বর্তমান যুগকে অনেকটাই স্মার্টফোনের যুগ বলা চলে। স্মার্টফোন ছাড়া আমরা প্রায় চলতে পারিনা। এই স্মার্টফোন নামক ছোট্ট যন্ত্রটি ছাড়া আমরা এক মুহুর্তে থাকতে পারিনা। সকাল,বিকাল,দুপুর,সন্ধ্যা ও রাত্রি পর্যন্ত সারাক্ষণ আমাদের সাথে থাকে।
কিন্তু এই স্মার্টফোন সারাক্ষণ আমাদের পাশে থাকার কারণে যে পরিমাণ ক্ষতিকর রেডিয়েশন ফোন থেকে বাহির হয় সেটা প্রবেশ করে চলেছে আমাদের শরীরের ভেতরে।
সেই রেডিয়েশন শরীরে প্রবেশ করার কারণে আমাদের নানা অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু যদি আমরা একটু সাবধানতা অবলম্বন করি তাহলে এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচা সম্ভব। চলুন জেনে নিই, কিভাবে ফোনের এই রেডিয়েশন থেকে মুক্তি পেতে পারি?
১. আপনার স্মার্টফোনকে অযথা শরীরের কাছে রাখবেন না। যত সম্ভব মোবাইল ফোনটিকে শরীরের কাছ থেকে দূরে সরে রাখুন।
২. আমাদের প্রয়োজনে অনেক্ষণ মোবাইলে কথা বলা লাগে। তাই আপনি যদি বেশিক্ষণ ফোনের কথা বলার দরকার হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ল্যান্ড লাইন ব্যবহার করতে পারেন।
৩. আমরা কথা না বললেও অযথা মোবাইল ফোন চালু করে রাখি এটা একদম ঠিক নয়। আপনার যখন কথা বলার প্রয়োজন নেই তখনই ফোনটা বন্ধ করে দিন অথবা এরোপ্লেন মুডে রাখতে পারেন
৪. দীর্ঘক্ষণ কথা বলার কারণে আমাদের কানের সমস্যা হতে পারে। তাই বিকল্প হিসেবে কথা বলার সময় আপনি হেডফোন বা স্পিকার ব্যবহার করতে পারেন।
৫. আমাদের একটা বদ অভ্যাস আমরা চার্জ দেয়ার সময় মোবাইল ফোন চালু করে রাখি। এতে করে ফোনের ব্যাটারি যেমন তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় তেমনি আমাদের শরীরেরও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। তাই অন্তত চার্জ দেয়ার সময় মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন।
৬. আপনার মোবাইলে বেতারের যদি সার্চ ফুরিয়ে যায় তাহলে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগেই আপনি অফ করে রাখুন।
ব্যাটারি লো হলে মোবাইল ফোনে কথা না বলাই উত্তম।