আসসালামু ওয়ালাইকুম
কেমন আছেন সবাই
বাড়িতে থাকতে নিশ্চই কারোর এ ভালো লাগছে না। জীবনের কোনো রুটিন নেই। যখন যা ইচ্ছা তাই করতেছি। যখন ইচ্ছা ঘুমিয়ে পড়ছি, যখন ইচ্ছা ঘুম থেকে উঠছি। আজ আমি সঠিক ঘুমেই সুসাস্থ্য সম্পর্কে কিছু বলবো। প্লিজ সবাই পড়বেন। মেনে চলার চেষ্টা করবেন।
সঠিক ঘুমেই গড়ে তুলতে পারেন সুসাস্থ্য।
সুসাস্থ্যের জন্যে ঘুমের কোনো বিকল্প নেই, তবে সেই ঘুমের পরিমান এবং নিয়ম হতে হবে সঠিক। বয়স অনুসারে ঘুমের পরিমান ভিন্ন হয়। বাচ্চাদের সবচেয়ে বেশি পরিমানে ঘুমাতে হয়,আস্তে বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ঘুমের পরিমান কমাতে হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম সাস্থ্যকর।
শুধুমাত্র ঘুমের পরিমান ঠিক রাখলেই হবে না। ঘুমের সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রথমেই একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে নিন ঘুমানোর জন্য,প্রতিদিন সেই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।
ঘুমানোর আগে অবশ্যই নিজেকে পরিষ্কার রাখুন এবং আপনার আপনার ঘুমানোর জায়গাকে । ঘুমানোর বিছানাকে শুধু ঘুমানোর কাজে ব্যবহার করুন,বিশেষ করে বিছানায় কখনোই খাওয়া-দাওয়া করবেন না। নরম এবং আরামদায়ক কাপড় পরিধান করুন তাহলে ঘুম ভালো হয়। কফি এবং অতিরিক্ত চা পান করা বাদ দিন। অন্ততপক্ষে ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে মোবাইল,ল্যাপটপ, টিভি দেখা উচিত নয়।
.
.
.
.
.
.
.
.
ভরা এবং খালি পেটে ঘুমানো যাবে না,রাতে খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হেঁটে ঘুমাতে যাওয়া উচিত। দুপুরে ১ ঘন্টা বিশ্রাম নেয়া যেতে পারে তবে অসময়ে ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে ।
ঘুম না আসলে ঘুমের ঔষধ কখনোই সেবন করা যাবে না,ঘুমের সঠিক নিয়ম অনুসরণ করলে ঘুম চলে আসবে। সঠিক নিয়মে পরিমানমত ঘুমান এবং সুস্থ থাকুন।
ঘড়ে থাকুন সু্স্থ থাকুন।
সচেতন থাকুন। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন। গরম পানি আর চা পান করুন। অসুস্থ হলে তারাতারি ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ভয় করে পালিয়ে বেড়োবেন না। বর্তমান সময়ে অনেকে ঈদের জন্য বাজারে ভিড় করছেন। এটা করা ঠিক না। বেচেঁ থাকলে ঈদ উৎযাপন করতে পারবো। তাই এখন নাহয় ঈদ শপিং নাই করলাম। আশা করি সবাই বুজতে পেরেছেন। প্লিজ সবাই বাড়িতে থাকুন। পারলে গরীব দুঃখীদের সাহায্য করুন। পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন।
পাশেই থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ