নিঃসন্দেহে ব্লগিং অর্থ উপার্জন করার জনপ্রিয় এবং সহজ টেকনিক বলা যেতে পারে। সহজ বলার কারণ হচ্ছে অন্যান্য প্লাটফর্মে কাজ করতে গেলে আপনাকে অনেক কিছু শিখে তারপর কাজ করতে হয়। কিন্তু ব্লগিং এর ক্ষেত্রে ব্লগিং করতে করতে অনেক কিছু শেখা যায়। ব্লগে আপনি আপনার ইচ্ছেমত কনটেন্ট লিখতে পারেন। আর এজন্যই ব্লগিং পেশা অন্য পেশার তুলনায় এতটা জনপ্রিয়।
তবে আজকের আর্টিকেল এ আমি এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো না। আমরা যারা নতুন ব্লগিং শুরু করি তাদের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে আমাদের ব্লগ সাইট এবং ব্লগ সাইটের পোস্ট কোনোটাই গুগলে রেঙ্ক করে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা ব্লগিং বিশেষজ্ঞদের কাছে এই সমস্যার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা আমাদের বলেন এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে। এক্ষেত্রে দেখা যায় এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখে ও আমাদের সাইট রেঙ্ক হয় না, গুগলের প্রথম ১০ টি পাতাতেও আমাদের সাইটের কোনো পোস্ট থাকে না।
এটা অবশ্যই সত্য যে এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লেখা গুগলের বড় রেংকিং ফ্যাক্টর। তবে শুধু আর্টিকেল লিখে আপনি বসে থাকলেন এবং ভাবছেন আপনার সাইট গুগলের প্রথম পাতায় আসবে তাহলে চরম বোকামি করছেন আপনি। দেখুন একটা সময় ব্লগারদের সাইটে শুধুমাত্র কনটেন্ট লিখলেই চলে আসতো হাজার হাজার ভিজিটর এবং ইনকাম হতো সহজেই প্রতিদিন ১০-১৫ ডলার বা তার থেকেও বেশি। তবে সময়ের সাথে সাথে প্রতিনিয়ত মার্কেটে এসেছে বহু ব্লগ ওয়েবসাইট।
আর ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এখন সম্পূর্ণ প্রতিযোগিতাময়। প্রতিযোগিতা যে করতে পারবেন সেই গুগলের প্রথম অবস্থানে থাকতে পারবেন। তাহলে প্রশ্ন আসে, আমরা নতুন ব্লগাররা কি করতে পারি আমাদের সাইট গুগলে রেঙ্ক করতে। যেহেতু আজকের আর্টিকেলটা আমি কিছুটা বিভিন্ন পদ্ধতিতে লিখছি সেহেতু আমি স্টেপ বাই স্টেপ কিছু পয়েন্ট আপনাদের বলছি যেগুলো ফলো করলে আপনি অবশ্যই আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারবেন।
স্টেপ ১. প্রথমত নিজেকে প্রশ্ন করুন ব্লগিং কেন করছেন আপনি? বিজনেস হিসেবে নাকি অন্য কিছু। যদি আপনি ব্লগিং কে বিজনেস হিসেবে নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে। তবে বিনিয়োগ অবশ্য খুব বেশি নয়। প্রথমে আপনি ডোমেইন এবং হোস্টিং বাবদে কেবল ২-৩ হাজার টাকায় ব্লগিং শুরু করে দিন। ওয়েবসাইট তৈরি করার আগে আপনি নিশ বাছাই করুন। যদি আপনি নির্দিষ্ট একটি টপিকের উপর ভিত্তি করে আপনার সাইটে কনটেন্ট পাবলিশ করেন তাহলে গুগলে আপনি দ্রুত সময়ের মধ্যে রেঙ্ক করতে পারবেন।
যেকোনো নিশ নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং টিপস, ইউটিউব টিপস, ইত্যাদি। অবশ্যই একটি প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করুন, ফ্রী প্রিমিয়াম থিম ও ব্যবহার করতে পারেন।যেমন Seo pro, Magify ইত্যাদি।
স্টেপ ২. ওয়েবসাইট তৈরি শেষে আপনি এডসেন্স এর চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিন। কারণ সাইট রেঙ্ক না করলে আপনি ভিজিটর কোথা থেকে পাবেন? আর ভিজিটর ছাড়া এডসেন্স এর কোনো মূল্য নেই
আপনার প্রধান লক্ষ হচ্ছে আপনার সাইট গুগলে রেঙ্ক করানো। এর জন্য অন্তত ২-৩ মাস আপনি এডসেন্স এর কথা ভাবা বাদ দিয়ে ফেলুন। আপনি প্রতিদিন একটি করে কনটেন্ট পাবলিশ করতে পারেন। কিংবা তিনদিনে একটি এভাবে। তবে অবশ্যই ব্যবধান যেনো সমান থাকে এবং সময় যেনো একই থাকে। অর্থাৎ আজকে সন্ধ্যা ৭ টায় পোস্ট করলে দুদিন পর হলেও সন্ধ্যা ৭ টায় পোস্ট করবেন।
স্টেপ ৩. অবশ্যই কীওয়ার্ড রিসার্চ করে পোস্ট করবেন। কীওয়ার্ড রিসার্চ ছাড়া পোস্ট করছেন তো মারাত্মক ভুল করছেন। এবার আসি মূল বিষয়, কীওয়ার্ড রিসার্চ করার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ব্লগার Google Keyword Planner টুল ব্যবহার করেন। আপনি যদি গুগল কীওয়ার্ড টুল ব্যবহার করে ভাবেন কীওয়ার্ড কম্পিটিশন লো হলে প্রতিযোগিতা কম, কিংবা সিপিসি বেশি হলে সেগুলোই আপনাকে দেওয়া হবে তাহলে মারাত্মক বোকামি করছেন।গুগল কীওয়ার্ড প্লানার টুল হচ্ছে যারা গুগল এডেস দ্বারা কাজ করেন তাদের জন্য।
তারা এড দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কেমন হবে, সিপিসি কতটা দেওয়া লাগবে সেটির আইডিয়া দিয়ে থাকে এই টুল। আপনি যদি ভাবেন ব্লগিং এর জন্য এই টুল দিয়ে কীওয়ার্ড রিসার্চ করবেন তো ভুল করছেন। তবে এখান থেকে আপনারা কীওয়ার্ড আইডিয়া এবং সার্চ ভলিউম আইডিয়া নিতে পারেন। কীওয়ার্ড রিসার্চ করার ক্ষেত্রে গুগল সার্চ রেজাল্ট, KGR প্রক্রিয়া, The Hoth, SeMrush, Moz, UBERSUGGEST টুল এর ব্যবহার করে থাকি আমি। তবে গুগল সার্চ রেজাল্ট থেকে আপনারা কীওয়ার্ড আইডিয়া পাবেন প্রচুর।
স্টেপ ৩ এর দ্বিতীয় পয়েন্ট হলো হাই কম্পিটিশন কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ না করা। নতুন ব্লগারদের পোস্ট রেঙ্ক না করার অন্যতম কারণ হচ্ছে তারা অত্যন্ত হাই কম্পিটিশন কীওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখেন যেগুলোর উপরে কনটেন্ট গুগলে প্রচুর আছে এবং বড় বড় ওয়েবসাইট এসব কীওয়ার্ড নিয়ে রেঙ্ক করেছে।
আমি বলছি না নতুন ব্লগারদের হাই কম্পিটিশন কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করার যোগ্যতা নেই। কিন্তু যদি নতুন ওয়েবসাইটে হাই কম্পিটিশন কীওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখেন তাহলে সেটি বোকামি বলা যায়। শুরুতে আপনি আপনার সাইটকে রেঙ্ক করান একদম লো কম্পিটিশন কীওয়ার্ড নিয়ে লিখে।
৫০-১০০ সার্চ ভলিউম কিন্তু কম্পিটিশন একদম নেই এমন কীওয়ার্ড নিয়ে প্রথমে কাজ করুন। ধীরে ধীরে ওয়েবসাইটের রেঙ্ক বাড়লে বেশি প্রতিযোগিতা মূলক কীওয়ার্ড নিয়ে লিখবেন। এক্ষেত্রে আরো একটি বিষয় বলে রাখি সিপিসি এর দিকে শুরুতে ছুটবেন না। একটি কীওয়ার্ড নিয়ে লিখলে সেটিতে সিপিসি না থাকলেও আর্টিকেল এ থাকা বিভিন্ন কীওয়ার্ড এর জন্য সিপিসি পাবেন।
তবে সিপিসি, ইনকাম এর কথা না ভেবে আর্টিকেল লিখতে থাকুন। লিখতে লিখতে আপনি এসইও সম্পর্কে রিসার্চ করুন, অন পেজ এসইও, অফ পেজ এসইও আপনার পোস্টে এপ্লাই করতে থাকুন। শুরুতে অনেক ঝামেলা এবং কষ্টের মনে হবে তবে একসময় রয়ালটি ইনকাম করতে পারবেন।
স্টেপ ৪. ওয়েবসাইটে ২-৩ মাস নিয়মমতো আর্টিকেল লিখে ফেলুন একইসাথে অন পেজ এসইও, অফ পেজ এসইও করবেন। ৪র্থ পর্যায়ে কথা বলবো ব্যাকলিংক নিয়ে। হতে পারে আপনার সাইটের পোস্ট গুগলের সার্চ রেজাল্টে না আসার কারণ ব্যাকলিংক।
ব্যাকলিংক এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে অন্য একটি সাইটে আপনার সাইটের কোনো লিংক থাকবে। ব্যাকলিংক মূলত দুই ধরনের, Do Follow Backlinks ও No Follow Backlinks.
ডু ফলো লিংক গুগলের রেঙ্ক করার ক্ষেত্রে বেশি কাজে দেবে। সবসময় চেষ্টা করুন ডু ফলো ব্যাকলিংক তৈরি করতে। ডু ফলো মানে একটি ওয়েবসাইট গুগলের কাছে আপনাকে রেফার করছে। কিন্তু নো ফলো ব্যাকলিংক যদিও ব্যাকলিংক এই তবে এক্ষেত্রে no follow tag দেওয়া থাকে অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ায় আপনাকে একটি সাইট ব্যাকলিঙ্ক দিচ্ছে ঠিক কিন্তু গুগলের কাছে রেফার করছে না।
চেষ্টা করবেন ৮০ শতাংশ ডু ফলো এবং অন্তত ২০ শতাংশ অবশ্যই নো ফলো ব্যাকলিংক রাখতে। তাহলে গুগলের কাছে আপনার সাইট সহজে বেশি গুরুত্ব পাবে।
এখন কথা হলো ব্যাকলিংক কিভাবে পাবেন আপনি? দেখুন ব্যাকলিংক পাওয়াটা কিন্তু খুবই মুশকিল। ওয়েবসাইটকে রেঙ্ক করানোর ক্ষেত্রে ব্যাকলিংক যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই কঠিন বলা যায়।
আপনাকে অবশ্যই আপনার নিশ রিলেটেড সাইট থেকে ব্যাকলিংক তৈরী করতে হবে। ব্যাকলিংক তৈরি করার নেশায় যেকোনো সাইট থেকে লিংক তৈরি করাটা মারাত্মক বোকামির কাজ হবে। আপনার নিশ টেক, আপনি যদি একটি রান্নার সাইট থেকে ব্যাকলিংক নেন তাহলে গুগল ভাববে একটি রান্নার সাইট কিভাবে টেক সাইট এর বিষয়ে জানবে? যার ফলে আপনার গুগল এ প্রকার ব্যাকলিংক গুলোকে স্পামিং হিসেবে ধরে নিয়ে থাকে।
অনেক প্রকারের ব্যাকলিংক প্রচলিত রয়েছে। তবে লেজিট ব্যাকলিংক এর ক্ষেত্রে গেস্ট পোস্ট অন্যতম। পাশাপাশি প্রোফাইল ব্যাকলিংক তৈরি করুন। ব্যাকলিংক নিয়ে বেশি ছোটাছুটি করার প্রয়োজন নেই।
আপনার নিশ বিষয়ক ৬-৭ টি গেস্ট পোস্ট দ্বারা তৈরি ব্যাকলিংক নিতে পারলেই আপনার সাইটের অথরিটি অনেকটা বেড়ে যাবে এবং এই ৬-৭ টি ব্যাকলিংক আপনার সাইট রাঙ্কিং করতে মারাত্মকভাবে সাহায্য করবে। হাজার টা স্পামিং লিংক থেকে ৫-৬ টি গেস্ট পোস্ট থেকে আসা ব্যাকলিংক শক্তিশালী।
তবে পাশাপাশি ১-২% কমেন্ট ব্যাকলিংক, Web 0.2, প্রোফাইল ব্যাকলিংক, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাকলিংক ইত্যাদি তৈরি করবেন। তবে বিশেষ করে ফোকাস করবেন গেস্ট পোস্ট এর দিকে।
তাহলে প্রশ্ন আসবে গেস্ট পোস্ট কিভাবে করবেন? আমি দুটি পরামর্শ দেবো এক্ষেত্রে যেগুলো আমি ফলো করছি।
১) প্রথম পদ্ধতি হিসেবে গুগল সার্চ করে আপনি গেস্ট পোস্ট করার সাইট পেতে পারেন যেগুলো আপনার নিশ বিষয়ে। যেমন:
“Your Keyword”+Write for us
“your niche/keyword guest post site list
“your keyword” backlink site list
এভাবে সার্চ করে আপনি আপনার নিশ বিষয়ক গেস্ট পোস্ট করার সাইট পেয়ে যাবেন সহজে। তবে তারা সহজে আপনাকে গেস্ট পোস্ট করতে দিতে নাও পারে। এক্ষেত্রে শুরুতে আপনি তাদের ইমেইল সংগ্রহ করে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
চেষ্টা করবেন তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক করতে,এর ফলে তারা আপনাকে গেস্ট পোস্ট ব্যাকলিংক নেওয়ার সুযোগ করে দিবে।
২. ফেসবুক গ্রুপ থেকে আপনার নিশ বিষয়ক গেস্ট পোস্ট করার সাইট খুজে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে পোস্ট করতে পারেন ‘টেক রিলেটেড সাইটের জন্য ব্যাকলিংক প্রয়োজন Da ৭-৮ এর মত কিন্তু স্প্যাম স্কোর যেনো ১ থেকে বেশি না হয়।
এখন স্পাম স্কোর বিষয়টা কি? স্যাম স্কোর বলতে একটি ওয়েবসাইট গুগলের নজরে কতটুকু স্পামিং করলো সাইটে একটা ফলাফল। স্প্যাম স্কোর ১ থেকে বেশি হলে তাৎক্ষণিক সে সাইট বর্জন করুন, কোনো ধরনের ব্যাকলিংক সেখান থেকে নিবেন না।
এতে গুগল ধরে নেবে একটা স্পামিং সাইট আপনাকে রেফার করছে, তার মানে আপনিও একজন স্প্যামার। উদাহরণ স্বরূপ একজন ভালো ছাত্র আপনাকে শিক্ষকদের সামনে ভালো বলা মানেই আপনি কিন্তু ভালো।
কিন্তু একজন খারাপ ছাত্র যে কিনা শিক্ষক এর নজরে আগে থেকেই খারাপ সে আবার আপনাকে শিক্ষকের কাছে রেফার করছে তার মানে শিক্ষকের নজরে আপনার জন্যেও খারাপ ভাবনার সৃষ্টি হবে।
আপনি চাইলে অবৈধ উপায়ে ব্যাকলিংক নিতে পারবেন কিন্তু সেগুলো আপনার সাইটের রেঙ্ক বৃদ্ধি তো করবেই না উল্টে আপনার সাইট প্লান্টি খেয়ে যাবে। যদি ব্লগিং কে সিরিয়াস ভাবে নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।
স্টেপ ৫. আমি ধরে নিলাম পূর্ববর্তী ৪ টি স্টেপ ফলো করে আপনি ২-৩ মাস অলরেডি কাজ করে ফেলেছেন। অর্থাৎ একটি সাইট তৈরি এবং তাতে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করা, এসইও করা, ২-৩ মাস পর ব্যাকলিংক এর কাজে হাত দেওয়া এগুলো আপনি করেছেন।
এখন ৫ম স্টেপে আপনি লক্ষ করুন আপনার সাইটে কোনো ধরনের সমস্যা আছে নাকি। যেমন বিভিন্ন Error ধরতে পারেন। একইসাথে আপনার সাইটে বিভিন্ন পেজ আছে কিনা চেক করুন।
কয়েক মাস কাজ করার পর দেখুন আপনার সাইটে ভিজিটর আসছে কিনা। যদি তবুও কম আসে আপনি কাজ করতে থাকুন নিয়মিত। অবশ্যই এসইও করবেন প্রত্যেকটি পর্যায়ে।
এখন যখন আপনার সাইটে ৩০-৩৫ টি কনটেন্ট লেখা হয়ে যাবে হাই কোয়ালিটির, এবং প্রত্যেকটি গুগল ইনডেক্স পাশাপাশি আপনার সাইটে অর্গানিক ভাবে ট্রাফিক আসছে কম হলেও প্রতিদিন ১০০-২০০ এবার আপনি এডসেন্স এর জন্য আবেদন করুন।
হ্যাঁ, মাত্র ৫ টি কনটেন্ট দিয়ে কোনো ভিজিটর ছাড়া এডসেন্স পেয়েছে অনেকে। তবে এতে কোনো লাভ নেই। এর থেকে ভালো আগে নিজের সাইট কে প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি করুন তারপর এডসেন্স এবং ইনকাম নিয়ে চিন্তা করুন।
এডসেন্স এপ্লাই করার আগে আপনার সাইটের কনটেন্ট ভালো কপি হয়েছে কিনা, আপনার সাইটে ব্যবহার করা ছবিগুলো কপি হয়েছে কিনা, আপনার সাইটের জরুরি সব পেজ (About Us, Contact Us, Privacy Policy) আছে কিনা এসব খুঁটিনাটি বিষয় গুলো একবার চেক করে নিন।
যদি আপনার চেক করতে অসুবিধা মনে হয় তবে আপনি কোনো বিশেষজ্ঞ ব্লগার দ্বারা চেক করতে পারেন।
আমি গ্যারান্টি দিতে পারি একটি পরিশ্রম করে এভাবে স্টেপ বাই স্টেপ কাজ করলে আপনি অবশ্যই আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফল হতে পারবেন। আর মনে রাখবেন আপনার মত হাজার হাজার মানুষ বর্তমানে ব্লগিং করছেন কিন্তু সবাই গুগলের সার্চ রেজাল্টে থাকছে না।
সর্বশেষ পরামর্শ
পরিশেষে বলব, আপনি যদি নিয়ম মেনে এভাবে ব্লগিং প্লাটফর্মে কাজ করেন অবশ্যই আপনি আপনার সাইট রেঙ্ক করতে পারবেন।
আরেকটি টিপস দিতে চায়, দ্রুত ইনডেক্স করানোর জন্য আপনার সাইট অবশ্যই গুগল নিউজ অ্যাপ্রুভ করুন। যাবতীয় সব তথ্য দিয়ে আবেদন করুন, সব ঠিক থাকলে আপনার সাইট লাইভ হয়ে যাবে।এবং মাত্র ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই সাইটের পোস্ট ইনডেক্স হবে।
তো এই ছিল মূলত আজকের টিপস এবং ট্রিকস বিগেনারদের জন্য। আমি যতটুকু জানি চেষ্টা করেছি সেটা আপনাদের বুঝিয়ে বলতে। ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। আমিও আমার নতুন ব্লগ বৈচিত্র ধারা তে মাঝে মধ্যে কনটেন্ট পাবলিশ করি। আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইট ঘুরে আসতে পারেন।
আজকে আর্টিকেল নিয়ে কোনো প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকলে মন্তব্য করবেন। ধন্যবাদ