উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমানে শিক্ষার্থীরা পূর্বের তুলনায় বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি বেশি ঝোঁক বাড়ছে।বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্কলারশিপ পেয়ে প্রতি বছর হাজারো শিক্ষার্থীরা বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আগ্রহ থাকলেও শুধুমাত্র সঠিক এবং পরিপূর্ণ জ্ঞানের অভাবে অনেক শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে সঠিক এবং পরিপূর্ণ জ্ঞানের খুব বেশি প্রয়োজন। শুধুমাত্র একাডেমিক ফলাফল ভালো হলে আপনি বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন তা কিন্তু নয়। বিদেশে পাড়ি জমানোর ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি বছর বাইরের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য স্কলারশীপ প্রদান করে থাকে। এছাড়াও বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেশীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় গবেষণার ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণ সুযোগ সুবিধা শিক্ষার্থীরা বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রথম এবং সর্বপ্রধান কারণ। এছড়াও বিদেশের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে পূর্ণ সুযোগ৷ সুবিধা রয়েছেই। বাংলাদেশের অনেক অভিভাবকই খুব অল্প বয়সেই তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিদেশে প্রেরণ করেন। তবে বাংলাদেশে উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর বিদেশে শিক্ষার্থীর গমনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তবে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থী ছাড়াও পিএইচডি এবং ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণের জন্য ও শিক্ষার্থীরা বিদেশে পাড়ি জমায়। শিক্ষার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন গন্ডি নেই। নেই কোন স্থান,কাল,পাত্র বিশেষের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ। পূর্বে দেখা যেত শুধুমাত্র উচ্চবিত্ত শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে মধ্যবিত্ত শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পাড়ি দিচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিদেশ গমনের প্রাতুলতা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখীতার কিছু কারণ নিচে তুলে ধরা হল : ১.নিজের উন্নতির জন্য :শিক্ষার্থীরা আত্ন উন্নয়নের জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী। তাছাড়াও বিদেশে রয়েছে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার সুবিধা। তাই অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের আত্নন্নোয়ন করার জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বেশি আগ্রহ হচ্ছে। ২.বিদেশে চাকরি পাবার সহজলভ্যতা: বিদেশে রয়েছে চাকরি পাবার সহজলভ্যতা। বাংলাদেশে চাকরি বাজারের মন্দার জন্য অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহ পোষণ করছে। ৩.নতুন দেশ ও নতুন পরিবেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ :নতুন দেশ ও নতুন পরিবেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। ৪.স্থায়ী বসবাসের সুযোগ : অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে পাড়ি জমানোর সর্বপ্রধান কারণ হলো পরবর্তীতে বিদেশে স্থায়ীকরনের সুবিধা। বিদেশ যাবার ক্ষেত্রে সর্বপ্রধান আপনাকে নিজের লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে। নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে এবং বুঝতে হবে। আপনি বিদেশে কেন যাচ্ছেন? কিসের উদ্দেশ্য নিয়ে যাচ্চেন? যদি আপনি পড়াশোনার জন্য যেতে চান তাহলে আপনার যেমন কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ১.ভাষা শিখতে হবে : আপনি যে দেশে যেতে চান না কেন সবার আগে সেই দেশের ভাষা সম্পর্কে আপনার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ২.দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে ইংরেজি ভাষার উপর:আপনি যদি বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে চান তাহলে ইংরেজি ভাষায় উপর দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। ৩.আবাহাওয়া : অবশ্যই আপনি যেই দেশে যাবেন না সেই দেশের আবাহাওয়া সম্পর্কে পুরো জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
মমতাময়ী মা
পৃথিবীর প্রতিটি সন্তানের কাছে মা পরম আরোধ্য। আমাদের সকলের জীবনের পরম ভালবা,, আস্থা এবং শ্রদ্ধার মানুষটি হলো মা।মায়ের পরম স্নেহ,আদর...