আশা করি সবাই ভালো আছেন।ফ্রিল্যান্সিং যারা করতে চায় তাদেরকে প্রথমত একটা কাজে নিজেকে এক্সপার্ট করতে হয়।এর মধ্যে রয়েছে;ওয়েব ডিজাইন,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,গ্রাফিকস ডিজাইন,এসইও,ডিজিটাল মার্কেটটিং,আর্টিকেল রাইটিং।এরকম আরও কাজ রয়েছে।তারপর নিজেকে সিদ্ধান্ত নিতে কোন কাজগুলো সে ভালোভাবে করতে পারবে।তারপর সে বিষয়ে কাজ শিখতে হবে এবং প্রেক্টিস চালিয়ে যেতে হবে।তারপর মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিট করে বায়ারদের থেকে কাজ নিয়ে তা সম্পুর্ন করবে।এটাই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার।
এখন ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ রয়েছে।প্রতিটি কাজের মধ্যেই থাকে কিছু সুযোগ সুবিধা।তেমনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখলে আপনারা কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন,সেটা নিয়েই আজকে আমি বলবো।তো চলুন একজন ওয়েব ডেভেলপার হলে আপনি কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন তা জেনে নেওয়া যাকঃ
১.আপনি যদি মার্কেটপ্লেসগুলোতে (ফাইভার,আপওর্য়াক,ফ্রিল্যান্সার,পিপল পার হাওয়ার) যান,তাহলে দেখতে পাবেন সবথেকে চাহিদাসম্পন্ন ৫ টি কাজের মধ্যে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট একটি।কোনো কোনো মার্কেটপ্লেসে আবার চাহিদার দিকে থেকে এক-দুই নাম্বারেও থাকতে পারে।
২.বর্তমান পৃথিবীতে রয়েছে ১.২ বিলিয়ন ওয়েব সাইট।আমেরিকার মধ্যে প্রতি মাসে তৈরি হয় ১ কোটি ৬০ লাখের ও বেশি ওয়েব সাইট।যার ৭০% ওয়েব সাইট দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার দিয়েই করা হয়।যার বাংলাদেশি বাজার মূল্য ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।তাহলে বুঝতে পারলেন কি পরিমাণ চাহিদা এই কাজের।
৩. বাংলাদেশের উচ্চবেতনের দিক দিয়ে ৫ টি চাকরির মধ্যে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো একটি।
৪.মার্কেটপ্লেসগুলোতে দক্ষ ওয়েব ডেভেলপারদের এখনো সংকট রয়েছে।তাই আপনি যদি ভালোভাবে কাজ শিখতে পারেন তাহলে কাজ করে শেষ করতে পারবেন না।
৫.আপওর্য়াকে নতুন্দের জন্য অন্যান্য টপ কাজগুলোর শুরু হয় ঘন্টা প্রতি ২-৫ ডলার দিয়ে।অন্যদিকে একজন নতুন ওয়েব ডেভেলপারের কাজ শুরু করতে পারে ১০-১৩ ডলার ঘন্টাপ্রতি কাজ করে।
৬.অনেকেই কোডিং সংক্রান্ত কাজগুলোকে অনেক ভয় পায় তাই তারা এই পেশায় আসতে চায় না।ফলে গ্রাফিকস ডিজাইনে যায়।একটা গ্রাফিকস ডিজাইনের কাজের জন্য কয়েকশত মানুষ আবেদন করে।অন্যদিকে একজন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজে তোলনা মূলক অনেক কম বিট করে যার ফলে কাজ পাওয়া আরও সহজ হয়ে যায়।
৭.একজন ওয়েব ডেভেলপার চাইলে নিজের থিম, ডিজাইন গুলো বিক্রি করে মাসে ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারে।
৮.ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার জন্য আপনাকে আগে ওয়েব ডিজাইনের কাজগুলো শিখতে হবে।এই দুইটি কাজ যেহেতু একসাথে শিখবেন তাই দুইটা কাজের আলাদা আলাদা টাকা নিতে পারবেন।
৯.একজন ওয়েব ডেভেলপার ৬ মাসের ভিতরেই কয়েকেটি প্রজেক্ট সম্পুর্ন করতে পারে।যেদিকে অন্যান্য কাজগুলোর কাজ কখন পাবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
১০.বাংলাদেশে যেই বড় বড় ফ্রিল্যান্সারগুলো আছে তাদের মধ্যে প্রায় সবাই ওয়েব ডেভেলপার।তাই তারা যদি পারে আপনিও ভালোভাবে শিখলে পারবেন।
শেষে একটা কথায় বলতে এত সুযোগ সুবিধা দেখে ওয়েব ডেভেলপারে আসলে চলবে না।আপনি যেই কাজটি করতে ভালো লাগে সেইটায় করুন।তাহলে সফলতা অবশ্যই আসবে।ভালো থাকবেন সবাই,ধন্যবাদ।