শিরক নিয়ে আজকের দ্বিতীয় পার্ট এ শিরক গুলো আমরা মনের অজান্তেই প্রতিমুহূর্তে করে থাকি যা অনেক বড় কবিরা গুনা এবং আমাদের এগুলো ত্যাগ করা খুবই জরুরী
1/ যমজ কলা খেলে যমজ বাচ্চা হয়: যমজ কলা খেলে যদি জমজ বাচ্চা হত তাহলে কলা খেয়ে একসাথে দুইটা বাচ্চা যে কেউ নিতে পারত. আর কলার কোন ক্ষমতা নেই এটা আমাদের সমাজের কুসংস্কার আর অনেক বড় একটা কবিরা গুনাহ কলাকে আল্লাহর সাথে তুলনা করা হয়েছে এটা এক ধরনের শিরক.
2/ হাত চুলকালে টাকা আসে: হাত চুলকালে যদি টাকা আসতো তাহলে হাতে চুলকানির ঔষধ লাগিয়ে সব সময় টাকা অর্জন করা যেত. এটা দিয়ে আল্লাহর সাথে শিরক করা হয়েছে তাই এ ধরনের কুসংস্কার কখনো করা যাবে না.
3/ মাথায় যতগুলো পাক থাকবে ততগুলো বিয়ে: মাথার পাক অনুযায়ী যদি মানুষের বিয়ে হত তাহলে দুনিয়াতে প্রায় সবাই দুটো করে বিয়ে করত এটা একটা কুসংস্কার এটার মাধ্যমে আল্লাহকে অপমান করা হয়েছে কারণ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কারো ক্ষমতা নেই বিয়ে দুইটা করা.
4/ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম করা: আমরা অনেক সময় মসজিদের নামে কসম করি নিজের সন্তানের নামে কসম করি মা বাবার নামে কসম করি. এটা অনেক বড় কবিরা গুনা এবং শিরক শুধুমাত্র আল্লাহর নামে কসম করা যাবে.
5/ গণক বিশ্বাস করা: সবথেকে বড় শিরক হল কারো মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বিশ্বাস করা. আমরা অনেক সময় ভাগ্য পরীক্ষা করে থাকি. এটা অনেক বড় কবিরা গুনা এবং আল্লাহর সাথে শিরক করা. কারণ ভাগ্য একমাত্র আল্লাহ তালায় বলতে পারে আল্লাহ ছাড়া কারো ক্ষমতা নেই মানুষের ভাগ্য গণনা করার.
আমাদের এই শিরক গুলো ত্যাগ করতে হবে.