হ্যাকাররা যেভাবে মোবাইল ট্রাক করে:
বর্ত মানে কিছু কিছু অবৈধ হ্যাকারদের কারনে সাধারন মানুষের মোবাইলও ট্র্যাক হতে পারে। আর এটা করতে পারে অসাধু হ্যাকাররা। প্রাইভেসি নষ্ট করার জন্যই সাধারণত হ্যাকাররা ফোন ট্র্যাক করে থাকে। শুধু তাই নয় ট্র্যাকিংয়ের পর তারা ফোনের কল রেকর্ড, ম্যাসেজ, কন্টাক্ট লিস্ট, ইমেইল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, অনলাইন অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি সহ সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে পারে। যা ব্যবহারকারী টেরও পাবেন না।পরবর্তীতে তারা সাধারন মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে থাকে।
হ্যাকাররা মূলত ব্যবহারকারীকে ঠকিয়ে তার ফোনে ম্যালওয়্যার ইন্সটল করে দেয়। এই ধরনের ম্যালওয়্যারকে মূলত স্পাইওয়্যারও বলা হয়। এই প্রোগ্রামগুলোকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যাতে এটি ব্যবহারকারীর ফোনের সিস্টেমে লুকিয়ে কাজ করতে পারে এবং সকল তথ্য হ্যাকার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।যা সাধারন মানুষ কোন ভাবেই টের পায় না।
হ্যাকাররা ইমেইল করে, ওয়েবসাইট থেকে, ফেক কল করে, অথবা ফিজিক্যালি ব্যবহারকারীর ফোনে এই ম্যালওয়্যার ইনজেক্ট করতে পারে। এছারা তারা ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে ও তাদের ফোন থেকে সিকিউরিটি কোড জেনে নেয়। আবার ব্যবহারকারী নিজেই অন্য কাজের জন্য কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করেও হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারেন।
হ্যাকারদের সেলফোন ট্র্যাকিং থেকে বাঁচার উপায়:
সেলফোন হ্যাকিং থেকে বাঁচতে ফোনে সিকিউরিটি লক ব্যবহার করা যেতে পারে। যেটাকে স্ক্রিন লকও বলা হয়। কারণ হতেই পারে হ্যাকার নিজেই ব্যবহারকারীর ফোনে ম্যালওয়্যার ইন্সটল করে দিলেন।ইন্টারনেট চালানোর সময় নেটে থাকা বিভিন্ন লটারী বা অন্য কোন লোভনীয় বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা যাবে না। কারন এর মাধ্যমে অতি সহজেই হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর মোবাইলের সিকিউরিটি নিয়ে নেয়।
দ্বিতীয়ত; ফোন কখনোই রুট করা যাবেনা। কেনোনা এধরনের অ্যাপ কাজ করার জন্য বেশিরভাগ সময়ই ফোনে রুট অ্যাক্সেসের ডিম্যান্ড করে।
তৃতীয়ত; কোনো অনাকাঙ্খিত মেইল বা ম্যাসেজ ওপেন করা যাবে না। ওই মেইলে যদি কোনো লিঙ্ক বা অ্যাটাচমেন্ট থাকে সেটাতেও ক্লিক করা যাবেনা। মেইলটি ওপেন করার আগে ভালভাবে যাচাই করে নিতে হবে।
চতুর্থত; গুগল প্লে স্টোর বাদে অন্য কোনো সোর্স থেকে কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর ফোনে অ্যাপ ইন্সটল করার আগে বা ইন্সটল থাকা অ্যাপসগুলোর পারমিশন চেক করে যাচাই করতে হবে যে সেটি অযথা পারমিশন ডিমান্ড করছে কিনা।