আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালো আছেন।আজকে আমি আপনাদের জানাব করোনা মহামারিতে বাড়ির বড়দের যত্নের নিয়ম।
কোভিড-১৯ ভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব।ফলে পুরো বিশ্বে বিভিন্ন দেশে লকডাউন চলছে,মানুষ এখন ঘরে বন্দীজীবন কাটাচ্ছে।তারপরেও মানুষের মৃত্যুর মিছিল দিনকে দিন বেড়েই চলছে।এখন পর্যন্ত আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন,সাইত্রিশ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত।বিশ্ব স্বাস্থ্য সমীক্ষায়য় দেখা গেছে,যেসব মানুষ মূরা গিয়েছে তাদের বেশির ভাগই ৫০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ।তাই ডাব্লিউওএইচও সহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলছেন,বয়স্ক মানুষেরাই কোভিড-১৯ ভাইরাসে বেশি মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।বিশেষ করে বয়স্ক মানুষদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় এবং অনেকেই এই বয়সে ডায়াবেটিস,হার্টের রোগ,কিডনির রোগ,ফুসফুসের রোগ,ক্যান্সার ইত্যাদিতে আক্রান্ত থাকায় মারা যাচ্ছেন।তুলনামূলক অন্য বয়সীদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় এবং এসব রোগ তাদের মৃত্যুরর হার কম। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্হাসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা এই বয়সী মানুষের দিকে বেশি নজর রাখতে বলেছেন।তাই এই লকডাউনে আপনার বাসায় বয়স্কদের খেয়াল রাখতে যা করবেন-
১।বাড়ির বাইরে ও ভিতরের সমস্ত কাজ নিজে করার চেস্টা করুন:বাড়ির বাইরে যেসব কাজ যেমন:বাজার-সদাই ইত্যাদি বড়রা করার চেস্টা করলে তা নিজেই করে নিবেন।কেননা তাদের শরীরে করোনাভাইরাস বাইরের সংস্পর্শ থেকেই আসবে।এছাড়া বাসার টুকটাক সাংসরিক সব কাজও নিজে করুন।
২।বাড়ির বাইরে বের হতে দিবেন না:লকডাউনের এই সময়ে অনেক বয়স্ক মানুষই ঘরে থাকতে চান না।নানা ছুতোনাতায় বের হতে চান।কিন্তু তাদেরকে ঘরবন্দী করে রাখা ছাড়া কোন উপায় নেই।ফলে অনেকেরই মেজাজ সবসময় খিটখিটে হয়ে থাকে।তাই তাদেরকে বুঝান যে এই পরিস্হিতিতে বের হলে তাদের উপর কি দূর্ভোগ আসতে পারে।
৩।স্যানিটাইজেশন:বাসায় প্রতিটা রুম প্রতিদিন স্যানিটাইজ করতে হবে।কেননা আমরা যদি তা জীবাণুমুক্ত না করি তাহলে আমরা আমাদের বাথরুম,দরজার হাতল,জানালা ইত্যাদির সংস্পর্শে সহজেই মারণব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারি,বিশেষ করে এতে বাড়ির বড়রা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।তাই অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে।
৪।শরীরের দিকে নজর রাখুন:তাদের শরীরের দিকেও খেয়াল রাখা দরকার।তাই তাদেরকে স্বাস্হ্যকর খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি নিয়মিত ঘরোয়া ব্যায়াম যেমন:হাটাহাটি করতে দিবেন।অনেক বয়স্ক মানুষের এই সময় নিয়মিত ঔষুধ গ্রহণ করতে হয়,না হলে শরীরে সমস্যা দেখা দেয়।তাই সময়মতো ঔষুধ গ্রহণ করাবেন।
৫।বাসায় কাউকে আসতে দিবেন না:অনেকেই বাসায় তাদের দেখতে আসতে পারে।তাই এই সময় বাড়িতে কাউকে আসতে বারণ করবেন।পরিস্হিতি স্বাভাবিক হলে আসতে বলবেন।
৬।সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন:বাসার বড়দের খেয়াল রাখলেও করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে।তাই প্রতিটা পদক্ষেপ নেওয়ার সময় বাড়ির বড়দের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকবেন।
আমার পোস্টটি ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।