আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় পাঞ্জপাঠকবৃন্দ। সবাই কেমন আছেন। সবাই আশা করি ভাল আছেন সুস্থ আছেন এবং ঘরে নিরাপদভাবে অবস্থান করছেন। আজ আমি আপনাদেরকে খূবই ভালো একটি বিষয় শেয়ার করব।
করোনার এ মহামারি সময়ে আমরা সকলেই ঘর বন্দী হয়ে পড়েছি। করোনা মোকাবেলায় আমরা নানা সতর্কতা অবলম্বন করছি।লক ডাউনে ঘরে বসে থাকি কিন্তু আমরা ঘরে থেকেই শুধু নিজের নিরাপদ মনে করি।তবে মনে রাখতে হবে ঘরেও আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কি কি সতর্কতা অবলম্বন করবেন?কোন কোন কাজগুলো করবেন না।আবার কোন কোন সতর্কতা অবলম্বন করলে ঝুঁকির সম্ভবনা কম থাকে? এসব নিয়ে কিছু তথ্য-
ঘরে থেকেও বারবার হাত ধুতে হবে
আমরা মনে করি বাইরে থেকে আসার পর আমাদের সাবান দিয়ে হাত ধুতে হয়।কিন্তু আমাদের এই ধারনাটা একেবারেই ভুল।কেননা আমরা ঘরের নানা রকম কাজ করি,তাই অনেক জিনিস হাতে দরতে হয়। আর তখন কোন জিনিস বা দ্রব্যে করোনা ভাইরাস এর জীবাণু থাকলে তা আমাদের শরীলে প্রবেশ করতে পারে। তাই বারবার কমপক্ষে ২০ বা ৩০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।আপনি চাইলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন।এখন আপনি ঘরে থাকার পরও হাত ধুয়ে নিলে ঝুঁকি এড়াতে পারবেন।এখন নিজেই বুজতে পারবেন যে বাইরে হতে আসার পরই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে কেন এতোটা প্রয়োজন।
আপনার মনে যদি প্রশ্ন আসে সাবান দিয়ে কেন হাত ধুতে হয়? চিন্তার কোন কারন নেই। আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন, মন দিয়ে পরতে থাকেন।সাবান হলো ক্ষার জাতীয় পদার্থ। আর করোনা ভাইরাস সহ প্রায় সকল ভাইরাসের গঠনে দেখা যায় ভাইরাসের উপরের স্তর প্রোটিন দিয়ে গঠিত। সাবান বা ক্ষার জাতীয় পদার্থ এই প্রোটিনের স্তর নষ্ট করে দেয় তাই সে ভাইরাস পোষাক দেহে প্রবেশ করতে পারে না। তাই আপনি সাবান বা ক্ষার জাতীয় পদার্থ দিয়ে হাত ধুয়ে নিলে জীবাণু থাকে না।হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ক্ষার জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করা হয়।সাথে সুগন্ধি ও নানা রকম পদার্থ যোগ করে আকর্ষনীয় করে।
বিশেষ জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে –
বাইরে না গেলে না হয় এমন পরিস্থিতিতে কি করবেন?যেমন ধরেন ঔষধ কিনতে হবে।তখন অবশ্য বাইরে যেতে হয় অনেক সময়। বাইরে গেলে প্রথমে মাস্ক,দস্তানা, নিরাপত্তা পোষাক পড়তে পারেন।দুরের পথ না হলে হেঁটে যাবেন।সাথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে পারেন। একটু পর পর হাতে লাগাতে পারেন।আবার কোন জিনিস স্পর্শ করার পর পরই লাগিয়ে নিবেন।প্রয়োজন ছাড়া কোন জিনিস হাতে দরবেন না।তাহলে অনেকাংশে ঝুঁকি মুক্ত থাকবেন।যত তারাতারি কাজ শেষে বাসায় চলে আসবেন।বাসায় এসেই আগে পোষাক পরিবর্তন করে সাবান দিয়ে গোসল করে নিবেন।গোসলে হালকা গরম পানি নিতে পারেন।
বাজার হতে কোন জিনিস কিনলে যা করবেন
বাজার হতে আমাদের প্রয়োজনীয় সকল পন্য সামগ্রি কিনে থাকি। যেমন, প্রথমে আসি সবজির কথায়।আমরা জানি রান্না করা খাবারে করোনার জীবানু থাকার সম্ভবনা কম থাকে।কিন্তু বাজার হতে সবজি নিয়ে আসলে সেখানে থাকতে পারে জীবাণু তাই সে সবজি ধরলে আপনি ঝুঁকিতে পরতে পারেন।তাই শাক,সবজি, ফল পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিবেন।কাঠের, টিনের বা অন্য কোন বক্সের দ্রব্যগুলো তরল স্যানিটাইজার দিয়ে জীবানু মুক্ত করতে পারেন।
ঘরকে জীবাণু মুক্ত রাখা
আপনি আপনার ঘরকে জীবাণু মুক্ত রাখতে নানা রকম পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।ঘর বলতে ঘরের মেঝে, ঘরের দরজার হাতল, জানালা,আসবাবপত্র ইত্যাদি। আপনি এগুলো নিয়মিত হাতে দরেন।এমনকি আপনি ছাড়াও পরিবারের অন্য সদস্যরাও ধরে থাকে।তাই এগুলোর একটিতে জীবানু থাকলে আপনি নিজেও ঝুঁকিতে থাকতে পারেন, আপনার পরিবারের অন্যরাও ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে।তাই এগুলো জীবাণু মুক্ত রাখতে হবে।আপনি মেঝে জীবানু মুক্ত রাখতে বাজারে নানা ব্যান্ডের স্যানিটাইজার পাবেন।এগুলো দিয়ে দরজার হাতল,জানালা,এমনি যে জিনিস গুলো আপনি সব সময় ধরেন,হাতের কাছের জিনিসগুলো জীবাণু মুক্ত রাখতে পারেন।আপনি দিনে কয়েকবার এই কাজগুলো করতে পারেন।
মনে রাখবেন
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আমাদের সচেতন হতে হবে।ভয় বা উদ্ধিগ্ন হলে কোন লাভ নেই।সতর্কতা অবলম্বন করলে ঝুঁকি সম্ভবনা থাকবে না।মাস্ক পরুন, ঘরে থাকুন নিরাপদে থাকুন।
সকালে করোণাকালীন সময়ে অবশ্যই হ্যন্ডস্যানেটাইজার এবং মাষ্ক ব্যাবহার করবেন,,নিজে সুস্থ থাকুন,,পরিবারকে সুস্থ রাখুন,, আল্লাহ হাফেজ