সে অনেক বছর আগের ঘটনা। যখন মানুষ গুহায় বসবাস করত। না ছিল তাদের বাসস্থান আর না ছিলো তাদের পোশাক পরিচ্ছদ । এভাবেই তাদের দিন কাটতো। লজ্জা নিবারনের জন্য মানুষ গাছের বাকল/ছাল ব্যবহার করতো।
তারা তীর ধনুকের সাহায্য পশু-পাখি শিকার করতো। তখন ছিলো না কোন রান্না বান্নার ব্যবস্থা । তাই কাঁচাই মাংস খেয়ে দিন পার করতো। এভাবেই চলতো তাদের জীবন। কখনো বা হিংস্র জন্তু জানোয়ারের সাথে যুদ্ধ করতে হতো। তখনো মানুষের ভিতরে একতা কিংবা দলবদ্ধতার বিষয়গুলি কাজ করতো না। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে মানুষ দলবদ্ধভাবে বসবাস করতে শুরু করলো । গুহা ছেড়ে মানুষ বসতি স্থাপন শুরু করলো। তারপর শুরু করলো চাষাবাদ। মানুষ তখন একটা পরিবেশ এর ভিতরে বন্ধি হলো। তখন সব মানুষ কিন্তু এক পেশায় ছিলো না। কেউ চাষাবাদ করতো , কেউ বা গরু পালন করতো । তখনকার বাজার অর্থাৎ কেনাকাটার ব্যবস্থা আজকের দিনের মতন ছিলো না। তাদের সেই সময়ে বিনিময় প্রথার প্রচলন ছিলো। বিনময় প্রথা হচ্ছে – ধরো একজন লোক ধান চাষ করতো , আরেক লোক সবজি উৎপাদন করতো। যে লোক সবজি উৎপাদন করে তার কিন্তু ধান-চালের দরকার পড়ে। আবার যার ধান-চাল আছে তার সবজির দরকার পড়ে। এখন এই দুইজন ব্যক্তি তাদের উৎপাদিত জিনিসগুলো একে অপর পক্ষকে দিয়ে বিনিময়ের ব্যবস্থা করতো। যেমন – চালের বিনিময়ে সবজি কিনত। আবার সবজির বিনিময়ে চাল। ব্যাপারটা এরকমই ছিলো। এভাবেই চলতে লাগলো মানুষের জীবন। কিন্তু এই বিনিময় ব্যবস্থায় একটা সমস্যা দেখা দিলো। সুষম বন্টনের অভাব ছিল। একজন লোক যে পরিমান জিনিস দিয়ে বিনিময় করতো – সে সমপরিমান জিনিস পেতো না অথবা বেশি পেতো। অর্থাৎ ভারসাম্য ছিলো না। ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন ধাতব মুদ্রার বিনিময়ের মাধ্যমে লেনদেন বা কেনা বেচার পদ্ধতি চালু হয়। এভাবেই একটু একটু করে সময়ের বিবর্তনে যুগের ও বিবর্তন ঘটেছে। আজ আমরা একবিংশ শতাব্দীতে পা রেখেছি। কত আধুনিকতার ছোঁয়া আমাদের ছেয়ে গেছে।
আধুনিক এই সময়ের উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারগুলো হচ্ছে
1) মোবাইল
2) কম্পিউটার
3) বিমান
4) চিকিত্সা
5) উন্নত বিভিন্ন প্রযুক্তি
আজ আমাদের পরিবর্তনের পিছনে বিজ্ঞান অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করছে । একটা কথা ভেবে দেখুনতো- এক সময় মানুষ চিঠির মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করতো। প্রিয় মানুষগুলি চিঠির অপেক্ষায় মাস বছর পার করে দিতো। আর এখন?? মূহূর্তেই বিশ্বের যেকোন প্রান্তে সহজেই কথা বলা যাচ্ছে । বিজ্ঞান আমাদের চলার পথকে করছে গতিময় ও সহজ।
আজ আমরা কম্পিউটারের সাহায্য কত কিছুই না করে থাকি। কম্পিউটারে ইন্টারনেট লাগিয়ে আমরা পুরু বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছি।
আজ আর কোন অপরিচিত মানুষের বাসায় যেতে ভয় করে না। গুগল ম্যাপ আমাদের পথ বাতলে দিচ্ছে।
যেখানে মানুষ হেটে হেটে পথ চলত। আর এখন মানুষ নিমিষেই চলে যাচ্ছে দেশের বাহিরে। এমনকি চলে যাচ্ছে মহাকাশে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা মঙ্গলগ্রহে বসতি স্থাপনের জন্য গবেষণা চালাচ্ছে।
একটা সময় মানুষ কি কষ্টই ন করেছে। কিন্তু আজ আমরা বিজ্ঞানের বদলৌতে বিদ্যুৎ পেয়েছি। লাইট, ফ্যান সহ আধুনিক সব যন্ত্রপাতি আজ বিদ্যুৎ ছাড়া অকেজো।
আজ সভ্যতার বিবর্তনে আমরা দামি দামি পোশাক পরিচ্ছদ পড়ছি। কিন্তু একটা সময় মানুষ ছাল/বাকল USE করতো।
বিজ্ঞান চিকিত্সাকে করেছে অধিক সহজতর। চিকিত্সা ক্ষেত্রে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। এখন খুব সহজেই রোগ নির্ণয় ও এর চিকিত্সা দেওয়া যাচ্ছে নিমিষেই।
এক কথায় বলতে গেলে বিজ্ঞানের কাছে আমরা ঋণী। তবে ধারনা করা হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে বিজ্ঞান হয়ে উঠবে বেশ চমত্কার। নতুন নতুন কল্পনাতীত জিনিসগুলোকে নিয়ে আসবে মানুষ সামনে । তখন জীবন হয়ে উঠবে অধিকতর সহজ।
আমরা সেই প্রত্যাশিত দিনের অপেক্ষায় রইলাম।