আসসালামু-আলাইকুম, আশা করি ভালো আছেন। আজ আলোচনার বিষয় ইসলামে নারীদের পর্দা করার হুকুম এবং স্বামীর কর্তব্য৷।।
ইসলাম নারীদেরকে একটি বিশেষ মর্যাদা ও সম্মানিও স্থান দান করেছেন। তার মধ্যে একটি হলো পর্দা করা। পর্দার ধারা নারীর চরিত্র ও চেহারার সৌন্দর্য সমৃদ্ধ থাকে। এতে করে মহান আল্লাহ তায়ালাও পর্দাশীল নারীর প্রতি সন্ত্তষ্ট হন।
একজন বিবাহীত নারীর প্রতি তার স্বামীর দায়িত্ব হলো তার স্ত্রীকে সংযত ও ইসলামের নিয়মের আওতায় আনা এবং তাকে শরিয়ত সম্মত পন্য,খবার ও পোশাকের ব্যাবস্থা করা। আর তার বাডির চার পাশকে লোকচক্ষুর আডাল করা। ইসলাম বেপর্দা নারীকে পশ্রয় দেয় না। বেপর্দা নারীর উদাসীনতার কারণে বর্তমান সমাজের যুবক ছেলেরা এক প্রকার গুনাহের মধ্যে সামিল হচ্ছে।
ইসলাম বলে-নারীরা পর্দা কর আর ছেলেরা তাদের চক্ষুকে অবনমিত রাখ। নারীরা তো পর্দা করবে বাধ্যতামূলক তবে পর্দার মধ্যে ভাগ আছে। কেউ তার সমস্ত অঙ্গ কাপড দ্বারা আবৃত রাখে আবার কেউবা শুধু মুখ মন্ডল ব্যাতীত পর্দা করে। তবে ইসলামে দুটোর অনুমতিই আছে। হাদিসে হজরত নবি করিম (সাঃ) বেলেছেন – হে আলি তুমি নিশ্চয় জান্নাতের একটি গুপ্ত ভান্ডার পাবে।
কেননা তুমি তোমার চক্ষুকে অবনমিত রেখেছ। কারণ তোমার প্রথম দৃষ্টি তোমার স্বপক্ষে ছিল কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি তোমার স্বপক্ষে নয়। সুতরাং আমাদের উচিত হজরত আলী (রাঃ) এর মতো দৃষ্টিপাত করা এবং প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা এর দেখানো পথে জীবন পরিচালিত করা। ইসলামে বেগানা নারী-পুরুষের সাক্ষাৎ এর কোন বিদান নেই।
নারীরা যদি নিজেকে পর্দার ভিতরে সংযত না করে তবে সমাজে প্রত্যাহ ইভটিজিং বেডেই চলবে। ইভটিজিং এর বাংলা অর্থ হলো – নারীদের বিরক্ত করা। সুতরাং ভাই ও বোনেরা আপনারাই পারেন এর হাত থেকে সমাজকে উদ্ধার করা। বোনেরা নিজেদের সৌন্দর্যকে পর্দায় সংযত করুন এবং ভাইয়েরা দৃষ্টিকে অবনমিত রাখুন। বহু যুগ আগে নারীদের ঘর থেকে বাইরে বের হবার অনুমতি ছিলনা তবে বর্তমানে এটি নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালা কন্যা সন্তানের মধ্যে অনেক বরকত দান করেছেন। আর ঘোষণা দিয়েছেন তিনজন কন্যা সন্তান ওয়ালা পিতা-মাতার জন্য জান্নাত অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। নারী জাতি মা যারা অনেক শ্রদ্বা আর সম্মানের পাত্র। তবে পিতাও কোনো অংশে কম নয়। ইসলামে বলা আছে মাতার পায়ের নিচে সন্তানে বেশেস্ত।
।।।সমাপ্ত।।।
কেমন লাগলো কমেন্টে জানিয়ে দিন।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, ঘরে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।