আমাদের বাংলা সাহিত্যে অনেক খ্যাতনামা কবি ও সাহিত্যিকের আবির্ভাব ঘটেছে।তারা তাদের গল্প,কবিতা,নাটক ও উপন্যাস দিয়ে ধন্য করেছেন বাংলা সাহিত্যকে।তাদের অনেকেই আমার ভালো লাগে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে রবীন্দ্রোওর কবিদের মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং সর্বাপেক্ষা বিস্নয়কর প্রতিভার অধিকারী কবি কাজী ইসলামকে। বিদ্রোহী কবি,মানবতার কবি,প্রেমের কবি – কাজী নজরুল ইসলামই আমার সবচেয়ে প্রিয় কবি।
আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ন ২৫ মে,১৮৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম ফকির আহমদ এবং মাতার নাম জাহেদা খাতুন।ছোটবেলা বাবা – মা তাকে দুখু মিয়া বলে ডাকতেন।গ্রামের মক্তবে কবি প্রথম পড়াশুনা শুরু করেন। এখানে তিনি বাংলা, আরবি ও ফারসি ভাষায় প্রাথমিক অর্জন করেন।আবার কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত।তার বিদ্রোহী কন্ঠের দৃন্ত উচ্চারণ __
বল বীর
বল চির উন্নত মম শির
শির নেহারি আমারী নত শির
ওই শিখর হিমাদ্রির।
আবার কাজী নজরুল ইসলাম বস্তুর প্রেম নজরুল কবিতার এক বিশিষ্ট রূপ। এই প্রমের কবিতাগুলোই তাকে সমসাময়িকতার ঊধ্বে স্হাপন করেছে।তার কাব্যে প্রেম প্রতিমা রূপ ধরে এসেছে, অতীত হয়ে ওঠেছে জীবন্ত – অশ্রুদীপ্ত।তিনি বলেন __
মোর প্রিয়া হবে এস রানী
দেব খোপায় তারার ফুল।
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন মানবতার কবি সাম্যের কবি।তার কাব্যের সর্বএই তিনি নিপীড়িত,শোষিত,লান্ছিত জীবনের জয়গান গেয়েছেন।তার সর্বহারা কাব্যের প্রতিটি কবিতায় গনমানুষের দু:খ দুর্দশার ছবি পরিস্ফুট এবং তাদের প্রতি তার অপরিসীম দরদবোধের পরিচয় মেলে।সাম্যবাদী কবিতায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম জনগনের সঙ্গে মিশে গেছেন।তিনি বলেন,
গাহি সাম্যের গান ___
যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা ব্যবধান।
আবার কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন।
আবার দুই বাংলার সমস্ত বাঙ্গালির প্রিয় কবি নজরুল। সাহিত্যের ইতিহাসে নজরুল সৃষ্টিকর্তার এক আশীর্বাদ। আর এ সমস্ত বহুমুখী গুনের অপূর্ব সমাবেশের জন্যই তিনি আমাদের প্রিয় কবি।