বাংলাদেশ রেলওয়ে ম্যাঙ্গো ট্রেনের মাধ্যমে নতুন এক ধাপে পদরর্পন করেছেন। ম্যাঙ্গো ট্রেনের পর বাংলাদেশ রেলওয়ে এবার কৃষি ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে। কৃষকের কথা গভীরভাবে চিন্তা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে নতুন এই পরিকল্পনার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বাংলাদেশ ভৌগলিক, আবহাওয়া ও জলবায়ুর দিক দিয়ে কৃষি প্রধান একটি দেশ।
এই দেশের অধিকাংশ খেঁটে-খাওয়া মানুষই কৃষি কাজে নিয়োজিত। এছাড়াও চাষাবাদ শেষে কৃষকের ধান, চাল ও সবজি গুদামজাতকরণ করার পর সরবারহের জন্য বিলম্বিত অবস্থায় থাকা রাগে দীর্ঘদিন ধরে। যোগাযগ ব্যবস্থার অবকাঠামো দূর্বল হবার কারণে এই সমস্যার সম্মুখিন হতে হই কৃষি ব্যবসায়ীদের। ট্রাক ছাড়া অন্য কোন মাধ্যম না থাকায় ধান, চাল ও সবজি সরবারহে কৃষি ব্যবসায়ির ভোগান্তির কোন শেষ নেই। বাংলাদেশের কৃষি অবকাঠামো মজবুত করার জন্য যোগাযগ ব্যবস্থাকে আরো শক্ত করতে হবে দাবি কৃষক ও কৃষি ব্যবসায়ীদের।
যোগাযগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে হাত দিয়েছে। ইতিমধ্যে, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় রেলমন্ত্রী আগামী বছরের শেষে কৃষি এক্সপ্রেস সার্ভিস চালু করার তাগিদ দিয়েছেন। কৃষি এক্সপ্রেসের মাধ্যমে যাবতীয় কৃষি পন্য এই এক্সপ্রেসের মাধ্যমে সরবারহ করা হবে। এই ট্রেনে শুধুমাত্র কৃষিদ্রব্যাদি বহন করা যাবে এবং অন্য কোন প্রকার মালামাল এই ট্রেনে বহন করা যাবে না। কৃষি দ্রব্যাদি দ্রুত রাজধানীসহ সারাবাংলাদেশে সরবারহ করার জন্য এই পদক্ষেপ নেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় রেলমন্ত্রী। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় রেলমন্ত্রী আরো বলেন যে বাংলাদেশে কৃষিপণ্য সরবারহ করার প্রধান স্থান হবে তেজঁগাও রেলস্টেশন। এই লক্ষে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকারের রেলওয়ে বিভাগ এবং আগামী বছরই ট্রেনটি সারাদেশে যোগাযগের জন্য চালু করা হবে।
বাংলাদেশ সরকারের রেলওয়ে বিভাগের এই প্রকল্প বাস্তবায়নে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সরকারী কর্মকর্তাগণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কৃষি পন্য খুবই স্বল্প খরচে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সরবারহ করা সম্ভব হবে। এছাড়াও প্রকল্পটির মাধ্যমে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তনের মাধ্যমে গ্রামীন অর্থনীতিরও ব্যাপক প্রসার ঘটবে। বাংলাদেশের গ্রাম-অঞ্চলের অর্থনীতি এখনও কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল এবং অনুন্নত যোগাযগ ব্যবস্থার কারণে কৃষি পন্য সরবারহে খুবই ভোগান্তি পোহাতে হয় কৃষকের। এছাড়াও গ্রামীন অর্থনীতির উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। কৃষকেরা আশাবাদী যে কৃষি ট্রেন চালু হবার গ্রামীন অর্থনীতির উন্নয়নসহ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে।
উন্নতমানের কৃষি ট্রেনে থাকছে ফ্রিজিং সিস্টেম যার মাধ্যমে কৃষি পণ্যে সহজেই পচন ধরবে না। এই ফ্রিজিং সিস্টেম থাকায় কৃষকেরা নিশ্চিন্তে তাদের কৃষি পন্য পঁচনের আশংকা ছাড়াই রাজধানী ঢাকাতে সরাসরি সরবারহ ও বিক্রয় করতে পারবেন। সাধারণ খেঁটে-খাওয়া কৃষকেরা আধুনিক কৃষি ট্রেনের সেবার জন্য আশা জাগিয়ে বসে আছে। এরই মাধ্যমে কৃষি শিল্পের নতুন এক অধ্যায় সৃষ্টি হবে।
সূত্র: এগ্রিকেয়ার২৪.কম