আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা!!
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন, এবং সুস্থ আছেন। আজকে আমাদের আর্টিকেলে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি।
আজকে আমরা আলোচনা করব স্ট্রোক এর ধরন এবং লক্ষণ সম্পর্কে।
কোনো কারণে যদি মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার কারণে স্নায়ুতন্ত্রের যদি কোন ধরনের ক্ষতিসাধন হয় তখন তাকে স্ট্রোক বলে। মানুষের একটি ভুল ধারনা থাকে যে, স্ট্রোক মস্তিষ্ক এবং হৃদপিন্ডে অভয় জায়গাতেই হয়। কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। স্ট্রোক হয় মস্তিষ্কে, হৃদপিন্ডে নয়। স্ট্রোক দুই ধরনের হতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারাত্মক হচ্ছে রক্তক্ষরণ জনিত স্ট্রোক।
এবং হঠাৎ করে দেহ অবশ হয়ে যাওয়া স্ট্রোক দুই-একদিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায় ।
তবে রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক অধিকাংশ সময় ভালো হয়না। স্ট্রোকের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে কয়েক মিনিটের মধ্যে রোগী সংজ্ঞা হারায়, মুখমণ্ডল লাল বর্ণ ধারণ করে, মাংসপেশি শিথিল হয়ে যায়, ঘাড় শক্ত হয়ে যেতে থাকে ইত্যাদি হচ্ছে স্ট্রোকের বিশেষ কিছু লক্ষণ।
স্ট্রোকের চিকিৎসা করতে হলে প্রথমেই দেখতে হবে যে রোগীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা রক্ত জমাট বেঁধেছে কিনা? যদি রক্ত জমাট বেঁধে থাকে তাহলে দ্রুত তার চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। আবার অনেক সময় চিকিৎসা না করে কেবলমাত্র ফিজিওথেরাপি এবং ডাক্তারের পরামর্শের মাধ্যমে এই রোগ থেকে নিরাময় লাভ করা যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক করলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। এ ধরনের স্ট্রোক করার পর যে অংশটি অবশ হয়ে আসে সেই অংশকে বলা হয় পক্ষাঘাতগ্রস্ত অংশ। নির্দিষ্ট নিয়মে এই অঙ্গগুলো নড়াচড়ার মাধ্যমে এই রোগ থেকে নিরাময় করা যায়। ধূমপান পরিহার করার মাধ্যমে এবং দুশ্চিন্তামুক্ত থেকে নিয়মিত ওষুধ সেবন করার মাধ্যমে এই রোগ থেকে নিরাময় লাভ করা সম্ভব।
তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে এই ক্ষেত্রে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সাথে কোন ধরনের খারাপ ব্যবহার করা যাবে না।
মূলত উচ্চ রক্তচাপের ফলে আমাদের দেশে অধিকাংশ রোগীর স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছে। একসময় যেখানে কলেরা, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগ ছিল বাংলাদেশের মহামারী, সেই জায়গায় স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের মতে, প্রতি চারজন ব্যক্তির মধ্যে একজন স্ট্রোক করে মারা যায়।
আর সেই চারজনের একজন যেন আপনি না হন। সেজন্য সর্বদা সতর্ক থাকুন এবং সুস্থ থাকবেন।
আপনার এই পোস্ট শেয়ার অনেক ব্যক্তিকে সচেতন করে তুলতে পারে। কাজেই আমাদের এই পোস্টটি শেয়ার করে গণসচেতনতা বাড়িয়ে তুলুন এবং বাড়ির ভেতরে নিরাপত্তার অবলম্বন করে করোনা প্রতিরোধে সহায়তা করুন।