বর্তমান যুগে দূরে বসেও কথা বলতে পারছি অন্যজনের সাথে খুব সহজে। ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখতে পারছি আপনজনের মুখ। তবুও যোগাযোগ তা একটু কমই হয় তাই না! সবাই ব্যাস্ত অর্থ উর্পাজনে। শুধু টাকা চায়। টাকা ছাড়া উপায় নাই। কিছুক্ষণ বসে দাদা দাদুর সাথে আড্ডা দেওয়া যায় না।ওই যে গ্রুপ চ্যাট করতে হবে। ছোট বোনটি হয়তো মন খারাপ করে বসে আছে তা খেয়াল না করে আমরা গেম খেলায় ব্যস্ত। মা হয়তো অসুস্থ হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে, মায়ের পাশে বসে তার সাথে একটু কথা বলব তার সময়টুুকু নেয় কারণ ইউটিউবে ভিডিও যে দেখতে হবে।
বিয়েতে গেলে দেখতে পাবে সবাই বসে তো একসাথে আছে কিন্তুু কেউ একে অপরের সাথে কথা বলছে না সবাই হাতে ফোন নিয়ে ব্যাস্ত। নতুন ড্রেস কিনলে ছবি কিল্ক করে ফেসবুক আপলোড দিতে হবে। এই যে ঘরে কতো আদরের স্মৃতি আছে তা ক্যাপচার করার করো খেয়াল তাকে না। ইউটিউবে ছোট বাচ্চার ফানি ভিডিও দেখে হাসতে পারো কিন্তু সেই ছোট শিশু যখনা কাছে এসে বসে বিরক্তিকর বলে দূরে চলে যাও। বাইরে গিয়ে বন্ধুদের ট্রিট দিতে পারো। কিন্তু মার সাথে একটু বাজারে যেতে পারো না! নিজের প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে পারো। বাবার সাথে বসে দুই মিনিট বাবাকে সাহায্যে করতে পারি না! অনলাইন থেকেমখুব সহজে জামা,স্কিন প্রোডাক্ট বলতে গেল যা প্রয়োজন সব পাওয়া যায় এ কারণেই কমে গিয়েছে একসাথে শপিং এ যাওয়া। আমি বলছি না যে প্রযুক্তি ব্যবহার ভালো না। কিন্তু আমর কেন বড্ড বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছি!
এরকম তো হতে পারত বিয়েতে গিয়ে সবাই পাশাপাশি বসে গল্প করছি ফোন তাকে একটু দূরে সরিয়ে রেখে।একটু সামাজিক হয়ে উঠি। বাসায় মেহমান আসলে মাকে একটু সাহায্য করি,মুভিটা কিছুখন পর দেখলেই তো হবে। বোনটার সাথে বসে একটু কথা বলি লেখাপড়া খোঁজ খবর নি। দাদীর কোলে মাথা রেখে ভূত আর পেত্নীর গল্প শুনি। সকালে তারাতাড়ি উঠে একটু প্রার্থনা করতে বসি। মায়ের সাথে বসে অনলাইন থেকে ড্রেস অর্ডার দাও। শুধু তুমি কেন আধুনিকতার ছোঁয়া পাবে? একট পরিবর্তন তো হতেই পারি তাই না। পাশের বাসার আন্টির শুধু খারাপ দিক না দেখে ভালবাসাতা দেখি। চারপাশে গাছ লাগায় একটু ফেনটা রেখে। প্রতিদিন থেকে কয়েকঘন্টা রেখে দাও অন্যের জন্য। মাসি কোল দিয়ে জিজ্ঞেস করা তিনি কেমন আছেন। সব কাজিন মিলে হরর মুভি দেখতে বস। ফোনের লুডু বাদ দিয়ে লুডু চাট নিয়ে এসে লুডু খেলতে বস। ভাগাভাগি কর একে অপরের দুঃখ তখন দেখবে সব কষ্ট কমে যাবে। তোমার আধুনিকতার মাঝে সামাজিকরণ নিয়ে আসো। চাদে কর ফুলের বাগান। তখন দেখবে আউট ডুর ফোট তুলতে হবে না আর। চলোনা একটি সামাজিক হই যাতে একেঅপরের প্রতি ভালোবাসা কমে না যায়।