বন্ধুরা আজকে আমি তোমাদের সামনে একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যে বিষয়টা একটা মানুষের মধ্যে অবশ্যই থাকা দরকার। মানুষের জীবনে কর্তব্যের গুরুত্ব কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আর কর্তব্য জানার পর তা করাই হল অপরিহার্য। মানুষ এমন ভাবে কর্তব্য ঠিক করতে চাই যেন ওই করণীয় কাজটি করে সৌভাগ্য লাভ করতে পারে। কর্তব্য সম্পর্কে পবিত্র দ্বীন এর সাথে অন্যান্য মতবাদের পার্থক্য আছে।
পবিত্র দ্বীন মনে করে যে, কর্তব্য ঠিক করার আগে জানতে হবে যে, মানুষের জীবন টি রুহের মত, পৃথিবীর জীবন ও আখিরাতের বিশাল সময় মিলে গঠিত। তাই পবিত্র ও সঠিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে সৎ চরিত্র ও সৎকর্ম মিলিয়ে এই জীবনে সফলতা। আর পরকালেও আখেরাতের জীবনে সফলতা এই পৃথিবীর জীবনের কর্তব্য পালনের উপরই নির্ভর করে।
কিন্তু ধর্মহীন ও নিরপেক্ষ চিন্তাগুলো বলে যে, মানুষের শুধু জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনটাই একমাত্র জীবন। জন্মের পূর্বে ও মৃত্যুর পর তার আর কোন জীবন নাই। তাই তার কর্তব্য সে সেভাবেই ঠিক করবে অর্থাৎ পৃথিবীর জীবনে যে যত বুদ্ধি ও শক্তি দিয়ে যত বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারে। সেটি বড় লাভ। কারণ পৃথিবীতে মন্দ কাজ করার জন্য অন্য জীবনে তার কোন শাস্তি হবে না। আর দুর্বল,গরিব, বোকা লোকেরা যে জালিমদের দ্বারা শুসিত অত্যাচারিত হবে তার জন্য তারা কোন প্রতিদান পাবেনা, ন্যায়বিচার পাবে না।
আর এক্ষেত্রে যেহেতু ভোগ বিলাসের লাভ ই একমাত্র আলোচ্য সেখানে এসব চিন্তাধারায় মানুষ আর জন্তু-জানোয়ারের মাঝে কোন পার্থক্য দেখা যায় না। পশুপাখি যে আবেগ নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে, জীবন কাটায় এসব মতবাদ আমাদেরকে সেই জীবনের কর্তব্য পালন করতে বলে।
কিন্তু পবিত্র দ্বীন আমাদেরকে অনন্ত জীবনের দৈহিক, আধ্যাত্বিক, সামাজিক প্রভৃতি জীবনের সব ক্ষেত্রের জন্য সৃষ্টিকর্তার সাথে সম্পর্ক রেখে কর্তব্য নির্ধারণ করতে বলে।