ক্রিকেট
আমি তো নই কোনো খেলোয়াড়, হই একজন নাম মাত্র কবি।
আমি তো নই কোনো চিত্র শিল্পী যে, করব অংকন দারুণ ছবি।
তাই তো ঘরে বসে বসে রই-
লিখতে মনের মতো কবিতার বই।
যেহেতু আমি আসলে কোনো কবি নই-
তাই আমার কবিতা ভুলে থই থই।
যখন আমি কবিতা লিখতে বসি
বাইরে চলে যায় দৃষ্টি।
দেখি খেলা করে অনেক ছেলে-
বাইরে নেই কোনো বৃষ্টি।
তারা দারুণভাবে করে খেলা
সাথে বল আর ব্যাট।
বাইরে কান পেতে শুনে থাকি
এই খেলার নাম ক্রিকেট।
একজন হাতে নিয়ে করে ব্যাট
আর অন্যজন তার বিপরীত পাশে,
তাদের দলটি তখন
আরাম করে, আয়েশ করে রয়েছে বসে।
অন্য দলটি ঠিক এসময়ে
মহা ব্যাস্ত তাদের ফিল্ডিং সাজাতে।
কে বলার, কে কিপার আর
কারা থাকবে মাঠের মাঝে।
এরই মধ্যে মাঠে ২ জন অ্যাম্পিয়ার চলে আসলো।
তারা এসে সব ঠিক ঠাক আছে কিনা, তা দেখল।
এরপরই কোথা থেকে একটা সাইরেন বেজে উঠল।
সবকিছুর পরে তখন খেলা শুরু হলো।
অন্য দলের একজন বলার এসে
বল করে যখন অনেক জোরে।
যে ব্যাট করে সে,
তখন জোরে বল মারে।
ব্যাটসম্যানদের আউট করতে
আর রানের স্কোর কমাতে
অন্য দলের খেলোয়াড়গুলো
তখন বলটিকে শক্ত করে ধরে।
ধরার পরে নিক্ষেপ করে-
কিপার বা বোলারের দিকে।
কিপার বা বোলার জলদি বলটি ধরে
আঘাত করে সোজা দাঁড়ানো লাঠিগুলোকে।
যে ব্যাট করে সে নির্দিষ্ট স্থানে
যদি পৌঁছে যায়-
তাহলে আউট হবে না সে
নট আউট হবে সেথায়।
একজন আউট হলে তার দলের অন্যজন নামবে।
সে মাঠে এসে তার দলের স্কোর বাড়াবে।
সে মারবে জোরে, মাঠ ঘেঁষে হবে চার।
তার দল বলবে, “মার ভাই আরও জোরে মার!”
সে এবার দ্বিগুণ বেগে, দ্বিগুণ উৎসাহে
তার দলকে বলবে, “দাঁড়াও হে”
ব্যাট শক্ত করে ধরে, বলের দিকে নজর রেখে
মারবে এমন মার!
বল উড়ে যাবে, সবাই দেখবে
কিন্তু হবে না তো চার।
বল উড়ে গিয়ে মাঠ পেরুলে হবে ছয়,
সবাই পাবে তখন, তার সাহসিকতার পরিচয়।
বল উড়ে মাঠ না পেরুলে
ফিল্ডারের হাতে পড়লে-
যদি আউট হয়ে যায়, কিছু করার নাই
অন্যকে ব্যাট করতে দিতে হবে, বিনা বাঁধায়।
এভাবে একটি দলে সবাই আউট হয়ে গেলে
কিংবা তাদের মোট ওভার শেষ হয়ে গেলে
অন্য দল ব্যাট করতে হেসে হেসে মাঠে চলে।
অন্য দলটি যদি তাদের থেকে বেশী স্কোর করে
তাহলে অন্য দলটি জিতে যাবে, স্কোর থাকবে উপরে।
যদি অন্য দলটি আগের দলের সমান
বা বেশী স্কোর করতে না পারে-
তবে পরাজিত হবে অন্য দলটি
কাঁদবে কেউ কেউ অঝোরে!
যারা জিতে তারা হয় পুরস্কিত বটে-
এভাবে ক্রিকেট খেলার সেদিন অবসান ঘটে।