আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। আজকের পোস্টে আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা সামাজিক ও অর্থনৈতিক এসব কিছু আজকে বিস্তারিতভাবে বলতে যাচ্ছি। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা সামাজিক ও অর্থনৈতিক
আফগানিস্তান এশিয়ায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দেশের নিয়ন্ত্রক তালেবানরা। সাম্প্রতিককালে তারা আফগানিস্তানকে পায়। আগেও ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকে। এর পরে এই দেশটির প্রধান ছিল প্রধানমন্ত্রী। সেসময় যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানকে সহযোগিতা করত।
এবং দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের সৈনিকদের হারিয়ে তালেবানরা দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করে। এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের সৈন্য ও অন্য সকল সাহায্য এদেশ থেকে সরয়ে নেয়৷ তো এই তালেবান কারা? তালেবানকে আপনি একটি সশস্ত্র মুসলিম সংঘটন বলে অভিহিত করতে পারেন। তাদের মতে তারা দেশে ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়। বর্তমানে তালেবানের প্রধান হিবাতুল্লাহ আকুনজাদা (Hibatullah Akhundzada)।
বর্তমানে আফগানিস্তানে শুকরের মাংস ও আ্যলকোহল জাতীয় পানি গ্রহণ করা নিষেধ। ফুটবল ও দাবাসহ খেলাধুলায় যোগদান একসময় নিষিদ্ধ ছিল। ২০২০ সাপে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন মতে, আফগানিস্তানে সাক্ষরতার হার মাত্র ৪৩ ভাগ। তাছাড়াও নারীদের প্রতি নির্যাতন, তাদের উপর বিভিন্ন নিয়ম আরোপ এসকল কাজ তালেবানরা করেছে বলে জানা যায়। সম্পূর্ণ ইসলামিক নিয়ম মেনে সংবাদ উপস্থাপন করতে হবে।
নারী উপস্থাপকদের ক্ষেত্রে অবশ্যই বোরকা পরিধান করতে হবে ও চোখ বাদে সম্পূর্ণ মুখমন্ডল ঢাকতে হবে। নারীদের বিদ্যালয়ে যেতে না যাওয়া এমনকি গৃহবন্দি করে রাখারও অভিযোগ এসেছে তালেবান ও তাদের শাসনের উপর যদিও তারা তা অস্বীকার করেছে ও তাদের মতে তারা কিছু নিয়মকানুন মেনে মেয়েদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। গত ২১শে আগস্ট তালেবানরা মার্কিন নির্মাতা ও আফগান প্রযোজককে গ্রেফতার করেন।
নারী শিক্ষা ও নারী অধিকার তালেবান শাসনের সময় অনেকটাই কমে গেছে। ইউনেস্কোর পরিসংখ্যানে দেখা যায় দেশের ৩৭ লাখ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তার প্রায় ৬০ ভাগই মেয়ে। শুধু তাই নয় তারা আর্থিকভাবেও বেশ ভালো একটা অবস্থায় নেই। তালেবানরা যখন কাবুলের দখল নেয় তখন বিভিন্ন পশ্চিমা রাষ্ট্র তাদের উপর অর্থঅর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তার পাশাপাশি পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যে সাহায্য আসত তাও বন্ধ হয়ে যায়।
শুধু তাইই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে জমা থাকা আফগানিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড় না করার নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বর্তমানে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ আফগানিস্তানকে সাহায্য করছে না। তাদের ৯৪০ কোটি ডলারের মুদ্রার রিজার্ভ ও সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। দেশের প্রায় ৯৩ শতাংশ নাগরিক যথাযথ খাদ্য পাচ্ছে না ও ৯৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে যেতে পারে। দেশে মাথাপিছু আয় মাত্র ৫১০ ডলার৷
তো আজকের জন্য এতটুকুই। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।