বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
প্রিয় ভিউয়ার্স, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ আমি যে বিষয়টি নিয়ে লিখছি তা হয়তো সবারই আশে পাশে প্রতিনিয়ত ঘটছে। আমরা কেউ হয়তো এটা আমলে নিচ্ছি আবার কেউ হয়তো নিচ্ছি না। আজকের বিষয়টি আমার চোখের সামনে ঘটে যাওয়া একটা বাস্তব ঘটনা। আশা করছি সবাই শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
জানি না আমার লিখাটা কতটা গ্রহণযোগ্য বা কে কতটা মর্যাদা রাখবেন।তবে আমার মনে হলো বিষয়টা সবাইকে জানাই।
আজকে আমাদের বাড়িতে কুড়িগ্রাম থেকে আসা একজন লোক কাজ করেছে।কাজ শেষে উনি রাতে খাবার খেতে আসছে।পরে কথায় কথায় উঠলো কুরবানির কথা।উনি জানালেন উনাদের এলাকার অধিকাংশ মানুষ গরীব তারা নাকি কুরবানি দেয় নাহ।উনাকে মা জিজ্ঞেস করলেন আপনি বাড়ি যাবেন নাহ??উনি বললেন নাহ,গেলে আবার আসতে হবে।উনার ৩টা মেয়ে ছিলো ১টা মেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছে ২ মাস হলো বাকি ২জনের বিয়ে হয়ে গেছে।১জনের শ্বশুড় বাড়ি থেকে ৫০,০০০ টাকা দাবি করেছে।উনি কাজ করে এই টাকা দিবেন তাই একবারেই বাড়ি যাবেন।আজকে নাকি উনাকে বাজারে অনেকেই জিজ্ঞেস করেছে বাড়ি যাবে কিনা!!!নিরব ছিলেন।তারপর মা বললেন ঈদের দিন আমাদের বাড়িতে খাবেন আর গরু জবাইয়ের সময় টুকিটাকি কাজ করে দিয়েন।উনি বেশ খুশিমনে রাজি হয়ে গেলেন।
সাধারণত যা হয় আমরা কাউকে কাজে রাখলে সে তিনবেলা আমাদের বাড়িতেই খায়।
তার মানে যেদিন ওনাদের কাজ থাকবে নাহ সেদিন খাবার কিনে খাবে বা না খেয়ে থাকবে।
গাজীপুরবাসীর আসা করি এটুকু সামর্থ্য আছে কাউকে তিনবেলা খাওয়াবার।
আসুন আমাদের আশেপাশে যারা দূর থেকে কাজ করতে আসছে তাদের বলি যে আপনি ঈদের দিন আমাদের গরু জবাই থেকে বানানো আগ পর্যন্ত সহযোগিতা করবেন আর তিনবেলা হাসিমুখে ২মুঠো ভাত খাবেন আমাদের সাথে।
আমার মনের ভাবটা আপনাদের সামনে প্রকাশ করলাম বাকিটা আপনাদের ইচ্ছা।