আজ আমি আমার অসমাপ্ত ও ব্যার্থ প্রেমের গল্প, তোমাদের কাছে তুলে ধরছি। একটা কথা আছে টাকার কাছে ভালোবাসাও হেড়ে যায়। সত্যি কি তাই, আজ আমি তারই প্রমান দিতে চলেছি। আমার এই ব্যার্থ প্রেমের এর মাধ্যমে?
আমার অনেক আগেই বুঝে যাওয়া উচিত ছিলো। প্রথম থেকে বলি গল্পটা, আমাদের প্রথমে দেখা হয়েছিলো আমার এক বন্ধুর ভাইয়ের বিয়েতে, প্রথম দেখাতে ভালোলাগা, একে অপরের প্রেমে পড়া,এরপড় এ ভাবে তার আবদার ও চাওয়া পাওয়া ভালো লাগার জিনিস জোগার করতে করতে কখন যে একটা বছর পেরিয়ে গেছে কিছুই বুঝতে পাড়িনি। এদিকে অনেক চেষ্টা করেও একটা ভালো চাকরি খুজে পাইনি। অনে কষ্টে মাস্টার্স ডিগ্রি কমপ্লিট করে ছিলাম। ভেবে ছিলাম সপ্ন পুরন হবে, কোর্স কম্পিলিট করতে গিয়ে বাবার বিক্রি করতে হয়েছে শেষ সম্ভল রাস্তার পাশের জমি।
এই পরিস্হিতিতে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে পড়লো। যখন সুনলাম (সুমাইয়ার) বিয়ে ঠিক হয়েছে, বিয়ের দিন ও তারিখ ঠিক হয়ে আছে, আমারা দুজনে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসি। এর মধ্যে তাকে একদিন বাড়িতে নিয়ে যাই। বাবা আমাদে দুর দুর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, আমি কার জন্য এতো কষ্ট করি, সুধু তোর জন্য। পায়ের ব্যাথা বেশিক্ষণ ঠেলা গাড়িটা নিয়ে চালাতে পাড়িনা। চলতে চলতে রাস্তায় বসে পড়ি, কখনো কি বলেছি তোকে এইসব কথা। রাতে তোর মায়ের শ্বাস্বকষ্ট শুরু হয়। সেই খবর রাখিস, তোর লেখাপড়ার খরচা যোগাতে গিয়ে তোর মায়ের ঔসুধ কেনার টাকা প্রজন্ত থাকেনা। আর তুই কিনা অবশেষে আমাদের সম্মান মাটিতে মিশিয়ে দিলি। আমি বেচে থাকতে কোনো দিনও আমার সামনে তুই আসবিনা।
অনেকটা রাগ, আর অভিমান নিয়ে আর নিজের ভালোবাসাকে সঙ্গে নিয়ে নিজে বাড়ি ঘর ও এলাকা ছাড়লাম। হাতে অল্প কিছু টাকা ছিলো। সেইটাকা নিয়ে আবারো চলে আসলাম ঢাকা। চাড়দিকটায় সুধু মানুষের ভিড়। কিনতু আমাদের রাত কাটানোর ব্যাবস্তা করতে হবে। হাতে যা টাকা বেচে ছিলো। তা দিয়ে স্নেহার জন্য একটা মোটামুটি ভালো ধরনের হোটেল ভাড়া করলাম। কিনতু আমি ঠিক করলাম মাথা গোজার মতো একটা চালা থাকলেই হলো। করন ওই হোটেলে দুজন থাকতে গেলে অনেক খরচ হয়ে যাবে।
এদিকে কাজের খোজ করেও কাজ পাচ্ছি না। এভাবে কেটে গেলো পুড়োটা দিন। এদিকে খরচ চালানোর তাগিদে মায়ের দেওয়া সর্ণের চেনটাও বিক্রি করে দিলাম। যা টাকা পেলাম সেগুলো দিয়ে কয়েক দিন চলল। সারাদিন হন্যে হয়ে ঢাকা শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরলাম, কিনতু তাতে কোনো ধরনের চাকরি পেলাম না। অনেক কষ্টে দিন জাপন করতে। লাগলাম। অবশেষে আমার কাছে থাকা শেষ সম্ভল হাতে মুবাইল ফোনটি, এ বড় শহরে চলার জন্য সেটাঔও বিক্রি করে দিলাম। এর মধ্যে একটি আশার আলো খুজে পেলাম।
একটা বড় ধরনের রেস্টুরেন্টে অডার বয়ের চাকরি পেলাম। কিনতু এখানে বেড়ে গেলো দুরত্য (সুমাইয়া) ও রেস্টুরেন্ট এর দুরত্য অনেক বেশি। তাই প্রতিদিন দেখা হওয়া বন্ধ হয়ে গেলো। ভেবেছিলাম কিছু টাকা জমিয়ে কিছু একটা করবো। এর মধ্যে রেস্টুরেন্টে আসলো নামিদামি এক ভদ্র লোক। যখন খাওয়া শেষ করে বিদায় নিচ্ছেলেন, তখন আমাকে ডেকে হাতে একটা কার্ড দিয়ে বল্লেন, তোমার ব্যাবহার খুব ভালো লেগেছে। রেস্টুরেন্ট মালিকের কাছে শুনলাম তোমার মাস্টার্স কম্পিলিট করা আছে। কাল তুমি আমার অফিসে এসে দেখা কর। এ বলে ভদ্রলোক চলে গেলো।
পড়ের দিন চলে গেলাম সে ভদ্র লোকটির অফিসে। সেখানে তিনি আমাকে একটি ভালো প্যাকেজের কাজের অডার দিলেন। মাস শেষে (পচিশ-হাজার) টাকা মাইনে। তার উপর আবার থাকা খাওয়া একদম ফ্রি, আমি মহান আল্লাহ কে ধন্যবাদ জানালাম। ভাবলাম (সুমাইয়াকে) এই খুশির খবরটা জানিয়ে আসি। সে জানলে অনেক খুশি হবে। ৬ ঘন্টার যাত্রা শেষ (সুমাইয়া) কে যে হোটেলে রেখে ছিলাম সে হোটেলে গেলাম। গিয়ে দেখি (সুমাইয়ার) ঘরে তালা দেওয়া, এর পড় হোটেলের একজন সেবিকা যার দায়িত্বে (সুমাইয়াকে) রেখে ছিলাম তার কাছে গেলাম। সে বললো দাদাভাই আর দিদি মনি ৭ দিন আগে এই হোটেল থেকে চলে গিয়েছেন তর বাবার কাছে। আমি তখন অবাক হয়ে যাই। বাবার কাছে গেছে মানে, যাওয়ার আগে কিছু বলে গেছে কি? সেবিকা ড্রয়ার থেকে একটি খাম বেড়করে আমার হাতে দিলেন। সে খামটি খোলে দেখলাম তাতে কিছু লেখা আছে।
শুধু ভালোবাসলেই হয়না, ভালোবাসার মানুষের চাওয়া পাওয়ার দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। যদি সুখে রাখতে পারবেই না, তা হলে কেনো আমাকে পালিয়ে নিয়ে আসলে। জানোতো জেই ছেলেটার সাথে আমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো, সেই ছেলেটা অনেক বড়লোক, বাড়িতে ৪টি প্রাইভেট কার আছে। তিন তালা বাড়ি, এতো কিছু থাকা সত্যেও তোমার সাথে পালিয়ে এসেছি কেনো জানো। ভেবেছিলাম তোমার না হয় একটু কমে থাকবে, (Adjust) করে নেওয়া জাবে। কিনতু তোমার কাছে তোমার ডিগ্রি ছাড়া কিছুই নেই। আগে জানলে তোমার সাথে কখোনোই আসতাম না। আর হ্যা মন খারাপ করো না। জীবনে সুখ থাকাটাই আমার জীবনের উদ্দেশ্য,আর এই থার্ড ক্লাস হোটেলে জীবন কাটাতে পার্বনা।
নিজের অজান্তে চোখ থেকে কয়েক ফোটা জল বেড় হয়ে এলো, যার জন্য আমি আমার বাবা মা কে ছেড়ে চলে এসেছি এই ঢাকা শহরে। আমার ভবিষ্যত চিন্তা না করে, যাকে নিয়ে পালিয়ে এসেছি, অচেনা এই ঢাকায়, সেই সুধু মাত্র আমার দরিদ্রতার অজুহাত দেখিয়ে ছেড়ে সে চলে গেলো। আমিতো একটা ভালো কাজ পেয়েই গেছি। আর মাত্র কিছু দিন অপেক্ষকা করতে পাড়লো না সে। এতেদিন সুনে আসতাম যে এদুনিয়ায় টাকা সবচেয়ে বড়ো আজ প্রমান পেলাম, টাকা পয়সা না থাকলে প্রেম ভালো বাসা দরজা জনালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর থেকে আমার জীবনের
মুল লক্ষ হয়ে দাড়ালো টাকা উপার্জন করা, নিজের ডিগ্রি দিয়ে নয় শরিলের শক্তি দিয়ে। এখন উপার্জন ভালো হচ্ছে আর আমি সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। সেই কোম্পানি থেকে বেড়িয়ে এসে, নিজের একটা কোম্পানি করার পরিকল্পনা মাথায় বারবার ঘুরছিল।
এরি মাঝে একদিন হঠাৎ বাবা মায়ের কথা মনে পড়ে গেলো। প্রায় পাচ বছর হতে চললো। তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই, দেখা নেই কি জানি কেমন আছেন তাড়, একদিন হঠাৎ করে চলে গেলাম আমার গ্রামে, সোনালি ফসোল সবুজে ঘেরা মাঠ খাল বিল কতো সু্ন্দর সুন্দর পাখির ডাক আহ কি দৃশ্য দেখে মন ভরে যায়।
আমাকে দেখা মাত্রই বুকে জড়িয়ে ধরে কেদে ফেল্লেন। বাবার মুখোমুখি হতেই, বাবা আমাকে কশিয়ে এক চর মারলো, আর বল্লেন তুই বড় হয়ে গেছিস। না বলে না কয়ে কোথায় চলে গেছিস। একটু বকা না হয় দিয়েছিলাম, রাগের মাথায় না হয় বলেছিলাম সেইসব কথা। আর তুই আমাদের ছেড়ে চলে গেছিস, তুই জানিস এই কয়েক্টা বছর আমি হন্যে হয়ে তোকে খুজেছি কিনতু কোথাও পাইনি। যাকে দেখি তাকে জিগ্যেস করি। আমার ছেলেকে কি দেখেছো। তাড়া সবাই বলে দেখেনি। বাবা আর বলতে পারলেন না, আওয়াজ ভাড়ি হয়ে এলো। আমি আর চোখের জল ধরে রাখতে পাড়িনি। বাবাকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কেদে ফেলে ছিলাম। না জানি আমার বাবা মাকে কতো কষ্টদিয়েছি।
যে আমার সাথে থেকে সারাজীবন পাশে থাকার কথা দিয়েছিল। যার জন্য আমার বাবা মাকে ছেড়ে ছিলাম। সে টাকার কারনে আজ অন্যের স্ত্রী, আর যে বাবা মা আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাদের মনে কষ্ট দেওয়ার পরেও, এতোদিন পড় আমার দেখাপেয়ে, আমার কথাই সুধু জিগ্যেস করে গেছে। কিনতু তাড়া কখোনো যানতে চায়নি যে, আমি কতো টাকা ইনকাম করি।
সেদিনই বুঝেছিলাম, অর্থ ছাড়া ভালোবাসা হয়না। প্রেমিকার ভালোবাসাকে টাকা দিয়ে কেনা গেলেও, পরিবারের ভালোবাসাকে কোনো দিনও কিনতে পারবেন্না। এই ভালোবাসাটি এমন ভালোবাসা, আপনি বাজারেও পাবেন্না। ছেলের পকেট ভর্তি টাকা থাকলে প্রেমিকা দুই মিনিটে পাওয়া যায়।
আমি গিফ্ট নিয়ে না যাওয়ায় সেদিন (সুমাইয়া) আমার উপর রাগ করে, কোনো কথা না বলে বাড়ি ফিরে গিয়েছিল,সে দিনে আমাট্র বুঝে জাওায়া উচিত ছিলো যে,(সুমাইয়ার) কাছে আমার ভালোবাসার চেয়েও গিফ্টের মুল্য অনেক বেশি। সোজা কথায় আমার ভালোবাসার চেয়েও টাকার মুল্য ছিল সব থেকেবেশি।
আমাকে দেখা মাত্রই বুকে জড়িয়ে ধরে কেদে ফেল্লেন। বাবার মুখোমুখি হতেই, বাবা আমাকে কশিয়ে এক চর মারলো, আর বল্লেন তুই বড় হয়ে গেছিস। না বলে না কয়ে কোথায় চলে গেছিস। একটু বকা না হয় দিয়েছিলাম, রাগের মাথায় না হয় বলেছিলাম সেইসব কথা। আর তুই আমাদের ছেড়ে চলে গেছিস, তুই জানিস এই কয়েক্টা বছর আমি হন্যে হয়ে তোকে খুজেছি কিনতু কোথাও পাইনি। যাকে দেখি তাকে জিগ্যেস করি। আমার ছেলেকে কি দেখেছো। তাড়া সবাই বলে দেখেনি। বাবা আর বলতে পারলেন না, আওয়াজ ভাড়ি হয়ে এলো। আমি আর চোখের জল ধরে রাখতে পাড়িনি। বাবাকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কেদে ফেলে ছিলাম। না জানি আমার বাবা মাকে কতো কষ্টদিয়েছি।
যে আমার সাথে থেকে সারাজীবন পাশে থাকার কথা দিয়েছিল। যার জন্য আমার বাবা মাকে ছেড়ে ছিলাম। সে টাকার কারনে আজ অন্যের স্ত্রী, আর যে বাবা মা আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাদের মনে কষ্ট দেওয়ার পরেও, এতোদিন পড় আমার দেখাপেয়ে, আমার কথাই সুধু জিগ্যেস করে গেছে। কিনতু তাড়া কখোনো যানতে চায়নি যে, আমি কতো টাকা ইনকাম করি।
সেদিনই বুঝেছিলাম, অর্থ ছাড়া ভালোবাসা হয়না। প্রেমিকার ভালোবাসাকে টাকা দিয়ে কেনা গেলেও, পরিবারের ভালোবাসাকে কোনো দিনও কিনতে পারবেন্না। এই ভালোবাসাটি এমন ভালোবাসা, আপনি বাজারেও পাবেন্না। ছেলের পকেট ভর্তি টাকা থাকলে প্রেমিকা দুই মিনিটে পাওয়া যায়।
আমি গিফ্ট নিয়ে না যাওয়ায় সেদিন (সুমাইয়া) আমার উপর রাগ করে, কোনো কথা না বলে বাড়ি ফিরে গিয়েছিল,সে দিনে আমাট্র বুঝে জাওায়া উচিত ছিলো যে,(সুমাইয়ার) কাছে আমার ভালোবাসার চেয়েও গিফ্টের মুল্য অনেক বেশি। সোজা কথায় আমার ভালোবাসার চেয়েও টাকার মুল্য ছিল সব থেকেবেশি।
টাকার কাছে ভালোবাসা হেড়ে যায়,এটা আজ প্রমানিত। হয়তোবা হাতে গোনা কয়েকটা মেয়ে থাকতে পাড়ে। যারা টাকার চেয়েও প্রেমিক কে ভালোবাসে। টাকার চেয়ে ভালোবাসার মূল্য বেশি।
অসমাপ্ত কষ্টের প্রেমের গল্প। ব্যার্থ প্রেমের গল্প।ভীষন কষ্টের প্রেমের গল্প। টাকার কাছে ভালোবাসা হেড়ে যায়।
পরিবার vs প্রেম, বাংলা স্যাড প্রেমের গল্প।