্রযুক্ত দৃঢ় সামগ্রী ইত্যাদি।
||xiii] সিমিক সামগ্রী
(saw) সংরক্ষণ প্রলেপনের সামী, যেমন- রঙ, ভলিশ ইত্যাদি।
[Xv) পুর্ণল সামগ্রী
[xvi] পানিরােধী সামগ্রী, যেমন- প্রাস্টিক (বিভিন্ন ধরনের), অ্যাসবেসটস, বিভিন্ন ধাত সামগ্রী, কচি ও রবার জাতীয় সামগ্রী ।
xvi) পিচ্ছিলকারক সামগ্রী, যেমন- হিজি, তেল, সাবান, গ্রাফাইট, মাইকা ইত্যাদি।
|xvii) অপ্লিরােধী সামী, যেমন— অ্যাসবেসটস, সিমেন্ট শীট, অগ্নিরােধী ইট, জিমসাম, কাচ, পাথর, কনক্রিট, বিশেষ ধাতব
পদার্থ, খনিজ উল ইত্যাদি।
১.২.২ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, ডাঁটা কমিনেকেশন অ্যান্ডি নেটওয়ার্কিং, কম্পিউটার,
ইলেকট্রোমেডিকেল, ইলমেন্টশন অ্যান্ড প্রসেস কন্ট্রোল, টেলিকমিউনিকেশন ও অন্যান্য সাদৃশ্য টেকনোলজির প্রকৌশল
সারী; যেমন[) কনটাক্ট ম্যাটিরিয়ালস, যেমন- সিলভার, টাংস্টেন, কার্বন, কপার ইত্যাদি ।
{i} ব্রাস ম্যাটিরিয়ালস্, যেমন- কপার, কার্বন, গ্রাফাইট ইত্যাদি ।
[ii] পরিবাহী পদার্থ, যেমন- তামা, অ্যালুমিনিয়াম, টাংস্টেন ইত্যাদি।
(iv) অপরিবাহী পদার্থ, যেমন- মাইকা, অ্যাসবেসটস ইত্যাদি।
(v) অর্ধপরিবাহী পদার্থ, যেমন- কার্বন, সিলিকন, জারমেনিয়াম ইত্যাদি।
[vi] লাে অস্ত্র হাইটনা ইল স্টার।
নবতর পরিবেশ পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার প্রেক্ষাপটে প্রকৌশল নির্মাণ ও এতদসংক্রান্ত কার্যাদি দিন দিন জটিলতার দিকে
অগ্রসরমান। তাই প্রকৌশল সামগ্রীর ধর্ম, গুণাবলি ও বৈশিষ্ট্যের উপর প্রকৌশলীর যথাযথ জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়।
বিল্ডিং, ব্রিজ, বিমান বন্দর, সড়ক, জেটি, যন্ত্রযান, পােতাশ্রয় ইত্যাদি যাবতীয় প্রকৌশল প্রকল্পের পরিচালনা, ডিজাইন, নির্মাণ,
মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি সার্বিকভাবে প্রকৌশলীর দায়িত্বে পড়ে বিধায় পরিবেশ, পরিস্থিতি, ব্যবহার ক্ষেত্র ইত্যাদি
বিবেচনায় নির্মাণ সামগ্রী নির্বাচন, বিকল্প সামগ্রীর ব্যবহার, সামগ্রীর মান উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদিও পরস্পরের সাথে
অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আধুনিককালে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে বিভিন্ন শাখার প্রকৌশলীগণ বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত প্রায় সকল
সামগ্রীই (কঠিন, তরল, বায়বীয়) কার্যক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে।
সুতরাং প্রকৌশল নির্মাণে কাঠামাে বা যন্ত্রাংশের জন্য মান, শ্রেণি, কাজের ধরন, পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা ইত্যাদির উপর
ভিত্তি করে প্রকৌশল সামগ্রীর ঈক্ষিত ধর্মাবলি অনুযায়ী প্রকৌশল সামগ্রী নির্বাচন করতে হয়। এ বিষয়ে প্রকৌশলীগণকে নতুন
উদ্ভাবিত সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় এবং প্রচলিত সামগ্রী সম্ভাব্য নতুন নতুন ক্ষেত্রে ব্যবহারের
মানসিকতা রাখতে হয় যেন প্রচলিত সামগ্রীর বহুবিধ ব্যবহারের মাধ্যমে এর সর্বাধিক উপযােগিতা গ্রহণ করা যায়।
প্রকৌশলীগণকে দেশীয় সামগ্রীর ব্যবহার, অর্থনৈতিক দিক হতে সাশ্রয়ী ও সামগ্রীর সহজ প্রাপ্ততার প্রতি সবিশেষ নজর দিয়ে
প্রকৌশল সামগ্রী নির্বাচন করতে হয় এবং স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত সামগ্রীকে অগ্রাধিকার দিতে হয়। উপযুক্ত সামগ্রী স্থানীয়ভাবে
পাওয়া না গেলে এবং উপযুক্ত সামগ্রীর জন্য খরচের পরিমাণ অত্যধিক হলে ক্ষেত্র বিশেষে অনেক সময় স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত
অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীকে নির্বাচন করতে হয়। সুতরাং নির্দিষ্ট কাজের জন্য সঠিক মাল-মসলা এবং কর্মী নিয়ােগ
করলে নিঃসন্দেহে এর মান বৃদ্ধি পাবে। মানুষ আজ প্রকৌশল সামগ্রীর সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য গর্বিত। রকেট হতে আরম্ভ
করে আণবিক চুল্লি পর্যন্ত সর্বত্রই প্রকৌশল সামগ্রীর নানাবিধ ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ।