আমি ও আমার বন্ধু রাফি ৷ আমাদের ভ্রৌমন করতে খুব ভালোলাগে ৷ আমরা দুই বন্ধু একদিন পরামর্শ করলাম কোণ এক জায়গায় বেড়াতে যেতে হবে ৷ তো রাফি বললো চলো ঝিনাইদহ শৌলকুপা গাছ বাড়ি বেড়াতে যায় ৷ আমি বললাম গাছ বাড়ি সে আবার কেমন রাফি বললো দেখলে সব বুঝবি ৷ আমি বললাম আচ্ছা আনেক দিন তো ভ্রমণ যে যাওয়া হয় না তাহলে গাছ বাড়ি দেখে আসি ৷ আমরা পরের দিন সকালে রওনা দিলাম বাসা থেকে সকালে ৷ ঝিনাইদহা সদর থেকে গাছ বাড়ি দূরত্ব ৩০ কি.মি ৷ আমরা প্রথমে দূর থেকে গাছপালা দেখে বুঝলাম এটাই গাছ বাড়ি ৷
আমি আর রাফি বাড়ির ভিতর গেলাম দেখলাম এ যেনো প্রকৃৃতির এক অন্যন্ন সৌন্দর্যে এক বিষাল গাছ বাড়ি ৷ বাড়িতে আনেক ধরণের গাছ রয়েছে ৷ বাড়ির পুরা দিয়াল গাছ ও গাছের লতাপাতা দিয়ে ঢাঁঁকা ৷ স্থাযীয় দের কাছ থেকে শুনলাম এই বাড়ির মালিক আমিনুল ইসলাম ৷ আমিনুল ইসলাম পেশায় একজন ব্যাবসায়িক ৷ আমিনুল এই বাড়িটি ২০১৪ সালে গ্রামের নারীদের দিয়ে সূচি শিল্পের (কাপড়ে নকশা তোলার) কাজ করাতেন ৷ কিন্তু কিছুদিন পরে এই ভবনে নারীরা না আসার কথা বলে তারা বলে নিজ বাড়ি থেকে নকশা করে তারা দিয়ে যাবে ৷ তখন বাড়িটি আকেজো হয়ে যায় ৷
আমিনুল ইসলাম তখন ঢাকা থেকে বিভিন্য রকমের দেশি ও বিদেশি গাছ আনে বাড়িতে লাগায় ৷ এক পয়ার্যে বাড়িটি গাছ বাড়ি নাম হয় ৷ এই বাড়ির চারপাশে ১৪ বিঘা জমির উপর ৫০০ প্রজাতির গাছ রয়েছে ৷ এ দিকে রাফি ২ তালা বাড়ির ছাদে উঠার পারমিশন নিয়েছে ছাদে দেখি বিদেশি আনেক গাছ আছে ৷ বাড়ির সামনে বিশাল আঙ্গিনায় মূল্যবান দূর্লভ সব গাছ ৷ বাড়ির সেফটি ট্যাংংকি ও গাছ দিয়ে সাজানো ৷
গাছগুলো কেটে ছেটে নান্দনিক করে তুলা হয়ছে ফলও ফুলের গাছগুলো ৷ এর এই গাছের জন্য বাড়িটির নাম গাছ বাড়ি ৷ এই গাছ বাড়িতে বেলজিয়াম,পর্তুগাল, মালায়শিয়া,ভারত,দুবাইসহ একাধিক দেশের গাছ আছে ৷ গাছ বাড়িটিতে রিটা,নাগলিংংগম,এমাজিন,লিলির মতো মূল্যবান গাছ রয়েছে ৷ তাই আমরা মনে করি এই আমিনুল ইসলামের গাছ বাড়িতে বেড়াতে আসলে দূষণ মুক্ত বাতাস দেহ মনকে সজীব করে তুলবে৷