বর্তমানে অনলাইন একটি প্যাসিভ ইনকাম সোর্স আমাদের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে পারে। একটি বাস্তব উদাহরণ দিলে প্যাসিভ ইনকাম কি? সেটা সহজেই বুঝে যাবেন। প্যাসিভ ইনকাম হলো এমন একটি ইনকাম ব্যবস্থা যেখান থেকে টাকা আয় করতে আপনাকে সব সময় লেগে থাকতে হয় না। অনলাইনে অনেক প্যাসিভ ইনকাম ব্যবস্থা রয়েছে, সেখান থেকে আজকে আমি আপনাদের কয়েকটা জানাবো। যেখান থেকে আপনারা প্রতি মাসে ১০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।
প্যাসিভ ইনকাম এর সবচেয়ে সেরা দিক গুলো কি কি?
- প্যাসিভ ইনকাম করতে হলে আপনাকে সব সময় এই কাজটির সাথে লেগে থাকতে হবে না।
- প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু সময় কাজ করার পর, এরপর আপনারা বসে বসে টাকা আয় করতে পারবেন।
- আপনাকে কারও অধীনে কাজ করতে হবে না, নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন। আপনার ইচ্ছা স্বাধীন কাজ করার এই মাধ্যমটা আপনি চালু করে রাখতে পারবেন।
- আপনার চাকরির সাথে সাথে প্যাসিভ ইনকামও আপনি চালিয়ে যেতে পারবেন।
কয়েকটি প্যাসিভ ইনকাম করার সাইট :
১/ ইউটিউব
আপনারা জানেন বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ইউটিউব বেশ ভালো জনপ্রিয়। বর্তমানে ইউটিউব এর ভিডিও দেখে না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই, ইউটিউবে এখন সবাই ঝুঁকে পড়ছে। টিভি ছেড়ে দিয়ে এখন কিন্তু সবাই ইউটিউবে ভিডিও দেখছে। সুতরাং আপনি যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন। তাহলে আপনি একটি প্যাসিভ ইনকাম সোর্স তৈরি করতে পারবেন। ইউটিউবে এখন 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং 1000 সাবস্ক্রাইবার করতে পারলে আপনি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন। তারপর এপ্রুভ হয়ে গেলে আপনি গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনি বিভিন্ন কোম্পানির স্পনসর্শিপ ভিডিও করে টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে ইউটিউব প্যাসিভ ইনকাম এর একটি সেরা উপায়।
২/ এফিলিয়েট মার্কেটিং
আমরা অনেকেই অনলাইন থেকে কেনাকাটা করি। অ্যামাজনের নাম হয়তো আপনি কখনো বা কখনো শুনেছেন। অনলাইনে কেনাকাটার জন্য সারা বিশ্বে একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে অ্যামাজন। বাংলাদেশেও অনেক ই-কমার্স সাইট রয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে দারাজ। এই ই-কমার্স সাইটগুলো থেকে আপনি অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট তৈরি করে, যেকোনো পণ্য লিংক শেয়ার করতে পারেন। এবং সেই লিঙ্কে ক্লিক করে যদি কেউ পণ্যটি কিনবে তাহলে, আপনার আয় হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি প্যাসিভ ইনকাম ব্যবস্থা।
৩/ অ্যাপ তৈরি
আপনারা যারা অ্যাপ তৈরি করতে পারেন। তারা অ্যাপ তৈরি করে গুগল প্লে স্টোরে পাবলিশ করে সেই অ্যাপ থেকে আয় করতে পারবেন। আমরা যখন কোন অ্যাপসে প্রবেশ করি তখন আমাদের সামনে অনেক সময় বিভিন্ন বিজ্ঞাপন চলে আসে, মূলত অ্যাপ এর মালিক সেই বিজ্ঞাপন থেকে আয় করে। বর্তমানে অ্যাপে বিজ্ঞাপন নেওয়ার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে এডমোব, যেটি গুগলের একটি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা। এটিও একটি প্যাসিভ ইনকাম করার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।
বন্ধুরা, উপরের যে তিনটি ব্যবস্থার কথা বলেছি তিনটের মধ্যে যেকোনো একটা যদি আপনি নিয়ম মেনে কাজ করা শুরু করে দেন আশা করি আপনি বেশ ভালো একটা পৃথিবী ইনকাম করতে পারবেন যেটি 10 হাজার থেকে 50 হাজার টাকা হতে পারে।