“শূণ্য পকেটে পাশ কাটেনি অথচ!” পড়শীর নমুনায় ও তাঁর অন্তরে ঠাঁই নেই। পৃথিবীতে কে আপন গো? যে পৃথিবীর বুকের উপর সৃষ্টিকর্তার নিদর্শনাবলীসহ আমরা ভর করি, জীবিকা নির্বাহ করি , মাথা রেখে আরামে বিশ্রাম নেই, স্বপ্ন দেখি এমনকি অন্তিম শয্যার স্থায়ী নিবাস গৃহ নির্মাণ করে থাকি সেই পৃথিবীটাকেও
আপন বলতে পারছিনা। কেন জান ? সে আমার সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারছে না তাই। আর যখন পৃথিবী কারো মতের বিপরীত মেরুতে অবস্থান নেয়, তখন তাঁর যে কত গালমন্দ ও নিষ্ঠুরতার শিকার হতে হয়, সে বর্ণনা করার ভাষা আজও খুঁজে পায়নি। তাই
পৃথিবীর জন্ম অবদি পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের থেকে তার আমরণ কাল গালমন্দ বয়ে বেড়াতে হয়েছে যে, “নিষ্ঠুর পৃথিবী”! শুধু কী তাই? শীতের চেয়ে গরম ভালো, গরম অসহ্য শীত ভালো, বর্ষা হয় না গজব হলো, আবার খরায় মরাও ভালো। অর্থাৎ মানুষের মন্দ নিয়ে ভালো দিয়েও তার গালমন্দ থেকে খোদ জগৎপতির ও যেন এড়ান নেই।
নাতো সৃষ্টিকর্তা হয়েও বান্দার আপন হতে পারলো!এ জন্য প্রশ্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক যে, সৃষ্টিকর্তা যদি মানুষের মন ভরে ও কৃতজ্ঞতা থেকে বিমুখ হন তবে মানুষের সামান্য স্বার্থে বেহাত হলে মানুষ হয়ে কীভাবে মানুষের প্রতি আপন মুখে মুখ করে থাকব ? আমিও তো মানুষ! অনেক সময় নিয়ে তার প্রিয় সব বিষয়গুলো সনাক্ত করে সেসব কিছুর মাঝে কৃতজ্ঞ থাকবো চেয়েছি। রাতজাগা পাখির মতো কতো যে নিতান্তই ভাব ও কাজের শিকার হয়েছি অভিমানেও ,ভেবেছি আজ পেটে এক মুঠো খাবার তো জুটেছে! পেট ও পিঠের জ্বালা বলতে একটা সময় অনাহার অর্ধাহারেও রাগ অভিমান সহ্য করে শুধু মুখে মুখে চেয়ে থেকে সময়ের শত জটিল পর্বগুলোও পার করেছি !
কারণ তার শূণ্য পকেট বলে হয়তো একটু এমন জ্বলন পীড়ন সহ্য করে নিতে হবে এটাই স্বাভাবিক!আর কাউকে আপন করে নিতে তাঁর সব কিছু অকপটে মেনে নেয়া কারো পক্ষেই অসম্ভব হয় না। তাই প্রেরণা যুগিয়েছি তাঁর ক্যারিয়ার গড়ার।নিয়ন্ত্রণ করেছি চাওয়া পাওয়ার আকুলতাকে। মনটাকে দমন করতে শিখেছি তার চেয়েও বড় নিষ্ঠুর হয়ে যে সামর্থবান হওয়া সত্যেও অজস্র নিষ্ঠুরতা দেয় এবং আমার থেকে কখনও জবাবদিহিতার শিকার হতে হয়নি। একটু আত্মতৃপ্তির – বিনোদন, দামি গিফট চাওয়া, ফ্যামিলির কোন চাপ, বরং তার কর্ম ব্যস্ততার সে সময় দেখার মত চোখ খুলে থাকিতাম পৃথিবীর সবকিছু একপাশ করে আরেক পাশে চার দেয়ালের দরজায় কিবা রাস্তায় দাাড়িয়ে তার অফিস থেকে ফিরে আশার শুভ কামনায়।
সেই মানুষটার কাছে আমার অবস্থান কখনোই উচু মানের মনে হয়নি। কেউ কি কোনদিন উচু মানের যোগ্য ব্যক্তিত্বকে অযোগ্য বলে তুচ্ছ জ্ঞানে মুষড়ে দিতে পারে? অপরদিকে যে তোমার শক্তি সাহস এবং প্রেরণার দ্বারা শক্তিশালী যোগ্যতা অর্জন করে কী করেই বা তার অবদান মুছে ফেলে নতুন কোন সঙ্গ লয়? তবুও সমাজ বলবে ক্ষমতাসীন যোগ্য লোকের পক্ষে আমার অযোগ্যতার কথা ,যদিও তাঁর “শূণ্য পকেটে পাশ কাটেনি অথচ!” পড়শীর নমুনায় ও আজ তাঁর অন্তরে আমার ঠাঁই নেই।অবশ্য নতুন যার সঙ্গ নিয়ে আমার মত পুরোনোকে অযোগ্য বলে ভিন্ন করেছে হয়তবা তাকে তাঁর যোগ্যতা ও নিপুণ দক্ষতা দিয়েই লালন পালন করতে হব যেটা আমরা বেলায় প্রয়োজন পড়েনি।
“স্বর্গ নিবাসী ফুল “
মুহা. কবির হোসেন
ফুটিয়া তো ছিলে ভূমে স্বর্গ নিবাসী ফুল
লুটিয়া ভ্রমেছো সেই সন্ধ্যা তারার দুল ।
ভেবেছো কী দিবা নিশি এই বুঝি কাল
এসেছো তো অবি-নাশী ওই পরকাল।
ফুটিলে তো ঝরে সবি ঝরে কুড়ি মূল
তবুও আশা ধরে গড়ি তারে পুল।
এগিয়ে চলে যদি শ্বাস নিঃশ্বাসে ভাসি
ধরাতে এ হালে কী আশ্বাস হয়ে পরবাসী।
শিশিরে ঢেউ গুলে ফুটি গো ঝরে ভাসি
নিশীতে আলো ফুলে ছুটি তো পড়ে হাসি।
অনুভূতি কথা বলে কাঁদিতে হাসিতে ত্রাস
বিচিত্র চিন্তা ফলে জীবন আশাতে নাশ,
প্রতিশ্রুতি যথা মূলে ফিরে যাবো তো আশ
সময়- রে আঁকড়ে কুড়ে কী আনন্দে কর বাস।
ভাবিয়া দেখেছে কী ফুল ফুটিলে সব মূল
রাঙিয়া শোভিছে সমূল জুটিল না তব গুল।
পৃথিবীতে আশা তামাসা ও গুলে মজা ভুল
জীবিতে বাসা গো হতাশা আমূলে সোজা পুল।
জীবনের লীলা খেলা আসলে ফোটা ফুল
গড়িয়ে এ বেলা ফেলে ফলবে পুন নির্ভুল।
হিত কথা :
” সত্য তিক্ত হলেও সেবন করতে হয় । “