বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে অনলাইনে ইনকাম বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ মানুষই কোন না কোন ভাবে অনলাইনে আয় করার কথা শুনেছেন। তাদের অনেকেই আনলাইনে ইনকাম করতে চাচ্ছেন কিন্তু ঠিক জানেন না অনলাইনে কি কাজ করে টাকা আয় করা যায়। তাই আজকের লেখাটা তাদের জন্য যারা জানতে চাচ্ছেন অনলাইনে কি কাজ করে টাকা আয় করা যায়।
অনলাইনে অনেক ধরনের কাজ আছে যার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। তার মধ্যে থেকে সবচেয়ে জনপ্রিয় ০৭ টি কাজ সম্পর্কে আজ আপনাদেরকে বলবো
১. এ্যফিলিয়েট মার্কেটিং :
অনলাইনে আয় করার জন্য এটি একটি সহজ উপায় এবং কম ব্যয় বহুল। এখানে আপনার কোন নিজস্ব পণ্যের প্রয়োজন নেই। আপনি নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময় অন্যের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আপনার ওয়েবসাইট ব্লগ সাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্দিষ্ট কোন দোকানের রেফার করা লিঙ্কগুলো প্রচার করবেন। যখনই এই লিংকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি হবে তখনি আপনার নির্দিষ্ট কমিশন পেয়ে যাবেন।
২. ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি :
ই কমার্স সাইট তৈরি করে অনলাইনে আপনার নিজের বা নির্দিষ্ট দোকানের পণ্য সেল করে টাকা আয় করতে পারেন। বর্তমানে এটি একটি অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ইনকামের উপায়। এখানে সফল হতে পারলে আপনিই প্রতিমাসে অনেক বেশি আয় করতে পারবেন।অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে টাকা ইনকাম করতে চাইলে এটি হবে একটি ভালো উপায়। নির্দিষ্ট কমিশনের বিনিময়ে অন্যকে দিয়ে পণ্য বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
৩. ব্লগিং :
আপনি যদি প্যাসিভ ইনকামের কোন রাস্তা খুঁজে থাকেন তাহলে ব্লগিং হচ্ছে তারই একটি। প্রথমে আপনাকে একটা ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে। তারপর সেখানে অনেকগুলো কন্টেন্ট লিখতে হবে।এরপর গুগল এডসেন্স একাউন্ট এ্যাড করলে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে
৪. ফ্রীলান্সিং:
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে দক্ষতা ভিত্তিক কাজ করে টাকা ইনকাম করার একটি মাধ্যম। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু দক্ষতা থাকতে হবে। যেমন কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন,ডিজিটাল মার্কেটিং,প্রোগ্রামিং,ওয়েবসাইট ডিজাইন ইত্যাদি এছাড়াও আরও অনেক ধরনের দক্ষতা ভিত্তিক কাজ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে পাওয়া যায়। এসব কাজের জন্য অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে রয়েছে যেমন ফাইভার ডটকম ফ্রিল্যান্সার ডটকম পেপালপারওয়ার ইত্যাদি। প্রথমে এসব মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করতে হবে। তারপর বিভিন্ন কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৫. ইউটিউবার :
আপনি চাইলে ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে পারেন। তারপর গুগল এডসেন্স শর্ত পূরণ হয়ে গেলেই আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। এরপর গুগোল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রভ হলে বিজ্ঞাপন ক্লিকের মাধ্যমে আপনার টাকা ইনকাম হবে।
০৬. কনটেন্ট রাইটিং :
আপনার যদি ভালো লেখালেখির অভ্যাস থাকে তাহলে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা আয় করতে পারেন।তার জন্য আপনি চাইলে নিজের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে সেখানে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন অথবা অন্যের ব্লগ সাইটে টাকার বিনিময় লিখতে পারেন। এখানে কনটেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম নীতি অনুসরণ করতে হবে এবং গুগল সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকতে হবে।
আপনি যদি খুব ভালো ইংরেজী জানেন তবে আপনি বিদেশী ওয়েবসাইটে কনটেন্ট লিখে ভালো টাকা আয় করতে পারেন। ইংরেজী না জানলেও আপনি কনটেন্ট লিখতে পারবেন। আপনি চাইলে বাংলাদেশি বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট grathor.com এ একাউন্ট খুলে কনটেন্ট লিখে আয় করতে পারেন। grathor.com এ একাউন্ট খুলতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
প্রথমত আপনার কাছে মনে হবে এই ওয়েবসাইটটি খুব বেশি পে করে না। কিন্তু আপনি কিছুদিন কাজ করলে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি এখানে কনটেন্ট লেখার জন্য টাকা পাবেন। পাশাপাশি এফলিয়েট করেও ইানকাম করতে পারবেন। আপনার কনটেন্ট এর মানের উপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইটটি আপনাকে টাকা পেয়ে করবে এবং আপনার লেখা কনটেন্ট যত বেশি ভিউ হবে ততবেশি ইনকাম করতে পারবেন।
৭.অনলাইন কোর্স বিক্রি :
অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে আয় করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ে বা নির্দিষ্ট বিষয়ে কোর্স তৈরি করতে হবে এবং তার মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। তারপর সে গুলোকে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বা নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে বিক্রি করতে হবে।