আজ শনিবার প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ২০২০ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। গতকাল বিকেলে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল দেখা যাবে। এছাড়া ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ থাকলে পুনরায় আবেদনের সুযোগ রয়েছে। নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি পরিশোধ করে ফলাফল নিরীক্ষণের জন্য পুনরায় আবেদন করা যাবে। কিছুটা সময় লাগবে এবং পুননিরীক্ষণের ফলাফল মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর মতোই জানিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া বৃত্তির জন্য নিজস্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আগের নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদন করতে বলা হয়েছে। যারা আগে বোর্ড পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী রয়েছে কেবলমাত্র তারাই আবেদন করতে পারবে।
যেহেতু করোনা পরিস্থিতির কারণে গতবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হয়নি তাই পূর্বের জেএসসি এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। এইজন্য আগের মতো উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে না। যদিও গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে ফল প্রকাশের কথা ছিলো। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে পরে তা পিছিয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ এবং মাধ্যমিকও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে বলা হচ্ছে- ফলফল প্রকাশে কিছু আইনি জটিলতা ছিলো বটে। কারণ পরীক্ষা ছাড়া ফলাফল প্রকাশের কোনো নিয়ম বা আইন নেই। তবে সেসব জটিলতা নিষ্পত্তি হবার পরেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও পরীক্ষা ছাড়া ফলাফল প্রকাশের অনেকেই বিপক্ষে ছিলেন। কারণ এতে সঠিক মূল্যায়ন হয় না। শিক্ষাবর্ষ বাড়ানোর কথা থাকলেও পরে তা বাস্তবায়িত হয়নি পরিস্থিতি বিবেচনায় এই পূর্বের বোর্ড পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
গত বছর করোনা মহামারির ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে বারবার ছুটি বেড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এবং বছরের শেষ দিকে পরীক্ষা ছাড়াই ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত আসে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য। পুরো বছর জুড়েই বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়তে থাকে এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে কি হবে না সারা বছরই তা আলোচনায় ছিলো। বারবার শিরোনামে ছিলো উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এবং পরীক্ষার্থীরা। ঐ সময়ে বলা হয়েছিলো- যেহেতু পরিস্থিতি অনুকূলে নেই এবং বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব মহামারির সাথে লড়াই করছে এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জটিলতার মধ্যে ফেলতে চাইছে না প্রশাসন। তাছাড়া স্বাস্থ্য নিরাপত্তাটাও তখন বড় সমস্যা ছিলো। আর ক্লাস করানোও সম্ভব হয়নি তখন। তাই আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর আদালতের নির্দেশে আজ ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি রিট জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য: শিক্ষাবোর্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইট ছাড়াও মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সম্পর্কিত নির্দেশনাও প্রদান করা হবে। জানা গেছে, এবারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যে গুচ্ছ ভিত্তিতে পরীক্ষা নেয়া হবে। সায়ত্বশাসিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিচালনা কমিটি এই বিষয়ে মত দিয়েছেন। তবে পরীক্ষা প্রক্রিয়া সম্পর্কিত সম্পূর্ণ নির্দেশনা এখনো আসেনি।