আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি।
সপ্তম শ্রেণীর এসাইন্টমেন্ট ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
প্রশ্ন:আকাইদ কি?
উত্তর:আকাইদ শব্দটি “আকিদাহ”শব্দের বহুবচন।আকিদাহ শব্দের অর্থ হলো বিশ্বাস। আর আকাইদ শব্দের অর্থ হলো”বিশ্বাসমালা”.ইসমালের মূলভিত্তি সমূহ যেমন তাওহীদ ,রিসালাত,আখিরাত,আসমানি কিতাব,ফেরেশতা ইত্যাদির উপর বিশ্বাস স্থাপন করার নাম আকাইদ।
প্রশ্ন:তাওহীদ বিশ্বাস করা প্রয়োজন কেন ?
উত্তর:
তাওহীদ হলো আকাঈদের সর্বপ্রথম এবং সর্বপ্রধান বিষয়। তাওহীদ শব্দের অর্থ হলো “একত্ববাদ”.মহান আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় তার কোনো শরিক নেই। এই বিশ্বাসের নাম তাওহীদ। মহান আল্লাহ তা’য়ালা এক এবং অদ্বিতীয়। তাহার কোনো শরিক নেই,এই বিশ্বাসের নাম তাওহিদ।
পবিত্র কোরআনের মহান আল্লাহ বলেন :
“তিনিই আল্লাহ।তিনি ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নাই”(সূরা আল বাকারা -আয়াত ২৫৫).
তাই তাওহীদে বিশ্বাস করা মানুষের জন্য খুব প্রয়োজন। কারন:
ক.ইসলামের সকল বিধিবিধান তাওহীদের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
খ.মুসলিম হবার পূর্বশর্ত হলো ঈমান াণ.আর ঈমানের শুরু হলো তাওহীদে বিশ্বাস করা।
গ.তাওহীদে বিশ্বাসী মানুষকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা এনে দেয়। কেননা তাওহীদে বিশ্বাসী মানুষ সকল প্রকার অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করে।
ঘ.ভাতৃত্ববোধ ও সহমর্মিতা বৃদ্ধিতে তাওহীদে গুরুত্ব অনেক। একত্ববাদে বিশ্বাস মানুষকে এক জাতিত্তিবোধ এনে দেয়.
সুতরাং আমাদের তাওহীদে বিশ্বাস করা প্রয়োজন ,শুধু মুখে নয় অন্তরে বিশ্বাস করতে হবে। তবেই আমরা দুনিয়া ,আখিরাতে সফলকাম হতে পারবো।
গ.কুফরের পরিনাম ব্যাখ্যা কর.
উত্তর:
কুফর শব্দের অর্থ অবিশ্বাস করা,অস্বীকার করা ,গোপন করা এবং ঢেকে রাখা। কুফর হলো ঈমানের বিপরীত। অর্থাৎ তাওহীদ,রিসালাত ,আখিরাত ,আসমানী কিতাব ,ফেরেশতা আল্লাহর হুকুম ,আহকাম ইত্যাদি অবিশ্বাস করে হলো কুফর বা কুফরী করা.যে ব্যক্তি কুফরী করে তাকে বলা হয় কাফির। আল্লাহ তা য়ালা যারা অস্বীকার করবে তাদের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে কোরআনে ও হাদিসের কিছু বর্ণনা নিচে তুলে ধরা হলো:
“নিশ্চয় মুশরিক ও আহলে কিতাবে যারা কুফরী করেছে তাদের স্থান জাহান্নামে। সেখানে তারা চিরস্থায়ী ভাবে থাকবে। তারাই হলো সর্বনিকৃষ্ট সৃষ্টিজীব। “(সূরা:বাইয়্যিনা ;আয়াত:৬)
আখিরাতে কাফিরদের স্থান হবে জাহান্নামের। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।
এছাড়াও দুনিয়াতেও কাফিরদের জন্য আজাব রয়েছে। আল্লাহ বলেন:
“আর যদি জনপদসমূহের অধিবাসীরা ঈমান আনতো এবং তাকওয়া অবলম্বন করতো। তাহলে আমি অবশ্যই আসমান ও জমিন থেকে বর্কতসমূহ তাদের উপর খুলে দিতাম ;কিন্তু তারা অস্বীকার করল। অতঃপর যা অর্জন করত তার কারণে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম।”(সূরা -আল আরাফ আয়াত ৯৬)
এই আয়াত ঠেকে আমরা বুঝতে পারি যারা কুফরী করে তারা দুনিয়াতে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয় এবং পরকালেও ভোগ কঠিন আজাব।
সুতরাং আমাদের উচিত কুফর থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় প্রার্থনা করা।
ঘ.শিরকের কুফল ও পরিণতি ব্যাখ্যা কর.
উত্তর:
শিরক শব্দের অর্থ হলো অংশীদার সাব্যস্ত করা ,সমকক্ষ মনে করা।ইসলামী পরিভাষায় আল্লাহ তা’য়ালার সাথে অন্য সবকিছুকে অংশীদার সাব্যস্ত করা বা মনে করাকে শিরক বলে। শিরক হলো তাওহীদের বিপরীত।
শিরকের কুফল ও পরিণতি খুবই ভয়ানক। পবিত্র কোরআন মজীদে শিরকে সবচেয়ে বড় যুলুম বলা হয়েছে।
‘নিশ্চয় শিরক করা চরম জুলুম “(সূরা-লুকমান আয়াত ১৩)
শিরকের কুফল;শিরকের সবচেয়ে বড় কুফল হলো এর মাধ্যমে আল্লাহর সাথে অন্যায় আচরণ এবং বেয়াদবি করা। কেননা সকল ইবাদত এবং প্রশংসার একমাত্র হকদার হলেন মহান আল্লাহ তাওয়ালা। তাছাড়া শিরক একটি মর্যাদা হানিকারক কাজ। মুশরিকরা শিরকে লিপ্ত হয়ে নিজ হাতেসৃষ্টির কাছে নত করে। এর ফলে মানুষের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। শিরকের মাধ্যমে আমাদের সকল পুন্য দুলিস্বাৎ হয়ে যায়।
আল্লাহ শিরককারীদের জন্য জন্য হারাম করেছেন। তাকেও জালিক বা অত্যাচারী ঘোষণা করে তাদের সাথে কোনো সাহায্যকারী থাকবেনা বলেও ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ শিরকের ভয়াবহতা উল্লেখ করে পূর্ববর্তী নবীদের উপর সতর্কতা ঘোষণা করেছেন।
তাই আমরা শিরক থেকে নিজেদের দূরে রাখব এবং শিরক থেকে বাঁচার জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করব।
সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন
Related keyphrase: সপ্তম শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর, সপ্তম শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর, সপ্তম শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা প্রশ্ন, ৭ম শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর, ৭ম শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর, ৭ম শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা প্রশ্ন