ভুমিকা: ই-কমার্স বলতে আমরা যা বুঝি সে সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব ই-কমার্স হল ইলেকট্রনিক কমার্স। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা একই স্থান থেকে অন্য স্থানে কেনা-বেচার মাধ্যমিকে ই-কমার্স বলা হয়।একে অনেক সময় ইন্টারনেট কমার্সে বলা হয়।
ই-কমার্সের ব্যাবহার : ই-কমার্স এর মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসে খুব সহজে বহিঃবিশ্বের সাথে বৃহৎ মার্কেটপ্লেস তৈরি করতে পারছে।অনলাইন পেমেন্ট সুবিধার মাধ্যমে পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। এমন অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ই-কমার্স এর মাধ্যমে সফলতা লাভ করেছে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সমূহ : যেমন ইভ্যালি, আলিবাবা, অ্যামাজন ইত্যাদি। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো এখন cash-on-transport মাধ্যমে যেকোন স্থানে তাদের পণ্য বা সেবা পৌঁছে দিচ্ছে।যার ফলে ক্রেতারা ঘরে বসে তার কাঙ্খিত পণ্য পাচ্ছে। আগেকার দিনে মানুষেরএ সব? ভাবতে পারত ? পারতনা মানুষ সব কল্পনাও করতে পারত না। ছিল মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো। কিন্তু বর্তমান যুগে এসে মানুষের সব করে দেখিয়েছে।এ সবকিছু সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে। তাই ই-কমার্সকে ইলেকট্রনিক কমার্স কে বলা হয়।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো কেনাকাটা এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।যার ফলে কেনাকাটা অনেক সহজ হয়ে গেছে এবং মানুষকে কোন প্রকার ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে না।বহিঃবিশ্বের নেয় বাংলাদেশের অনেক জনপ্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে। যারএছাড়া বদৌলতে আপনি ঘরে বসেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থেকে শুরু করে বাচ্চাদের জিনিসপত্র যাবতিয় খেলনা পোসাক,বেবি প্রডাক্ট সবকিছু পাওয়া যায়। মাছ,মাংস, শাকসবজি, যাবতীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায়।এছাড়াও আপনি পেয়ে যাবেন পায়ের নখ থেকে শুরু করে মাথার চুল পর্যন্ত সকল জিনিস পএ। আরে সকল কিছু পাবেন আপনি ঘরে বসে।বাংলাদেশের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে দারাজ অন্যতম।
এফিলিয়েটের: বাংলাদেশে দারাজের প্রথম পথ চলা শুরু হয় 2015 সালের আগস্ট মাসে।যা ধীরেধীরে আমাদের দেশেঅধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।দারাজে এখন দেশি-বিদেশি অনেক, পণ্য পেয়ে যাবেন।এমনকি আপনি চাইলে এফিলিয়েটের মাধ্যমে দারাজ থেকে আয় করার উপায় জেনে নিতে পারেন। বাংলাদেশের আরও একটি স্বনামধন্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হলো রকমারি.কম এটিও ধীরেধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
ই-কমার্স সাইট তৈরির খরচ:
আপনি যদি উচ্চমানের ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে চান তা হলে খরচ একটু বেশি হবে। সে ক্ষেত্রে ইন্দিভিদুয়াল ব্যক্তির দিয়ে কাজ করানো যাবে না। ইন জেনারেল 50 থেকে দুই লাখ টাকার দরকার হয় একটি ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে।
সে ক্ষেত্রে ডিপেন্ড করে আপনি কি চাচ্ছেন। কোন কোম্পানিতা যাচ্ছেন। বিদেশী কোম্পানি হলে খরচ একটু বেশি হবে।এবং দেশি কোম্পানি হলে খরচ কম হবে।ওয়েবসাইট তৈরী হয়ে গেলে আপনি আপনার ইচ্ছামত কাজ করতে পারবেন। ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে তেমন একটা ঝামেলা পোহাতে হয়না
ই- কমার্স সাইট খোলার পরে তা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশের ই-কমাসের উন্নায়ন :
বাংলাদেশের 1 নাম্বার ই-কমার্সের স্থানটি দখল করে আছে দারাজ যা চিনা কম্পানি আলিবাবা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এছাড়াও বাংলাদেশের ই-কমার্স ব্যবসার নিয়ে অনেক দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আগ্রহ রয়েছে। কারণ বাংলাদেশে গত তিন বছরে ই-কমার্সের খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং শতভাগ প্রবৃদ্ধি বাড়ছে।
এ কারণে বাংলাদেশকে নিয়ে কাজ করতে চায় অ্যামাজন যা বাংলাদেশের ই-কমার্সের খাতে একটি সম্ভাবনাময় দিক। পূর্ব আমেরিকার একটি নামকরা ই-কমার্স খাত ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে যার নাম কুভি।বাংলাদেশে ই-কমার্স খুব দ্রুত বাড়ছে। গত তিন বছরে প্রবৃদ্ধি প্রায় শতভাগ বেড়েছে। এ কারণে বিশ্বের বড় বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের উপরে আগ্রহ বাড়ছে।
ভবিষ্যৎ ই-কমার্স ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে একটি সম্ভাবনাময় দেশ:
বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ ই-কমার্স ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে একটি সম্ভাবনাময় দেশ কারণে সম্পর্কে এখন মানুষের মাঝে অনেক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে ই-কমার্সের তেমন কোনো প্রসার ঘটেনি।
যেটুকু ঘটেছে সেটুকু কেবলমাত্র শহরকেন্দ্রিক মানুষের মাঝে সীমাবদ্ধ আছে। শহরের মানুষ এখন পুরোপুরি ই-কমার্স এর উপরে নির্ভরশীল হতে পারেনি এটা এখনো অতটা বিশ্বাসযোগ্য হয়নি মানুষের কাছে। তাই প্রয়োজন সময় এবং প্রচেষ্টা।
সুবিধা:
অনেকেই আছে যারা ঘরে বসে কেনাকাটা করতে পছন্দ করে তাদের জন্য ই-কমার্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে একই প্ল্যাটফর্মের নিচে অনেক কিছু পাওয়া যায়। পচনশীল কাঁচামাল থেকে মাছ-মাংস পোশাক প্রসাধনী সামগ্রীসহ দেশি-বিদেশি প্রায় সকল পণ্যই এখন ই-কমার্স সাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
ই-কমার্স এর মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসেই অনলাইনে অর্ডার কনফার্ম করে তার পছন্দসই পণ্যটি দোরগোড়ায় পাচ্ছে। যাতে করে পণ্য কেনার জন্য মানুষকে আলাদা ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে না।বিশ্বের অন্যতম নামকরা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন-ও বাংলাদেশকে নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। যারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ই-কমার্স সাইটে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় দিক।
এখন দিনদিন নতুন নতুন ই-কমার্স সাইট বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে। যার ফলে মানুষ ঘরে বসে নিজ নিজ কর্মসংস্থান তৈরি করছে এবং আয় করছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো শহরের সকলে স্থানে পণ্য ও সেবা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এর জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং ডাক বিভাগ উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে করে পূর্ণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দেয়া যায়। গ্রামাঞ্চলকে ই-কমার্স এর আওতায় নিতে হলে ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রিকউদ্যোগ নিতে হবে।
এবং গ্রামীণ মানুষকে এ সম্পর্কে আস্থত করতে হবে যে এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশি কিছুটা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উন্নতি হলেও বাইরের দেশের মতো এখনো হয়নি।
এখনো ই-কমার্স ব্যবসার বাংলাদেশের পণ্যদ্রব্য কেনা-বেচা এবং সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য ক্যাশ অন ডেলিভারি দেয়া হয়।এখন এখনো তেমন একটা বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে নি।বর্তমানে এমন প্রচুর মানুষ আছে যারা শুধুমাত্র অনলাইনে কেনাবেচা করে প্রচুর টাকা আয় করছে প্রতিমাসে। এটা হতে পারে ফেসবুকে তাদের পণ্যের ছবি আপলোড করে রিভিউ দিয়ে ভিডিও তৈরি করে এবং ইউটিউব চ্যানেল খুলে এবং নানাভাবে।
বর্তমানে একটি বড় প্রচার মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক ইউটিউব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহ ফেসবুক ইউটিউব এর মাধ্যমে তাদের পণ্যের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে থাকেকারণ এখন দেশের প্রায় 100 জনের মধ্যে 90 জনই ফেসবুক ইউজ করেএর ফলে খুব সহজে বিজ্ঞাপনগুলো তাদের চোখে পড়ে ।
কমার্স সাইট ব্যবহার করে এছাড়াও হরেক উপায়ে আয় করা যায়। যাতে করে খুব সহজে ঘরে বসেই আয় করা যায়।ইন্টারনেট হল একটি বিশাল এ স্টরে হাউস যেখানে অনেক অনেক ইনফরমেশন মজুদ আছে। এখানে অনেক প্রোডাক্ট মজুদ আছে যার ফলে যে কেউ এখানে টিকে থাকতে পারে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল । অনলাইনে কেনাবেচার একটি সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
যার মাধ্যমে আপনি অন্যকে ব্যবহার করে নিজের পণ্য কেনাবেচা বিক্রয় করা যায়।যার একটি লাভের অংশ ইউজারদের দিতে হবে যা আপনার পণ্যকে এছাড়াও আপনি চাইলেবিভিন্ন ফেইসবুক পেইজ, ইউটিউব চ্যানেলেপণ্যের প্রচার প্রচারণা চালাতে পারে এর ফলে পণ্যের কেনাবেচা বৃদ্ধি পায়। আজকাল ফেসবুকে ঢুকলে দেখা যায় যারা ই-কমার্সের স্টোর খুলে বসে আছে তারা তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন।
রিভিউ দিচ্ছেন। এমন অনেক নতুন নতুন উদ্যোক্তারা রয়েছেযারা ই-কমার্স এর আওতায় ব্যবসা করে সফল হয়েছে। নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন পাশাপাশি অন্যের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে।
আজকাল ফেসবুকে ঢুকলে দেখা যায় যারা ই-কমার্সের স্টোর খুলে বসে আছে তারা তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। রিভিউ দিচ্ছেন। এমন অনেক নতুন নতুন উদ্যোক্তারা রয়েছেযারা ই-কমার্স এর আওতায় ব্যবসা করে সফল হয়েছে। নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন পাশাপাশি অন্যের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে।
উপসংহার:
পরিশেষে বলা যায় যে ই-কমার্স কেনা বেচা মাধ্যমকে এক নতুন মাএা যোগ করেছে। যা ব্যবসায়কে অনেক সুদূরপ্রসারী বিস্তার লাভ করতে সাহায্য করবে। যাকিনা ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের জন্যই ভালো হবে।