কোন মেয়ের ভালোবাসার খিদে থাকে না । যদি মেয়েদের কম ভালোবাসাও দেন তাহলে সে একজাষ্ট করে নেবে । কিন্তু যদি তাকে সম্মান না দেন, তাহলে সে ভিতর থেকে মরে যাবে । তারপর আপনি হাজার চেষ্টা করলেও তাঁর মন জায়গা করতে পারবেন না । তাই কোন মেয়েকে উপহার দেবার মত ভালো কোন জিনিষ হল সম্মান । কারন একটি মেয়ে হয়ত তাঁর ভালোবাসার মানুষটিকে ভুলতে পারে, কিন্তু যে তাকে সম্মান করে তাকে কখনো সে ভুলবে না । এটা কঠিন সত্য যে, মেয়েদের সম্মান ছেলেরা তখন বুঝতে পারবে যখন সে নিজে একটি মেয়ের বাবা হবে । একটি মেয়ে তাঁর সন্তানকে জন্ম দেবার জন্য নিজের সৌন্দরয্যকে ত্যাগ করে । আর সেই ছেলেটি তাঁর সুন্দর বৌয়ের জন্য তাঁর মাকে ত্যাগ করে দেয় । এই পৃথিবীর আজব নিয়ম একটি ছেলে এই পৃথিবীতে আসে একটি মেয়ের মাধ্যমে, তাকে বড়ও করে একটি মেয়ে, সে ভালোবাসাও পায় একটি মেয়ে থেকে, বিয়েও করে একটি মেয়েকে কিন্তু তারপরেও আশ্চর্য্য হল তাঁর পরেও একটি ছেলে মেয়েকে সম্মান করতে জানে না । সবাই বলে মেয়েদের নাকি সত্যিকারে কোন ঘড় হয় না । কিন্তু সত্যিটা হল কোন মেয়ে ছাড়া সত্যিকারে কোন ঘড় হবে না । হাজারো ফুলের প্রয়োজন একটি মালা তৈরি করার জন্য, আর হাজারো প্রদ্বিপের দরকার একটি আরতি সাজানোর জন্য, আর হাজার ফোটা জলের প্রয়োজন একটি সমুদ্র তৈরি করার জন্য, কিন্তু একটি মেয়েই যথেষ্ঠ যে কোন ঘড়কে স্বর্গ তৈরি করার জন্য । বন্ধুরা এগুলো কেবল কিছু কথা নয় এগুলো জীবনের চরম সত্য । একটি মেয়ের জীবনে অনেক সঙ্ঘর্ষ থাকে কখনো কখনো মনে হয়, যে মেয়ে হওয়া যেন কোন শাস্তি । যদি মেয়ে পড়াশুনা না করে তাহলে তাকে সবাই অশিক্ষিত বোকা বলে, আবার বেশি পড়লে সবাই অহংকারি বলে । যদি সবার সাথে সে মিলে মিশে থাকে তাহলে তাকে চালাক বলে, আর যদি কারো সাথে না মিশে তাহলে তাকে স্বার্থপর ও অহংকারী বলে ।
বন্ধুরা এ সমাজ শুধু এটাই শিখিছে যে পর্দা লাগিয়ে দাও মেয়েদের সম্মান বাচাতে । কিন্তু এ সমাজের কি যারা নিজেই দাড়িয়ে আছে তাদেরকে অসম্মান করার জন্য । যারা বলে আমি কারো ইজ্জতের রক্ষক কিন্তু আসল সত্যটা হল সেই তাকে অসম্মান করে, সেই তাঁর উপর অত্যাচার করে । যদি কোন মেয়ে সম্পর্ক রাখতে চায় তাহলে সে মাটির ঘড়ে খুসী থাকবে । কিন্তু সে যদি সম্পর্ক রাখতে না চায় তাহলে সে বড় গাড়ী, বাড়ি সব কিছু ত্যাগ করে দেয় । মা মেয়েদের বন্দি তৈরি করে দেয় আর তাকে ভালোবাসার নাম দিয়ে দেয়, বাবা মেয়েদের বন্দি তৈরি করে দেয় আর তাকে সংস্কারের নাম দিয়ে দেয় । শ্বাশুরি বলে নিজের ইচ্ছাকে মেরে ফেল আর তাকে পরিবারের নাম দিয়ে দেয় । শ্বশুর ঘড়কে জেলখানা তৈরি করে আর তাকে দায়িত্বের নাম দিয়ে দেয় । স্বামী তাঁর সমস্ত স্বপ্ন তাঁর স্ত্রীর উপর চাপিয়ে দেয় আর তাকে বিশ্বাসের নাম দিয়ে দেয় । জীবনে প্রতিটি পদক্ষ্যেপে ছোট হয় মেয়েরা আর সমাজ তাকে ভাগ্যের নাম দিয়ে দেয় । আমরা ঘড়ের মেয়েদের বলি ঘড়ের সম্মান নষ্ট হতে দিয়ো না । কখনো ছেলেকে কেন বলা হয়না যে, পরের ঘড়ের সম্মানকে কখনো খারাপ করো না । বন্ধুরা সব শেষে আপনাদেরকে শুধু একটা কথাই বলতে চাই যেখানে সম্মান নেই, যেখানে আপনার মূল্য নেই, সেখানে আপনার যাওয়া উচিৎ নয় । যে কোন কথা শুনে না তাকে বোঝানো উচিৎ নয় । যে বিশ্বাস ভেঙেছে তাকে বিশ্বাস করা উচিৎ নয় । জীবনে কোন কষ্ট আসলে ভয় পাওয়া উচিত নয়, আর কখনোই কোন মেয়েকে কষ্ট দেওয়া উচিৎ নয় ।
ধন্যবাদ সকলকে ভালো থাকবেন । কথাগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যকে জানতে সাহায্য করবেন । ধন্যবাদ আবারো ।