আপনি হয়তো অনলাইনে নতুন।ইনকামের সোর্স খুঁজছেন কিন্তু বারবার হতাশ হচ্ছেন কারণ এমন একটি ওয়েবসাইট খুঁজে পাচ্ছেন না যা আসলেই আপনাকে টাকা দিবে।আবার খুঁজে পেলেও সেখানে কাজ করার মতো পারদর্শীতা বা যোগ্যতা হয়তো আপনার নেই,যার কারণে ব্যর্থতাই আপনার নিত্যসঙ্গী।তাহলে আপনি rapidworkers ওয়েবসাইট টিকে একবার সাইনআপ করে দেখতে পারেন।এ ওয়েবসাইট টি অনেক বছর ধরে টাকা দিয়ে আসছে তাদের ওয়ার্কারদেরকে।
১.ওয়েবসাইটের ধরণ:র্যাপিডওয়ার্কার মূলত একটি মাইক্রোটাক্স এর ওয়েবসাইট।অর্থাৎ আপনি এখানে ছোট ছোট কাজ যেমন :ইউটিউব ভিডিও দেখা,জিমেইল তৈরী করা এবং বিভিন্ন ধরনের সাইন আপ করে টাকা আয় করতৃ পারবেন।
২.সাইন আপের নিয়ম:প্রথমে গুগল এ গিয়ে সার্চ দিতে হবে rapidworkers.com হিসেবে।প্রথমে যে ওয়েবসাইট টি আসবে সেটিতে গিয়ে ইমেইল,পাসওয়ার্ড,প্রথম নাম,শেষ নাম ইত্যাদি দিয়ে সাইন আপ করতে হবে।সাইন আপ শেষে ইমেইল টি ভ্যারিফ্যাই করে নিতে হবে।
৩.ইনকামের নিয়ম:অ্যাকাউন্ট তৈরী হয়ে যাবার পর লগ ইন করতে হবে।এরপর ড্যাশবোর্ড এ গিয়ে আপনি অসংখ্য কাজ দেখতে পাবেন।আপনি কোন কাজটি করতে চান সেটি খুঁজে পাওয়ার জন্য ওখানে একটি সার্চ বার ও সংযুক্ত আছে।যেখানে আপনি ক্যাটাগরী অনুযায়ী সার্চ দিতে পারবেন।আবার কোনকার করলে বেশি আয় হবে সে হিসেবেও সার্চ দিয়ে দেখতে পারবেন।
৩.১:ইউটিউব ভিডিও দেখে আয়:সার্চ বার এ গিয়ে ইউটিউব ভিডিও দিয়ে সার্চ দিলেই আপনার সামনে আলাদা আকারে ইউটিউব সম্পর্কিত সকল কাজ প্রদর্শিত হবে।কাজের পাশে কোন দেশের জন্য প্রযোজ্য তা উল্লেখ করা থাকে।অবশ্যই তা মেনে কাজ করতে হবে।কোনোভাবেই অন্য কোন দেশের কাজ করে ফেলা যাবে না।তবে ইন্টারন্যাশন্যাল কাজ গুলো সবাই করতে পারবেন।যদি কোনভাবে অন্য দেশের কাজ করেও ফেলেন সেক্ষেত্রে সাপোর্ট ট্যাব এ কথা বলে তাদেরকে জানিয়ে দিতে হবে।
৩.১.১:যেভাবে ইউটিউব ভিডিও এর কাজটি সঠিকভাবে করবেন:একেকটি কাজের চাহিদা একেকরকম থাকে এখানে।যেহেতু ক্যামপেইন যিনি করেছেন তিনি সব ক্ষেত্রেই আলাদা মানুষ।তাই কাজের বর্ণনা অনুযায়ী কাজ না করলে কাজটি বাদ দিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।ইউটিউব ভিডিও দেখার সময় আপনাকে সাধারণত যে কাজ করতে হতে পারে-
1.পুরো ভিডিও টি দেখা।
2.লাইক এবং সাবসক্রাইব করা।
3.যেকোনো তিনটি স্যোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে ভিডিওটি শ্যেয়ার করা।
এখন প্রমাণ হিসাবে যে যে জিনিস আপনার কাছে চাওয়া হতে পারে-
1.পুরো ভিডিও যে দেখেছেন এটার একটি স্ক্রিনশট।
2.লাইক এবং সাবসক্রাইব এর স্ক্রিনশট।
3.তিনটি স্যোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার লিঙ্ক।
তো এই স্ক্রিনশট গুলো একবারে আপলোড করা যায় না।স্ক্রিনশট গুলোর লিঙ্ক ওখানে পেস্ট করে দিতে হয়।এ কাজটি করার জন্য আপনি যে অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন তা হচ্ছে lightshot.স্ক্রিনশট তুলে প্রথমে lightshot অ্যাপ এ রাখতে হয় এবং সেখান থেকে লিঙ্ক কপি করে র্যাপিডওয়ার্কারস এ অ্যাপলোড দিতে হয়।আপনি যখন কাজ করবেন এ সম্পর্কে আরও কিছু শিখতে পারবেন।মাঝে মাঝে আপনি পুরো ভিডিও দেখেছেন কিনা এটার প্রমাণ হিসেবে স্ক্রিনরেকর্ড চায় তারা।স্ক্রিনরেকর্ড করে লিঙ্ক পাওয়ার জন্য যে অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন তা হচ্ছে Screen o’matic.
প্রতিটা ভিডিও ঠিকভাবে দেখার জন্য আপনি পাবেন 0.030$ অথবা বাংলাদেশি টাকায় পুরো তিনটাকার কাছকাছি।তারমানে মাত্র তিনটি ভিডিও দেখলেই আপনি পাবেন 0.100$.র্যাপিডওয়ার্কারস এ একদিনে এক ডলার করাও সম্ভব।
৩.২:জিমেইল তৈরী করে আয়:এই কাজটি র্যাপিডওয়ার্কারস এ অনেক বেশি এবং কাজের রেট ও অনেক বেশি।জিমেইল তৈরী করতে হয় যে কাজটি দিয়েছেন তার প্রয়োজন মতো।এখানে একটি কাজে 0.250$ ও দেয়া হয়।
৩.৩:সাইন আপ করে আয়:ওয়েবসাইট এ সাইনআপ করে ও অনেক ভালো আয় করা যায়।
আমি এখানে শুধুমাত্র কাজ সম্পর্কে একটু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।সাইন আপ করলে আরও ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন।
৪.পেআউট অ্যামাউন্ট:পেআউট অ্যামাউন্ট হচ্ছে ৮$ এবং
আপনি টাকা তুলতে পারবেন পেপালের সাহায্যে।বাংলাদেশের জন্য আপনি পেপালে বিজনেস অ্যাকাউন্ট টি খুলে দেখতে পারেন।পেআউট অ্যামাউন্ট এ পৌঁছনোর পর তাদেরকে ইমেইল করতে হয়।সাতদিনের মধ্যে টাকা পৌছে যাবে।
৫.র্যাপিডওয়ার্কারস এর সুবিধা:এখানে মূল সুবিধা হচ্ছে আপনি যদি টাকাটি না উঠাতে চান তবে নিজের জন্যই ক্যামপেইন করে ফেলতে পারেন।অর্থাৎ অন্য যেকোন ওয়েভসাইট এ সাইন আপ করার জন্য টাকাটা ব্যবহার করতে পারেন।এখানে আপনি কোন দেশের ওয়ার্কার চান তাও সিলেক্ট করে দিতে পারবেন এবং কাজের পরিধিও আপনার হাতে নাস্ত থাকবে।
তাই ওয়েবসাইট টাতে সাইন আপ করে ব্যবহার করে দেখুন।আজকে এ পর্যন্তই।ধন্যবাদ সকলকে।