নেত্রকোনা বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের ঠিক মধ্য ভাগে অবস্থিত ভারতের সীমান্ত লাগোয়া একটি জালে । এই জেলাতে বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমদে- পৈত্রিক ভিটা । আর কবি নির্মলেন্দু গুনের জন্মস্থানও এই জেলাতেই ।সংগীত শিল্পি নেন্সি, কুদ্দুস বয়াতি এছাড়াও অনেক গুনী জনের জন্ম এই জেলাতেই । হাওর বাওরের জেলা খ্যাত এই স্থানটি প্রকৃতিকভাবেই অনেক সুন্দর । আছে পাহাড়, নদী, খাল, বিল ও প্রকৃতিক সম্পদ । এই জেলাটি ১০ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত । প্রায় সকল উপজেলাতেই আছে প্রকৃতিক নিদর্শন বাংলাদেশের একমাত্র চিনা মাটির খনি এই নেত্রকোনা জেলাতেই অবস্থিত যা কিনা দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর নামক স্থানে অবস্থিত ।
এখানে আছে উঁচু উঁচু পাহাড় আর খনি থেকে চিনা মাটি তুলার পর বিশাল বিশাল গর্তে জমাট বাধা পানি, (নীল পানির লেক) । ঘুড়ে বেরাতে পারেন অনায়াসে । শুধু একটু সতর্কতা অবলম্বন করলেই চলবেন । এখানে কোন টাকা দিতে হয় না । তাঁই প্রায় সকল সময় পর্যটিকদের ভীর লেগেই থাকে । বর্ষায় ঘুরে বেরাতে পারেন হাওরে । বর্তমানে মদন উপজেলার উচিত পুর নামক স্থানটিকে পর্যটিকেরা নাম দিয়েছে মিনি কক্সবাজার বিশাল হাওরের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা পাকা রাস্তা বর্ষা কালে প্রায় কমর পানি ও হাটু পানি থাকে সেখানে অনেক পর্যটকেরা সেই হাওরের স্বচ্ছ পানিতে সাঁতার টেকে নিজের প্রান জুরায় আর গায়ে লাগায় প্রকৃতির নিরমল নির্ভেজাল বাতাস । বেশ লাগা সেই যায়গাটা । যদি ইচ্ছে হয় তাহলে খুব কম টাকার মধ্যেই ঘুড়ে বেরাতে পারেন হাওরময় টলার যুগে । তাঁর পর আছে কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি দুর্গ । এটি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইল বাড়ি গ্রামে অবস্থিত । প্রাচীন সুলতানী আমলের একটি স্থাপনা এটি আছে সুরঙ্গ পথ, দূর্গের স্থাপনা, মসজিদ আর দেখার মত প্রাচীন শিল্প সমৃদ্ধ কিছু স্থাপনা ।
যদি পাহাড় দেখতে চান তাহলে আছে কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলা । নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলা ভারতের বডার লাগোয়া হওয়াতে অনেক পাহাড় দেখতে পারবেন সেখানে গেলে । আছে সিলিকা বালির নদী । নামগুলোও বেস গনেশ্বরী, সোমেশ্বরি, মহাদেও এ ছারাও নেত্রকোনা জেলাতে কংশ নদী সহ আরও ছোটবড় অনেক নদী আছে । কলমাকান্দা উপজেলাতে আছে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হওয়া ৭ বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর যা কিনা সাত শহীদের মাজার নামে পরিচিত এটি প্রায় বাংলাদেশ ভারতের বর্ডারে জিরো পয়েন্টে অবস্থিত । সেখানে গেলে দেখে আসতে পারবেন পাহাড়, ও ভারত থেকে নেমে আসা সিলিকা বালির নদী গনেশ্বরী । আছে খারনই ইউনিয়ন এর গোবিন্দুপুর এর সীমান্ত ঘেষা আদিবাসীদের পাড়া । আর আছে মহাদেও নদীর পাড় ঘেষে ঘুড়ে বেড়ানোর সুন্দর মনোরম পরেবেশ ও পাতলাবান নামক বর্ডার । সুসং রাজবাড়ি এটি দুর্গাপুর উপজেলাতে অবস্থিত প্রায় সাড়া শরহ জুরেই আছে এই রাজবাড়ির সৃতি । আছে আদিবাসীদের কালচারাল একাডেমি ভবন যেখানে গেলে আদিবাসীদের ব্যবহার্য্য জিনিষপত্র ও তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন । আছে বারো দুওয়ারী ঢিবি যা কিন কেন্দুয়া উপজেলাতে অবস্থিত ।
এছাড়াও আছে আরও অনেক দরশনীয় স্থান সাড়া মাস ঘুড়ে বেরালেও নেত্রকোনার প্রান প্রকৃতি দেখে শেষ করতে পারবেন না শুধু মনে হবে আর যদি কিছুদিন থেকে যেতাম এখানে । সর্বশেষ আমি বলতে চাই যদি আপনি পাহাড় দেখতে চান তাহলে অবশ্যই জানুয়ারি থেকে মার্চ অর্থাৎ যখন শুকনো সিজেন তখন যাবেন তাহলে ইচ্ছে মত ঘুড়ে বেড়াতে পারবেন । যেহেতু পাহারে উঠতে হয় বর্ষা কালে পাহাড়ের মাটি পিচ্ছিল হয়ে যায় তখন পা পিছলে পড়ে যাবার ভয় থাকে আর ভ্রমন করতেও ওনেক কষ্ট হয় । আর যদি আপনি হাওর ( মিনি কক্সবাজার ) দেখতে চান তাহলে এখনই সময় ঘুড়ে আসতে পারেন নেত্রকোনার মিনি কক্সবাজারে ।