ছাত্র, চাকুরীজীবি এবং মহিলাদের লাইফ টাইম ইনকামের অপূর্ব সুযোগঃ
সুযোগ জীবনে বার বার আসে না। সুযোগের সদ্ব্যবহার করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। জীবনের জন্যই প্রয়োজন জীবিকার। নশ্বর এই পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য মানুষের টাকার প্রয়োজন হয়। আর এই টাকার মাধ্যমেই নির্ধারিত হয় মানুষের মধ্যে ছোট-বড়, উচু-নীচু, সম্মান-অসম্মান এবং এরকম আরো অনেক কিছু। তাই বলা যায় জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে বা সমাজে মাথা উচু করে চলতে টাকার গুরুত্ব অপরিসীম। এই টাকা মানুষ বিভিন্ন ভাবে ইনকাম করে থাকে।
ইনকামের প্রকারভেদঃ সারা পৃথিবীতে আমরা যে যেই ইনকামই করি না কেন তা প্রধানত ২টি ভাগে বিভক্ত।
১. এ্যাকটিভ ইনকাম এবং
২. প্যাসিভ ইনকাম।
ব্যাখ্যাঃ
১. এ্যাক্টিভ ইনকামঃ আমরা বিভিন্ন জন ইনকামের জন্য বিভিন্ন কাজ করে থাকি। যে যেই কাজই করি না কেন, কাজ করলে পারিশ্রমিক পাই, কাজ না করলে পারিশ্রমিক পাই না। মনে করুন আপনি একটি অফিসে চাকুরী করেন। সেখানে আপনি মাসিক ভিত্তিতে বেতন পান। কিন্তু আপনি যতদিন ডিউটি করবেন ততদিন বেতন পাবেন। আপনি যদি অবসরে যান বা কোন কারণে চাকুরীচ্যুত হন তাহলে বেতন বন্ধ। অথবা ধরুন আপনি একজন ডাক্তার। চেম্বারে রোগীর চিকিৎসা করেন। যতদিন রোগী দেখবেন ভিজিট পাবেন। রোগী দেখা বন্ধ, ভিজিটও বন্ধ হয়ে যাবে। এ রকম যত ইনকাম আছে এর সবগুলোই হল এ্যকটিভ ইনকাম। অর্থাৎ আপনি যতদিন কাজে এ্যাকটিভ আছেন, ইনকাম আছে। আপনি বিশ্রামে গেছেন আপনার ইনকামও বিশ্রামে যাবে বা বন্ধ হয়ে যাবে।
২. প্যাসিভ ইনকামঃ প্যাসিভ ইনকাম হলো একটি মজার ইনকাম। প্যাসিভ ইনকাম হল ঐ ইনকাম যে ইনকামের জন্য আপনাকে বার বার কাজ করতে হবে না বা কাজে এ্যাকটিভ থাকতে হবে না। একবার আপনি একটি কাজ করে রাখবেন লাইফ টাইম সেখান থেকে ইনকাম আসতে থাকবে বা সুফল ভোগ করতে থাকবেন। এটাকে আপনি রয়েলিটিও বলতে পারেন। মনে করুন, আপনি একটি বই লিখেছেন। ঐ বইটি প্রেসে যতদিন যতবার ছাপা হবে আপনার নামে রয়েলিটি বা ইনকাম আসতে থাকবে। অথবা ধরুন, আপনি কিছু টাকা খরচ করে একটি বহুতল ভবন নির্মান করেছেন। ব্যাস, আপনার কাজ শেষ। এখন আপনি শুধু খাবেন ,ঘুরবেন আর ঘুমাবেন। মাসে মাসে আপনার বাসা ভাড়া আসতে থাকবে। আপনি কাজ করলেন একবার আর ইনকাম আসতে থাকবে লাইফ টাইম। এটাই হল প্যাসিভ ইনকাম। তবে এ কাজে আপনাকে একটি বড় ইনভেস্ট করতে হয়েছে। যেটা করার সুযোগ সবার থাকে না। তাই তাদের জন্য এমনকি সকলের জন্য আমাদের ‘অপরচুনিটি মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড বা ওএম বাজার’ এবং মাইক্যাশ এর নতুন প্রজেক্ট ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’। এই ক্যাশলেস সোসাইটির কথা একটু পরে বলছি।
এখন আমরা দেখব এ্যাকটিভ ও প্যাসিভ ইনকামের তুলনামূলক পার্থক্য।
ফরমাল জব এবং ওএম বাজার+মাইক্যাশের তুলনামূলক পার্থক্যঃ
১. জব বা চাকুরীর ইনকাম নির্দিষ্ট পক্ষান্তরে ক্যাশলেস প্রজেক্ট থেকে থাকছে অনির্দিষ্ট বা অনেক বেশী ইনকামের সুযোগ।
২. জব বা চাকুরীতে রিস্ক বা ঝুকি আছে কিন্তু আমাদের এই ক্যাশলেস প্রজেক্টে কোন ঝুকি নেই।
৩. জবে মানি ফ্রিডম থাকে না কিন্তু ওএম বাজারে মানি ফ্রিডম আছে।
৪. জবে টাইম ফ্রিডম থাকে না কিন্তু ওএম বাজারে টাইম ফ্রিডম আছে।
৫. চাকুরীতে বসের নির্দেশে কাজ করতে হয়, ও এম বাজারে কারো নির্দেশনা মানতে হয় না।
৬. স্টপ জব স্টপ ইনকাম বাট ওএম বাজারে ইনকাম বন্ধতো হয়ই না বরং যতদিন অতিবাহিত হতে থাকবে ইনকাম বাড়তে থাকবে।
বাংলাদেশ এমনকি সারাবিশ্বে এখন অব্দি ইনকামের এত সুন্দর পদ্ধতি কেউ উদ্ভাবন করতে পারেনি। ইন্টারনেট বা অনলাইনের সাথে যারা পরিচিত তারা নিশ্চয়ই এ্যামাজন, আলীবাবা ইত্যাদির নাম শুনেছেন বা কেউ কেউ এখান থেকে ইনকামও করে থাকেন। এ্যামাজনতো সারাবিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে। কিন্তু আমি এখন এই এ্যামাজনের চেয়েও আরো অনেক সুন্দর পদ্ধতি এবং সহজ ইনকামের একটি সাইটের নাম বলব। যে সাইটে কাজ করা অনেক সহজ এবং ইনকাম আসবে লাইফ টাইম। আপনারা ভাবছেন চাপাবাজির জায়গা পাওনা, এ্যামাজনের চেয়ে আবার সুন্দর সাইট হয় কি করে। হয় এবং সেটা বাংলাদেশেই।
তাহলে শুনুন, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নাম নিশ্চয়ই সবাই শুনেছেন। সেই মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং হচ্ছে ’মাইক্যাশ’ আর ’অপরচুনিটি মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড’ (ওএম বাজার) এই ২টি কোম্পানী যৌথভাবে একটি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছে। প্রজেক্টের নাম হচ্ছে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’। অর্থাৎ বাংলাদেশে নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে ভার্চুয়াল মানির মাধ্যমে লেন দেনের ব্যবস্থা করা। সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশকে ডিজিটাইলেশনে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেয়া। যেটা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পেটিএম এর মাধ্যমে লেনদেন শুরু হয়ে গেছে। আমরাও এখন থেকে নগদ ক্যাশ নিয়ে ঘুরব না, ব্যালেন্স থাকবে মোবাইলের ওয়ালেটে আর আমরা সকল কেনাকাটা, লেনদেন করব ডিজিটের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে।
নগদ ক্যাশ ব্যবহারে কি কি সমস্যা আছে এবং ক্যাশলেস প্রজেক্টের আওতায় মানুষ কেন আসবেঃ
* এটি যুগোপযুগী, আর মানুষ সব সময় যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলে।
* নগদ টাকা বহন করা ঝুকিপূর্ন, টাকা ছিনতাই হতে পারে, হারিয়ে যেতে পারে। এমনকি কোন কোন সময় জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায় এই টাকা।
* বড় নোট ভাংতি করতে সমস্যা হয়।
* টাকার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ায়।
* টাকা পুরোনো হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।
* টাকা জাল পড়তে পারে।
এখন আসুন দেখি এই ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’বাস্তবায়নের মাধ্যমে কয়টি শ্রেণী লাভবান হয়ঃ
এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নের মাধ্যমে ৬ টি শ্রেণী লাভবান হবে। সেই ৬টি শ্রেণী হচ্ছেঃ
১. সরকার
২. ব্যাংক
৩. কাস্টমার
৪. ব্যবসায়ী
৫. মার্কেটিং অফিসার
৬. কোম্পানী ম্যানেজমেন্ট
এই ৬টি ক্যাটাগরী কিভাবে লাভবান হবে তা আমি খুবই সংক্ষেপে আলোচনা করব যাতে আপনাদের ধৈর্য হারিয়ে না যায়।
১. সরকারঃ কাগজের টাকা হাত বদলের মাধ্যমে পুরোনো হয়ে ছিড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এই পুরোনো টাকা ফেলে দিয়ে সরকারকে আবার নতুন টাকা ছাপাতে হয়। তাই বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বছর বাজেটে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকে নতুন টাকা ছাপানোর জন্য। আর প্রতি বছর ঈদের সময় এই নতুন টাকা আমাদের চোখে পড়ে। টাকার ব্যবহার যত কমবে, টাকা নষ্ট তত কম হবে আর সরকারের বাজেটও এই খাতে কমতে থাকবে। নগদ ক্যাশের পরিবর্তে যখন ডিজিটের মাধ্যমে লেনদেন শুরু হবে তখন বিভিন্ন খাতের দুর্নীতি কমতে থাকবে। কারণ, প্রতিটি লেনদেন এরই রেকর্ড বা ডকুমেন্ট থেকে যাবে।
২. ব্যাংকঃ মানুষ যখন মোবাইলের টাকা দিয়ে কেনাকাটা শুরু করবে তখন প্রত্যেকের মোবাইলে ১০০, ২০০, ৫০০ এমনকি কারো কারো মোবাইলে হাজার হাজার টাকা থাকবে। বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১ কোটি লোক এর আওতায় আসলে এবং এ্যাভারেজে প্রত্যেকের মোবাইলে ২০০ টাকা করে থাকলে মোট টাকা হয় ২০০ কোটি। এই টাকা ব্যাংক ব্যবহার করে লাভবান হবে।
৩. কাস্টমারঃ আমরা কেউ চাকুরী করি, কেউ ব্যবসা করি এবং কেউ পড়াশুনা করি। কিন্তু যে যাই করি না কেন দিনশেষে আমরা সবাই কাস্টমার। আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু কিনতে হয়। আর কাস্টমার এখান থেকে কিভাবে লাভবান হবে দেখুনঃ
# নগট টাকার ঝামেলামুক্ত (ছিনতাই, জাল টাকা, ভাংতি সমস্যা, ভাইরাস ছড়ানো) হবে।
# ডিসকাউন্টঃ হাজারে ৬০ টাকা প্লাস ডিসকাউন্ট পাবে।
#বিগ ডিসকাউন্টঃ ১০-১৫ হাজার টাকার কেনাকাটা হয়ে গেলেই বিগ ডিসকাউন্টের আওতায় আসবে। অর্থাৎ (১০-৫০)% ডিসকাউন্ট পাবে।
#ফ্লেক্সিলোডঃ ফ্লেক্সিলোড থেকে হাজারে ৯ টাকা ক্যাশব্যাক পাবে, যা বিকাশ থেকে পাওয়া যায় না।
# বিল পরিশোধঃ মোবাইলের মাইক্যাশ দিয়ে বিদ্যুত বিল, পানির বিল এমনকি ব্যাংকের ডিপোজিটও দেওয়া যাবে।
# অল প্রফিট ব্যাকঃ কোন কাস্টমার যদি এ্যাক্সিডেন্টে মারা যায় তাহলে ঐ কাস্টমারের নিকট থেকে ব্যাংক যা লাভ করেছে ব্যাংকের কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সব লাভ ফেরত দিবে।
৪. ব্যবসায়ীঃ ধরে নিন একজন ব্যবসায়ীর প্রতিদিন গড়ে ১০০ কাস্টমার আছে। সে যদি মাইক্যাশের সাথে চুক্তিতে আসে তাহলে মাইক্যাশের বিভিন্ন দোকানের কাস্টমার তার দোকানে যাবে। এভাবে একজন ব্যবসায়ীর কাস্টমার যত বাড়বে তার লাভ তত বাড়বে।
৫. মার্কেটিং অফিসারঃ
সকল মার্কেটিং অফিসারই কাস্টমার কিন্তু কোন কাস্টমারই মাকেটিং অফিসার নয়। তাই একজন মার্কেটিং অফিসার কাস্টমারের সকল সুবিধা ভোগ করবে।
# একজন মার্কেটিং অফিসার নিজে যখন কেনাকাটা করবে তখন সে ডিসকাউন্ট পাবে।
# মার্কেটিং অফিসারের প্রত্যেক কাস্টমার থেকে কমিশন পাবে। কাস্টমার যত বেশী হবে ইনকাম তত বেশী হবে। একবার কাস্টমার করে লাইফ টাইম ইনকাম পাওয়া যাবে। এই সুবিধাটি এখনও সারা বিশ্বের কোথাও কোন কোম্পানী দিচ্ছে না।
# ফ্লেক্সিলোড থেকে ক্যাশব্যাকের সুবিধা।
৬. কোম্পানী ম্যানেজমেন্টঃ বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ৮ কোটি মানুষ কোম্পানীর টার্গেট। এই ৮ কোটির মধ্যে যখন মাত্র ১ কোটি মানুষ এর আওতায় আসবে তখন প্রত্যেক কাস্টমার থেকে যদি ০.৫০ পয়সা করে কোম্পানী লাভ করে তাহলে তার প্রতিদিন লাভ হচ্ছে ৫০ লক্ষ টাকা।
অতএব খুব শিঘ্রই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কোম্পানীতে পরিণত হবে এই কোম্পানী। তখন আমরা অনেকেই হয়ত এখানে কাজ করতে চাইব কিন্তু সুযোগ নাও পেতে পারি। তাই আর দেরী নয়। এখনি নীচের নম্বরে যোগাযোগ করুন অথবা ভিজিট করুন www.ombazar.com
আর রেফারেন্স নম্বর দিন ০১৯১২-৮৫৫৫৮৫ অথবা ০১৮৩৪-৩০৮৩০৮