ইফতারের সময় অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন কারণ ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ
আজকাল যে গরম তাতে আবার রোজা । এতে সারাদিন না খেয়ে সন্ধ্যার সময় একটু ঠান্ডা পানি খেতে খুবই ভালো লাগে ।
কিন্তু সমস্যাটা তো এখানেই । শুধু কি ভালো লাগলেই হবে । এর রয়েছে মারাত্মক ক্ষতিকর দিক । সেই দিক জানার পরে আমার মনে হয় না আপনারা আর ঠান্ডা পানি মানে ফ্রিজের হিম শীতল পানি পান করবেন ।
তাহলে চলুন জেনে আসি সেগুলো-
দাঁতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে – কিভাবে জানেন কি ? ঠান্ডা পানি আমাদের দাঁতের ভেগাস স্নায়ুর উপর সেই রকমের বাজে প্রভাব ফেলে । যেহেতু অতিরিক্ত ঠান্ডা তাই না । আর তাতে দাতের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব দেখা যায় । এতো দাতের অনেক ক্ষতি হয় । এমন কি দাত পড়ে যেতে পারে । তাছাড়াও হৃদযন্ত্রের গতিটা কমিয়ে দেয় । তাই আমাদের উচিৎ ঠান্ডা পানি পান থেকে বিরত থাকা ।
শ্বাসপ্রণালিতে সমস্যা সৃষ্টি করে- শ্বাসনালিতে ঠান্ডা পানি পান করার কারণে শ্বাস নিতে সমস্যা করে থাকে । কিন্তু কিভাবে জানেন ? আমরা যখন খাবার খাই তারপর ঠান্ডা পানি পান করি , আর এই ঠান্ডা পানি আপনার শ্বাসনালিতে অতিরিক্ত পরিমাণে শ্লেষ্মার আস্তরণ তৈরি হয় , যার কারনে শ্বাসপ্রণালিতে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
* ডাক্তার রা পরামর্শ দিয়েছেন ঠান্ডা পানি এমনিতেও মানুষের ক্ষতি করে । যখন আমরা শরীর চর্চা করি অথবা ওয়ার্কআউট করি তখন আমরা সবাই হুমড়ি খেয়ে ঠান্ডা পানি পান করি । আমরা ভাবি না জানি কতো উপকার হয় আমাদের । অথচ তখন আমাদের হালকা গরম পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন, ডাক্তার ।
শরীরচর্চা জরার পর আমাদের তাপমাত্রা এমনিতেই বৃদ্ধি পায় । এ সময় ঠাণ্ডা পানি পান করলে আপনার হজমের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাহলে এড়িয়ে চলায় ভালো । বুঝলেন?
*আর একটি মারাত্মক প্রভাব হলো রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায় । আপনি যদি প্রতিদিন এই ঠান্ডা পানি পান করতে অভ্যস্ত হন ,তাহলে আজি ছাড়ুন ,কারন টা হলো রক্তনালী সংকুচিত হয়ে পড়ে ও স্বাভাবিক পরিপাক ক্রিয়াও বাধাপ্রাপ্ত হয়।
শুধু মাত্র ঠান্ডা পানি পান করার কারণে এরকম মারাত্মক সমস্যা গুলো আপনার হতে পারে । তাহলে আমার পরামর্শ বাদ দিয়ে দিন । আমি তো আজ থেকেই বাদ দিয়ে দিলাম । দরকার নেই এতো মারাত্মক ক্ষতির ।