আপনি কি আইসিটি তে দক্ষ হতে চান? একদম দুর্বল? আপনার জন্য বেসিক কিছু ট্রিকস।

আসসালামুয়ালাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন। আইসিটি একটি টেকনিকেল সাবজেক্ট। আমরা অনেকেই কলেজ জীবনে আইসিটি প্রাইভেট পারতেছি। হয়তো তেমন ভালোভাবে আমরা সেখানে আইসিটি বিষয় টার বেসিক বিষয় গুলো বুঝতে পারি না। যার কারণে আমাদের কাছে আইসিটি বিষয় টা একটু চাপের হইয়ে যায়।

তাই আপনাদের জন্য একদম বেসিক কয়েকটা টপিক নিচে দেওয়ার চেষ্টা করলাম।আসা করি আপনাদের উপকারে আসবে।

 

প্রথমে আসা যাক সংখ্যা পদ্ধতি নিয়ে।

 

সংখ্যা পদ্ধতির বেসিক ধারণা:

এককথায় কোনো সংখ্যা লেখা অথবা প্রকাশ করাকে সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়।সংখ্যা পদ্ধতি প্রধানত দুই প্রকার:-

১) নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি (Non Positional Number System)

২) পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি (Positional Number System)

 

নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি: যে পদ্ধতিতে সংখ্যার মান ব্যবহৃত চিন্হ বা অংক সমূহের পজিশন বা অবস্থানের ওপর নির্ভর করে না তাদের নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে।

 

পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি: এ ধরণের সংখ্যা পদ্ধতির মান ব্যবহৃত চিন্হ বা অংকসমূহের পজিশন বা অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত।

 

বলা হয় আইসিটির এই বিশাল জগৎ কে চার ভাগে ভাগ করা হয়।

 

১) বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি (Bainary Number System)

২) অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি (Octal Number System)

৩) দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি(Decimal Number System)

৩) হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি(Hexadecimal Number System)

 

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি: এক কথায় যে সংখ্যায় শুধু মাত্র দুটি অংক অথবা চিন্হ ব্যবহার করা হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে। অর্থাৎ বাইনারি সংখ্যা বললেই বুঝতে হবে ০ এবং ১। বাইনারির বেচ বা ভিত্তি ২।

অক্টাল সংখা পদ্ধতি: যে সংখা পদ্ধতিতে গণনার জন্য ৮টি অংক ব্যবহৃত হয় তাকে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়। অক্টাল সংখ্যা গুলো হলো: ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির বেচ বা ভিত্তি হলো ৮।

দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি: যে সংখ্যা পদ্ধতিতে গণনার জন্য দশটি অংক ব্যবহৃত হয় তাকে ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি অথবা দশমিক সংখা পদ্ধতি বলে। অংকগুলো হলো: ০ ১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮ ৯। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির বেচ বা ভিত্তি হলো ১০। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির প্রতিটি অংকের অবস্থানের ওপর অংকের মান নির্ভর করে।

হেক্সাডেসিমেল সংখা পদ্ধতি: যে সংখ্যা পদ্ধতিতে গণনার কাজের জন্য ষোলটি অংক ব্যবহার করা হয় তাকে হেক্সাডেসিমেল সংখা পদ্ধতি বলা হয়। এই সংখা পদ্ধতির অংক গুলো হলো: ০ ১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮ ৯ A B C D E F । যেহেতু মোট অংক ষোলটি সেহেতু অঙ্গের বেচ বা ভিত্তি হলো ১৬।A,B,C,D,E,F এর সমকক্ষ মান হলো : ১০,১১,১২,১৩,১৪,১৫,

 

ধন্যবাদ সবাইকে

Related Posts

1 Comment

মন্তব্য করুন