আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন । আমিও বেশ ভালো আছি । আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই ব্যক্ত করি সব সময়। আর প্রত্যেকবারের মতো আজকে আমি লাইফস্টাইল সংক্রান্ত নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ যারা নিয়মিত আমার আর্টিকেল পড়ে থাকে তাদের কিছুটা হলেও এই আর্টিকেলটি পড়ে নিজেদের উপকারে আসবে।
হতাশা! হতাশা! হতাশা! এই কথাটা আমি অনেকের কাছেই শুনতে পাই। কেননা জীবনে চলতে গিয়ে এমন কেউ নেই যে কখনো হতাশায় পড়ে নি। তাই হতাশা এমন একটি ব্যাধি, যা আক্রমণ করে থাকে সবাইকে। তবে এক্ষেত্রে এটি মানুষভেদে একেক রকম। হতাশা কারো কারো ক্ষেত্রে দীর্ঘ স্থায়ী হয় আর কারো ক্ষেত্রে স্বল্প স্থায়ী। তবে সত্যি বলতে আমার নিজেরও মাঝে মাঝে হতাশা আসে, আর আমিও বেশ হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু তখনই মনে হয়, হতাশা আমাকে পেয়ে বসার আগের আমি একে হরিয়ে দেবো! এই চিন্তাটা থাকার কারণে হতাশা জিনিসটা আর আমায় জেঁকে বসতে পারে না।
তবে পূর্বেই বলেছি, সবাই তো আর এক না। আমরা অনেকেই আছি যারা হতাশাকে নিজেদের লাইফস্টাইল থেকে দূর করার চেষ্টা করি, কিন্তু পারি কি? পারি না। তবে আজকে আমি বলব কিভাবে আপনি আপনার লাইফস্টাইল পরিবর্তন করবেন।
আর কিভাবে হতাশাকে বাই বাই বলে একটি সুস্থ ও সুন্দর লাইফ যাপন করতে পারবেন মূলত সেই বিষয়গুলিই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
হতাশাকে দূর করার উপায়
১. সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করুন
আপনি যদি মাঝে মাঝেই হতাশায় ভুগে থাকেন, তাহলে একটি সুন্দর নিয়ন্ত্রিত জীবন থাকলে কিন্তু আপনাকে আর হতাশা ঘিরে ধরতে পারবে না। নিজের জীবনের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকলে কাজকর্ম করেই আসলে দিন কেটে যাবে, তখন আর আপনার হতাশা পাত্তাই পাবে না।
২. নৈরাশ্যবাদী হবেন না
একটা গ্লাসের অর্ধেক পানি ভর্তি। গ্লাসটি সম্পর্কে একজন আশাবাদীর বক্তব্য হবে যে, গ্লাসটি অর্ধেক ভর্তি। আর একজন নৈরাশ্যবাদী বলবে, গ্লাসের অর্ধেক খালি। তবে আপনি অবশ্যই নৈরাশ্যবাদী হবেন না। কারণ নিরাশা একবার যদি আপনার ওপর ভর করে বসে তাহলে অন্যান্য আরো মানসিক সমস্যাগুলো এসে জুড়ে যাবে সাথে সাথে।
৩. অনিদ্রাকে না বলুন
এটি একটি পরীক্ষিত ব্যাপার যে, বেশি রাত জাগলে সেটি মনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, জন্ম নেয় বিভিন্ন মামসিক সমস্যা। তাই রাত জাগা নিশাচর পাখি না হয়ে ঠিক সময়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। এতে আপনার মন সুস্থ থাকবে, পাশাপাশি আপনার দেহও থাকবে সুস্থ। ফলে হতাশা দূরেই থাকবে।
৪. নিজেকে যতসম্ভব ব্যস্ত রাখুন
অকারণে সময় নষ্ট করাটা আজকের প্রজন্মের যেন এক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনো কাজ না করে সময় নষ্ট করার পরপরই একটা সময় নিজের মধ্যে হতাশা কাজ করে। কেন অপচয় করলাম নিজের মহামূল্যবান সময়? জীবনে কি আর কিছু করতে পারব? আর এখান থেকেই নানান মানসিক সমস্যা এসে যোগ দেয়। তাই সবসময় কিছু না কিছু করে ব্যস্ত রাখুন। তবেই আপনি হতাশাকে দূরে রাখতে পারবেন সব সময়।
আশা করি এই বিষয়গুলি মাথায় রাখলে হতাশা আর আপনাকে ভর করতে পারবে না।
আজকে এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন