আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব সরিষার তেল গায়ে মাখার উপকারিতা ও নানা কথা সম্পর্কিত কিছু তথ্য নিয়ে। তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
প্রাত্যহিক জীবনে আমাদের তেলের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। খাবারে, ত্বকের যত্নে, অসুখে-বিসুখে আমাদের তেলের দরকার হয়। যা ছাড়া আমাদের এক মুহূর্ত ভাবা যায় না। দৈনন্দিন ব্যবহারের তালিকার তেল গুরুত্বপূর্ণ।
সরিষার তেল গায়ে মাখার উপকারিতা ও নানা কথা
নিত্যপন্যের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম আকাশচুম্বী। কিন্তু ভেবে দেখুন তো সয়াবিন তেল রান্না ছাড়া আর কি কাজে লাগে?
কোনো কাজেই লাগে না। বরং আমাদের দেহের নানা প্রকার রোগের সৃষ্টি করে। দেহে ঝুঁকি বাড়ায়।
আজকে আপনাদের বলবো সরিষা তেলের উপকারিতা, প্রয়োজনীয়তা এবং কি কি কাজে ব্যবহার করা যায়। তার আগে বলে রাখি সরিষা তেলের ব্যবহার সেই প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে। তবে সরিষা তেল হতে হবে খাঁটি এবং ঘানিতে ভাঙ্গা। কারণ বাজারে অসাধু উপায়ে বিক্রেতারা তেল বিক্রি করে। ঝাঁঝ বাড়াতে ভেজাল মেশায়। আর প্যাকেটজাত সরিষা তেলে দাম নাগালের বাইরে।
সরিষা তেলের উপকারিতা বলতে গেলে শেষ হবে না। তবুও বিশেষ কিছু উপকারিতা তুলে ধরলাম –
★ওজন কমাতে সহায়তা করে।
★ হৃদযন্ত্র ভালো রাখে।
★সর্দি,কাশি বিভিন্ন রোগ নিরাময় করে।
★চুলের অকালপক্কতা রোধ করে।
★ত্বকে মশ্চারায়জার হিসেবেও এর আদিকাল থেকে ব্যবহার রয়েছে।
★খাবারকে সুস্বাদু করে
টোটকা হিসেবে যেভাবে ব্যবহার করবেন –
★তিন চার কোয়া রসুন ছেঁচে তা সরিষা তেলে মেশান এবং একটি পাত্রে চুলার আঁচে গরম করুন যতক্ষণ না রসুন বাদামি রঙের হয়। এটা বাচ্চা বা বড় মানুষের বুকে মালিশ করে সর্দি-কাশি থেকে আরাম পাবে।
★ সরিষা তেলের সাথে সামান্য পরিমান চুন মিশিয়ে গলায় লাগান গলা ব্যথা থেকে আরাম পাবেন। তবে সামান্য চুন।
★এক চিমটি লবণ আর সরিষা তেল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের জীবানুনাশ হয়।
এবার আসি এর অপকারিতায় অনেকের শরীরে সরিষা তেলের সাইড ইফেক্ট দেখা দেয়। যেমন ;
★ত্বক লাল হয়ে যায় বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে না ব্যবহার করা ভালো ।
★আবার কেউ কেউ এর ঝাঁঝ সহ্য করতে পারে না।
আপনি চাইলে সরিষা ভাঙ্গিয়ে তেল তৈরি করে নিতে পারেন। কারণ বাজারে ভেজাল তেলের সংখ্যা বেশি। এতে আপনার অর্থওভসাশ্রয় হবে। রান্নার কাজে সরিষা তেল অল্প পরিমাণ লাগে। কারণ এর ঝাঁঝ বেশি এবং অল্পতে খাবারের রঙ সুন্দর হয়। এছাড়া এক তেলে আপনার সব প্রয়োজনীয়তা পূরণ হবে।
শরীর সুস্থ রাখতে সরিষা তেলের বিকল্প নেই। বাজারে অন্যান্য তেল যেমন ; অলিভওয়েল, সূর্যমুখী তেল এগুলো দাম তুলনামূলক অনেক বেশি। এছাড়া সরিষা তেল স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। প্রাচীন যুগ থেকে চলে আসা বাঙ্গালির ঐতিহ্য আমরা ধরে রাখতে সরিষা তেল ব্যবহার করা শুরু করি। এতে আমাদের দেহ সুস্থ, সবল, প্রাণবন্ত থাকবে৷
পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।