হ্যলো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন । আমিও বেশ ভালো আছি । আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই ব্যক্ত করি সব সময়।
কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস সংক্রামক অসুখ ২০১৯) একটা অসুখ যা করোনাভাইরাস নামের এক ধরনের ভাইরাস থেকে হয়। করোনাভাইরাসের দেহে খোঁচা খোঁচা কাঁটার মতো কিছু জিনিস দেখা যায়। এদের অনেকটা মুকুটের মতো দেখতে লাগে। তাই মুকুটের লাতিন প্রতিশব্দ করোনা থেকেই এসেছে এই ভাইরাসের নাম।মানুষের শরীরের অনেক রোগ, যেমন পোলিও, হাম, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সাধারণ ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি ভাইরাস থেকে হয়। কিছু কিছু রোগের টীকা আছে। তার মধ্যে কিছু টীকা আমাদের সকলকেই নিয়ম করে ছোটবেলায় নিতে হয়। আবার কিছু টীকা, যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জার টীকা আমরা চাইলে বড় বয়েসে নিতে পারি। তবে এটা প্রত্যেক বছর নিতে হয়। এই টীকা নেবার পরে যখন সেই ভাইরাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, আমাদের শরীর সেটাকে চিনে তার প্রতিরোধ করতে পারে।
আমাদের শরীরে যখন কোন অচেনা ভাইরাস ঢুকে পরে, তখনই দেখা দেয় সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রেই এই ভাইরাসগুলো শুয়োর, পাখি, বাদুড় বা অন্য জন্তুদের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবে থাকে। তবে কখনোসখনো তার একটা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লেই দেখা দেয় নতুন রোগ – যেমন এই কোভিড-১৯। বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে কোভিড-১৯ এর ভাইরাস বাদুড় থেকে এসেছে।কোভিড-১৯ নিয়ে মানুষের দুশ্চিন্তার বেশ কিছু কারণ আছে। প্রথমত, এটা একটা রেস্পিরেটরি বা শ্বাস-প্রশ্বাসের রোগ যা সহজেই একজনের থেকে অন্যজনে ছড়াতে পারে। দ্বিতীয়ত, অল্পসংখ্যক কিছু মানুষের এর থেকে মৃত্যু হতে পারে। তৃতীয়ত, এই রোগের বিরুদ্ধে লড়বার কোন স্বাভাবিক প্রতিরোধক্ষমতা বা ইমিয়ুনিটি আমাদের শরীরে নেই।শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
কভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়াতে কাজ করছে ইমো। ইমোর অ্যাপে নতুন একটি ফিচার চালু করেছে। এটি টিকা গ্রহণ করতে পারবেন এমন ব্যবহারকারীদের রি-ডাইরেকশনের মাধ্যমে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে। এরপর নিবন্ধনকারীদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এসএমএসের মাধ্যমে টিকাগ্রহণের সময় এবং তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। বর্তমানে দেশের মাত্র ৭২ লাখের বেশি মানুষ কভিড-১৯ টিকা পেতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে আরো টিকা এসেছে ও টিকা দেওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়সের সীমা কমিয়ে ৩৫-এ নামিয়ে আনা হয়েছে।
নতুন এই ফাংশনটি পাওয়া যাবে অ্যাপের ‘Explore’ ট্যাবের অধীনে ‘কভিড-১৯ ভ্যাকসিন অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ নামে।