হঠাৎ পিছনে ফিরে তাকাতেই, আরাফের উপর নজর পড়ল লিমার।
লিমাঃ- কি ব্যপার কোত্থেকে এসেছো?
আরাফঃ- বাড়ি থেকে ই। তোমাদের বাড়ির দিকেই যাচ্ছিলাম।
লিমাঃ- কেনো?
আরাফঃ- কেনো আবার, তোমার সাথে দেখা করতে। জানো না, তোমার সাথে দেখা না করলে আমার একদিও চলে না!
লিমা ইন্টার শেষ করেছে সবেমাত্র। আর আরাফ এবার অনার্স করছে একটা ভার্সিটিতে। আজ প্রায় দু’বছর হবে তাদের রিলেশন। একজন আরেকজনকে প্রচন্ড রকম ভালোবাসে। বাড়িও কাছাকাছি ই। তাই প্রায় সময় বিভিন্ন বাহানা করে আরাফ, লিমার সাথে দেখা করে। লিমা অনেক লাজুক মেয়ে। দেখতেও অনেক সুন্দর। গোলগাল চেহারা। চোখ দুটি হরিণের মত। তাই তাকে পটাতে অনেক ঘাম ঝাড়াতে হয়েছে আরাফের। ওদের দু’জনকে দেখলে মনে হয়, এক দেহ দুই প্রাণ।
এভাবেই চলতে থাকে তাদের রিলেশন টা। লিমার অনেক বিয়ে আসে কিন্তু সে রাজি হয়না। কারণ সে চিন্তা করে রেখেছে যে, আরাফকে ছাড়া সে বিয়ে ই করবে না। এদিকে আরাফও বিয়ে করতে পারছে না তার পরিবারের পিছুটান থাকার কারণে। আরাফ অনেক ধার্মিক। তার পরিবারও অন্য ৮/১০ টা পরিবারের চেয়ে আলাদা। সময় যতই যাচ্ছে লিমার উপর চাপ ততই বাড়ছে। লিমা কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। অবশেষে সে তার মনে কথা গুলোকে কলমের আঁচড়ে প্রকাশ করার জন্য খাতা-কলম নিয়ে বসেছে। সে তার মনের মানুষ আরাফকে উদ্দেশ্য করে লিখতে শুরু করে দিলো,,,
এই বন্ধন রেখো চিরদিন
করো নাকো ছিন্ন,
যদিও দেহ থেকে মাথা টা
হয়ে যায় ভিন্ন।
তোমার সাথে আমি মিশে হবো একাকার
ভাবিনি কোন দিন,
হয়ে যেহেতি গেলো ই তাই আমাদের স্বপ্ন গুলো
হয়না যেনো কখনো মলিন।
সুখে-দুঃখে বিপদে-আপদে
শুধু ধরে রেখো হাত টা,
এভাবেই যেনো পারি দিতে পারি
জীবনের বাকি পথ টা।
একটাই চাওয়া হোক, আমি রবো তোমার
আর তুমি রবে আমার,
এই দুনিয়া টা যদিও হয়ে যায়
ভেঙ্গেচুড়ে মিসমার।
মহান প্রভুর তরে,
তিনি যেনো বাচিয়ে রাখেন
মোদের এক সাথে করে।
আজ লিমার বিয়ে হয়েছে সন্তানও হয়েছে। ১ ছেলে আর ১ মেয়ের মা হয়েছে, কিন্তু সেই দুঃখ, কষ্ট কখনই সে ভুলতে পারে না। ভালো থাকুক পিছনের অতিতর তার ভালো থাকুক সকলে।