আউটসোর্সিং হচ্ছে একটা অনলাইন পেশা । যার দ্বারা একটা দেশের তরুন তরুনীদের ইনকামের মাধ্যমে বেকার সমস্যা সমাধান হয়ে থাকে।
আউটসোর্সিং করে আজ অনেক দেশ তথা দেশের মানুষ উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করছে। বাংলাদেশের অনেক মাানুষের ভিতরে এই পেশা সম্পর্কে জ্ঞান খুবই কম। তাই তারা আজ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এবং নিজেকে উন্নত করতে চাইলে আউটসোর্সিং এর গুরুত্ব অপরিসীম । আউটসোর্সিং প্রত্যেক নাগরীক কে স্বনির্ভর হতে পথ দেখায় । নিজের দেশকে উন্নত করতে হলে এবং ইনকামের একটা ভাল মাধ্যম বেছে নিতে চাইলে, অবশ্যই আ্উটসোর্সিং করতে হবে।ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ের কাজ অনেকেই করছেন, আবার অনেকে নতুন করে শুরু করতে যাচ্ছেন। অনলাইনে সহজে আউটসোর্সিংয়ের কাজ পেতে কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই চলে। আউটসোর্সিং এর কাজগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। যেমন- ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি, নেটওয়ার্কিং এর কাজ, ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়া, সেলস এন্ড মার্কেটিং, পার্সোনাল হেল্প, আর্টিকেল লেখা ও অনুবাদ ইত্যাদি।
কাজ গুলো করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম বা তথ্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে । যা নিম্নে দে্ওয়া হলো:
১।ওয়েবডিজাইনঃ আপনার ক্লাইন্ট কে ওয়েবসাইট তৈরী করে দেওয়ার জন্য অবশ্যেই আপনাকে ওয়েবসাইট ডিজাইন সম্পর্কে জানতে হবে।এর জন্য আপনাকে ওয়েব প্রোগ্রামিং যেমন- HTML, CSS জানতে হবে। ইচটিএমএল এর লেটেস্ট ভার্শন এইচটিএমএল ৫ জানা থাকলে আরও ভাল।
২। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টঃ অনলাইন জগতের একটি বড় অংশ হচ্ছে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট। এই সেক্টরে আমাদের জন্য রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। তবে এর কাজ শেখাটা অন্যান্য কাজের তুলনায় একটি জটিল। এর মধ্যে রয়েছে- ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন তৈরি, গেম তরি, বিভিন্ন প্লাগ ইন তৈরি, মোবাইল অ্যাপ তৈরি, সফটওয়্যার প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। একটি কষ্ট করে কাজ শিখতে পারলে আপনিও এই সেক্টরে কাজ করতে হবে।
৩।ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়াঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, বিভিন্ন এনিমেশন তৈরি, অডিও ভিডিও এডিট এবং তৈরি, প্রেজেন্টেশন তৈরি করা, প্রিন্ট ডিজাইন ইত্যাদি। ভালভাবে কাজ শিখে দক্ষতার পরিচয় রাখতে পারলে এই সেক্টর থেকেও আপনি সম্মানজনক অর্থ আয় করতে পারবেন।
৪।মার্কেটিং এর কাজঃ এর মধ্যে রয়েছে এসইও, বিজ্ঞাপন, ইমেইল-মার্কেটিং, এসএমএম বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, মার্কেট রিসার্চ এন্ড এ্যনালাইসিস, সেলস জেনারেশন, বিজনেস প্ল্যানিং ইত্যাদি। এই ধরনের কাজের জন্য প্রথমে আপনাকে দক্ষ হতে হবে।এই ধরনের পেশায় আপনি বেশ ভাল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
৫।বিজনেজ সার্ভিসঃ এখানে মূলত অনলাইন মার্কেট গুলোর সবচেয়ে কমন কাজ। আপনি যদি ভালভাবে কাজ শিখতে পারেন তাহলে আপনিও বেশ ভাল মানের কাজ করতে পারবেন। অনেকে বলে থাকেন এখন নাকি ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটে কাজ পাওয়া যায়না। এটা সম্পূর্ণই ভুল তথ্য। আসলে আগে অনেকেই কাজ না জেনেও ভাওতাবাজি দিয়ে কাজ নিত। ক্লাইন্ট বিশ্বাস করে কাজ দিত ঠিকই কিন্তু অবশেষে কাজটি করতে না ক্লাইন্ট এর কাছে বাজে ফিডব্যাক পাওয়া যেত। এখন আসলে ভাওতাবাজির দিন শেষ। এই জন্য আপনাকে আগে খুব ভালভাবে কাজ শিখে নিতে হবে এবং প্র্যাক্টিস করতে হবে। সাথে সাথে আপনি যে কাজটি পারেন সেটি ক্লাইন্ট কে বোঝানোর জন্য বেশ ভাল মানের পোর্টফোলিও বানাতে হবে। এই ভাবে চেস্টা করলে অবশ্যই দ্রুত কাজ পাওয়া সম্ভব।