শীতকালে সাধারণত শুষ্ক ও শীতল হাওয়া প্রবাহিত হতে থাকে। বাতাসে বেড়ে যায় অতিরিক্ত ধুলাবালু। এ সময় পর্যাপ্ত পানি পান না করার কারনে আমাদের ত্বক হয় রুক্ষ ও মলিন। তবে এই সময় ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে পারলে ত্বকের নিস্তেজ ও রুক্ষভাব দূর করে স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল ও কোমল ত্বক পাওয়া সম্ভব।এক্ষেত্রে সবচে বড় ম্যাজিক হতে পারে চিরচেনা মিষ্টিকুমড়া। অনেকেই হয়তো এটা জানেন না, সুস্বাদু এই সবজিটি ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতেও সক্ষম।
মিষ্টিকুমড়ায় বিদ্যমান ভিটামিন এ, সি, ই। আরও রয়েছে নায়াসিন, ফোলেট, রিবোফ্লাভিন ও বি সিক্স। আলফা ও বিটা ক্যারোটিন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদানতো রয়েছেই। এগুলো ত্বকের জন্য খুবই উপযোগী ও স্বাস্থ্যকর। এটি যেমন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে তেমনি ব্রণের সমস্যাও দূর করে। মুখের বলিরেখা কমাতেও মিষ্টিকুমড়োর জুড়ি নেই।
মিষ্টিকুমড়ার পেস্ট তৈরি করে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এটি বানানোর নিয়ম হলো- এতে ত্বক হবে আরও উজ্জ্বল ও আরও মসৃণ। দুই চামচ মিষ্টিকুমড়া, আধা চামচ পরিমান মধু ও এক চামচ পরিমান দুধ, দুই চামচ পরিমান নারকেল তেল ও এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়া দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিবেন। এবার বানানো এই পেস্টটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে ফেলুন।। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকে এই পেস্টের সাথে এক টেবিল চামচ পরিমান আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিবেন।
বয়স বা অন্যান্য কারনে মুখে ব্রণের যে সমস্যা তৈরি হয় তা থেকে মুক্তি পেতেও মিষ্টিকুমড়ার এই পেস্ট লাগাতে পারেন। এর জন্য দরকার হবে দুই চামচ পরিমান টক দই, আধা চামচ পরিমান ওটসের গুঁড়া, আধা চামচ মধু ও এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়া। এই মিশ্রণটি ১০ মিনিট সময় ধরে মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
এছাড়াও ত্বকের বলিরেখা আরেকটি বড় সমস্যা। ত্বকের বলিরেখা দূর করতে দুই টেবিল চামচ পরিমান মিষ্টিকুমড়া, আধা চামচ পরিমান লেবুর রস, এক চামচ পরিমান ডিমের সাদা অংশ ও আধা চামচ পরিমান মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। আগের নিয়মেই মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।