ফুটবল জগতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মঞ্চ হচ্ছে ফিফা ওয়ার্ডকাপ। প্রতি চার বছর পর পর এই আন্তজার্তিক মানের খেলা সারাবিশ্বের মানুষের মন কেড়ে নেই। এবারের ফুটবল বিশ্বকাপের ভ্যেনু পড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাতার রাজ্যে। ফিফা ওয়ার্ডকাপ ২০২২ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ২১ নভেম্বর, ২০২২ সালে।
এশিয়া মহাদেশের ভেতর সর্বপ্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাতারে। কাতার রাজ্যে মোট ৮টি ভ্যেনু আছে এবং যার ভেতর মোট ৫টি ভ্যেনুতে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো হোস্ট করা হবে। আন্তজার্তিক ফুটবল ফেডারেশন ফিফা বিশ্বকাপের ২২ তম আসরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ উপলক্ষে আরবি ভাষাকে বিশেষ সম্মানতা প্রদান করতে যাচ্ছে। ফিফা ওয়ার্ডকাপ ২০২২ সম্পূর্ণ আরবিক ভাষায় স্বীকৃতি দিয়ে ফিফার পঞ্চম ভাষা হিসেবে আরবিকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফিফা।
আরবি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় ভাষা এবং আরব ইতিহাসের শুরু থেকে আরবী ছিল তাদের একমাত্র ভাষা। এছাড়াও সারাবিশ্বের ২০টি দেশের ৪৫ কোটি মানুষ আরবী ভাষায় কথা বলে থাকে। আরবি ভাষার ব্যবহার ও প্রচলন সারাবিশ্বেই আছে। আরবি ভাষার মাধ্যমেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করা হয়ে থাকে। বিশ্বকাপের ২২ তম আসরে ফিফা আন্তজার্তিকভাবে আরবি ভাষাকে ফিফার পঞ্চম ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গৌরব বিশ্ববাজারে বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে।
বর্তমানে ফিফার চারটি আনুষ্ঠানিক ভাষা হচ্ছে ইংরেজী, ফ্রেঞ্চ, জার্মান ও স্পানিশ এবং এবার বিশ্বকাপের আসরে আনুষ্ঠানিকভাবে আরবি ভাষাকে সংযুক্ত করা হচ্ছে। আরবি ভাষা সংযুক্ত করার মাধ্যমে আরবি ভাষা ফিফার পঞ্চম ভাষা হিসেবে বিশ্বমঞ্চে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ কাতার আসরে এবার আরবি ভাষার মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা হয়েছে। অনলাইনে ফিফা বিশ্বকাপ ওয়েবসাইটে ইতেমধ্যে আরবি দিয়ে সাজানো হয়েছে। অনলাইন অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আরবিকে স্পেশাল ফন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
কোটি কোটি ফুটবল প্রেমী ও অনুরাগীরা আসন্ন কাতার বিশ্বকাপের অগ্রিম টিকিট বিক্রয় করা শুরু করে দিয়েছে। অগ্রিম টিকিটের ভেতরও আরবি ভাষাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আরবিক ফন্ট ব্যবহার করে আন্তজার্তিক ফুটবল ফেডারেশন দল আরবি ভাষাকে বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবল অনুরাগীদের কাছে ফুঁটিয়ে তুলেছে। এছাড়াও বিশ্বকাপে মোট ৩২টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে এবং স্বাগতিক কাতার ফুটবল টিমও এই মঞ্চে অংশগ্রহন করবে। স্বাগতিক দল তার জার্সিতে আরবিক ফন্ট ব্যবহার করছে।
পঞ্চম ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়াকে স্বাগতিক কাতার খুবই সম্মানজনক মনে করছেন এবং ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিদেশী সংবাদপত্র ও ফিফা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আরবি ভাষাকে ফিফার পঞ্চম ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে সারাবিশ্বে বিশেষ দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে।
সূত্র: জাগোনিউজ২৪.কম