ইসলামে মেয়েদের চুল বাধার নিয়ম : চুল মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতীক।সুন্দর চুলের অধিকারী যেকোনো মেয়েকে দেখতেই সুন্দর লাগে। ইসলাম ধর্মে মেয়েদের চুলকে ঢেকে রাখার কথা বলা হয়েছে। চুল বাধার ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। মেয়েরা যে কোন ভাবে চুল বাধতে পারবে।
মাথায় খোঁপা করা, বেনী করা, ঝুটি করা বা যেকোন স্টাইলে চুল বাধতে পারবে। কিন্তু মাথার উপর উটের কুজের মতো উঁচু করে চুল বাধার কোন বিধান নেই। মাথায় এমন ভাবে খোপা করতে হবে যাতে পিছন দিক থেকে কোন পুরুষ আন্দাজ করতে না পারে চুল বড় নাকি ছোট।
ইসলামে মেয়েদের চুলে বেনি বা ঝুটি বেঁধে মাথা বাধা উত্তম। কাধ পর্যন্ত লম্বা চুল কে ওয়াফেরা বলা হয়,আরবের মেয়েরা মাথায় চুল বেনী করে বেঁধে রাখতো। মাথার মাঝখানে সিঁথি করাই উত্তম।
ইসলামে মেয়েদের চুল বাধার নিয়ম
পর পুরুষের সামনে মেয়েদের চুল প্রদর্শন করা হারাম। চুল শুধুমাত্র স্বামী বা পরিবারের মানুষজন দেখতে পারবে। তাছাড়া মাথার চুল ঢেকে রাখতে হবে। ইসলামে চার ধরনের সাজসজ্জা কে হারাম বলা হয়েছে। সেগুলো হলো-
- কপালে টিপ পরা
- ঘন্টা যুক্ত নুপুর পরা
- পরচুলা বা নকল চুল লাগানো
- ভ্রু প্লাক করা
ফ্যাশনের জন্য মেয়েদের চুল ছোট করে কাটার কোন বিধান নেই। চুলের অগ্রভাগ যদি এলোমেলো থাকে তাহলে সামান্য পরিমাণে কাটানো যেতে পারে তবে চুল না কাটাই উত্তম। পরচুলা সম্পর্কে ইসলামে বলা হয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওইসব নারীর উপর অভিসম্পাত করেছেন যারা পরচুলা লাগায় এবং লাগাতে বলে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন বনী ইসরাঈল তখনই ধ্বংস হলো যখনই তাদের মেয়েরা পরচুলা ব্যবহার করা শুরু করলো। আবার চুল কাটা সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে, নারীর চুল কেটে কখনো পুরুষের বেশ ধারণ করা যাবে না বা পুরুষ কখনো চুল বড় করে নারীর আকার ধারণ করতে পারবেনা।
মেয়েদের চুল লম্বা রাখার ব্যাপারে হাদিসে বলা হয়েছে- হাশরের ময়দানে মেয়েরা যখন দন্ডায়মান হবে তখন তারা চুল দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত করে রাখবে, যে মেয়ে দুনিয়াতে চুল কাটবে, সে হাশরের ময়দানে নিজেকে আবৃত করে রাখতে পারবে না।
আবার ইসলামে মাথা থেকে পড়ন্ত চুল সুন্দর করে ধুয়ে মাটিতে পুতে ফেলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
যেখানে সেখানে চুল ফেলা উচিত নয়। মেয়েদের মাথার চুল অমূল্য সম্পদ। চুল দিয়ে যাদুও করা যায়। মাথার চুল বিভিন্ন রকম কালার করা বা চুলে কলপ ব্যবহার করা ঠিক নয়। চুলে কলপ ব্যবহার করলে গোসলের সময় চুলে পানি প্রবেশ করতে পারে না ফলে গোসল ফরজ হবে না।
মেয়েদের মাথার চুল ন্যাড়া করা হারাম। তবে সৌন্দর্যের জন্য চুল কাটা জায়েজ আছে।
পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর Facebook Group এর সাথেই থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।