সময়টা শীতকাল যার সাথে ঠান্ডা শব্দ টা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু আমাদের এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। আমার আপনার একটু সচেতনতায় পারে আপনাকে এবং আমাকে ঠান্ডা বা সর্দি কাশি থেকে দূরে রাখতে।
ঠান্ডা বা সর্দি কাশি একটি ছোঁয়াচে রোগ। রাইনো ভাইরাসের আক্রমণের ফলে এই রোগ হয়ে থাকে।
ঠান্ডা বা সর্দি কাশি থেকে বাঁচার কিছু উপায়
(১)শীতকালে অবশ্যই আমাদের গরম কাপড় পরিধান করতে হবে। যা আমাদের বাইরের পরিবেশের শীতল আবহাওয়া থেকে রক্ষা করবে এবং ঠান্ডা বা সর্দি কাশি থেকে কিছুটা হলেও দূরে রাখবে।
(২) যেহেতু ঠান্ডা বা সর্দি কাশি একটি ছোঁয়াচে রোগ সেহেতু আক্রান্ত কোন ব্যক্তির কাছ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করবো।
(৩) শীতকালে নিয়মিত হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করব। এতে করে আমাদের শরীর বিভিন্ন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা পাবে।
(৪) আপনি যদি ধূমপায়ী হন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
(৫) ঠান্ডা বা সর্দি কাশির কারণে যদি আপনার প্রচন্ড গলাব্যথা হয় তাহলে হালকা কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গরগর করতে পারেন।
(৬)শরীরের পানিশূন্যতা দূর করার জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
(৭) ভিটামিন সি’ সর্দি কাশির জন্য অনেক উপকারী তাই আপনি প্রয়োজন অনুসারে ভিটামিন সি’ খেতে পারেন।
(৮)ঠান্ডা বা সর্দি কাশির কারণে অনেক সময় নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনার বালিশটা যেন একটু উচু হয়
(৯) রাতের একটি আরামদায়ক ঘুম আপনাকে ঠান্ডা বা সর্দি কাশি থেকে কিছুটা রক্ষা করতে পারে
(১০) অবস্থা বেশি খারাপ হলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।