যখন ময়নার বোন প্রিয়া এসব ঘটনা জানল যে, ময়না কালো থেকে ফর্সা হয়েছে রাকেশ্মনি ফুলের রসের জন্য। তখন প্রিয়ার মনে লোভ জাগলো।
আর প্রিয়া ভাবলো সেই ফুলের রস তার চেহারায় লাগালে তার চেহারা আরও ফর্সা হয়ে যাবে। তখন প্রিয়া ময়নাকে বলল, এখান থেকে রওনা হলে কত সময় লাগবে জঙ্গলের ঝর্ণার কাছে পোঁছাতে? ময়না বলল, তুমি যেতে চাইলে যাও কিন্তু ২ দিনের বেশী সেই ফুল চেহারায় লাগাতে পারবে না। আর এখান থেকে জঙ্গলের ঝর্ণার কাছে পোঁছাতে ১দিনের মতো সময় লাগবে।
প্রিয়া তখনই রওনা দিলো তার উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য। আর সে আসতে আসতে হাঁটার জন্য জঙ্গলে যাওয়ার পর রাত হয়ে গেছে। সে তার পথ হারিয়ে ফেললো। এবার তার সেই জায়গায় রাত কাটানো ছাড়া উপায় নেই। কারণ, সে যদি রাতে চলাচল করে আর তার শব্দে জঙ্গলি হিংস্র পশুরা তাকে দেখতে পেয়ে আক্রমন করতে পারে। আর তাকে খেয়েও ফেলতে পারে।
এরজন্য প্রিয়া একটি গাছের নিচে বসে রাত কাটানর সিদ্ধান্ত নিলো। আর সে অনেক ভয় পেতে লাগলো। এমন জঙ্গলে একা আর চারদিকে শব্দ থমথম করতেছে আর শরীর তার কাপতেছে।
এরপর প্রিয়া ঘুমিয়ে পড়লো। আর চোখ মেলিয়ে দেখল দিন হয়ে গেছে। তখন আবার সে রাস্তা খুঁজে খুঁজে ঝর্ণার কাছে পোঁছে গেলো। এবার সে ঝর্ণার উপড়ে উঠার চেষ্টা করল কিন্তু সে উঠতে পারছে না। এবার সে একটা গাছের শিকর নিয়ে ঝর্ণার উপড়ে উঠলো। আর সেখানে পাথরের পাশের ফুল গাছের একটি ফুল তুলে বাড়ির দিকে রওনা হলো। আর সে যখন বাড়িতে পোঁছে গেলো তখন ফুলের রস বের করল।
এরপর ১দিন ফুলের রস চেহারায় লাগালো। এভাবে ২ দিন লাগাল আর সে আরও সুন্দর হয়ে গেলো। এবার প্রিয়া ভাবল আমাকে এত সুন্দর দেখতে না জানি আরও রস লাগালে কতইনা সুন্দর দেখাবে। ময়না চায়না আমি তার চেয়েও সুন্দর হই।
এই ভাবে সেই কাজ করল ৫ দিনের দিন মুখ কালো হয়ে গেলো। তারপর প্রিয়া ভাবল আবার ফুলের রস লাগালে এবার সে সুন্দর হবে। তাই সে লাগাতার ফুলের রস মুখে লাগাতে থাকে।
এরপরের দিন প্রিয়ার মুখে ঘা দেখা দিলো। আর আসতে আসতে তার মুখের ঘা বাড়তেই থাকলো। আর তার ঘা বড় হয়ে পুচ বের হয়া শুরু করল। আর চার দিকে শুধু পচা পচা গন্ধে ভরে গেছে। আর এর ফলে প্রিয়ার শরীর ঘায়ে ভরে গেলো। তারপর প্রিয়া মারা গেলো।
তো বন্ধুরা উপরের কাহিনীতে কি বুঝলে? আর অহংকারের পরিণতি কেমন বুঝলে!
সম্পূর্ণ গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।